1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইন ‘ভাঙতে' পারেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী!

৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সংসদের উদ্যোগে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এড়াতে আইন প্রায় চূড়ান্ত হলেও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তা উপেক্ষা করতে পারেন৷ এদিকে পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রায় এক মাসের জন্য সংসদের অধিবেশন মুলতুবি করলেন জনসন৷

Boris Johnson
ছবি: picture-alliance/AP Photo/F. Mori

ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে ব্রিটেনের সংসদ ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে নতুন সংঘাতের আশঙ্কা আরও বাড়ছে৷ গত সপ্তাহে সংসদের দুই কক্ষ চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এড়াতে যে প্রস্তাব অনুমোদন করেছিল, সোমবারই রানির স্বাক্ষরের মাধ্যমে তা আইনে পরিণত হবার কথা৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নিজের অবস্থানে এখনো অনড় রয়েছেন৷ তিনি কোনো অবস্থাতেই ৩১শে অক্টোবর ব্রেক্সিটের দিনক্ষণ পিছিয়ে দিতে চান না৷ শেষ মুহূর্তে বোঝাপড়া না হলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে তিনি সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করতে নারাজ৷ ‘দ্য ডেলি টেলিগ্রাফ' সংবাদপত্রের সূত্র অনুযায়ী রবিবার প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা আইনি পথে ব্রিটিশ সংসদের উদ্যোগ বানচাল করতে শলাপরামর্শ করেছেন৷ তাঁদের পরিকল্পনার আওতায় ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদনের সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি চিঠিতে জানানো হবে, যে ব্রিটিশ সরকার ব্রেক্সিটের মেয়াদ বাড়াতে চায় না৷

এদিকে সোমবারের অধিবেশনের পরেই সংসদের অধিবেশন মুলতুবি রাখার ঘোষণা করেছেন বরিস জনসন৷ অর্থাৎ আগামী ১৪ই অক্টোবর পর্যন্ত সংসদ সদস্যদের পক্ষে কোনো সক্রিয় ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে না৷ তারপর রানির ভাষণের মাধ্যমে নতুন অধিবেশন শুরু হবে৷

তবে সংসদকে উপেক্ষা করে বরিস জনসন নিজস্ব পথে এগোতে পারবেন কিনা, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে৷ তিনি ১৫ই অক্টোবর আগাম নির্বাচন চাইলেও সংসদে বিরোধী পক্ষ সোমবার সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করবে বলে জানিয়েছে৷ তারা জনসনের উপর আস্থা রাখতে পারছে না৷ চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এড়ানোর উদ্যোগ পুরোপুরি সফল হবার আগে তাই আগাম নির্বাচন চাইছে না বিরোধীরা৷

টোরি দলের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সমর্থন কমে চলেছে৷ সংসদে সরকারের বিরোধিতার কারণে ২১ জন সংসদ সদস্যকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ বরিস জনসনের ভাইয়ের পর আর এক জন মন্ত্রীও পদত্যাগ করেছেন৷ এই অবস্থায় কোণঠাসা প্রধানমন্ত্রীকে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করতে হবে কিনা, সে বিষয়েও জল্পনাকল্পনা চলছে৷ তবে রবিবার পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন৷

ব্রিটিশ সংসদ চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এড়াতে সময়সীমা পেছানোর উদ্যোগ নিলেও ইইউ সেই আবেদন মঞ্জুর করবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে৷ জার্মানির ‘ডেয়ার স্পিগেল' পত্রিকার সূত্র অনুযায়ী ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নীতিগতভাবে ব্রেক্সিটের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে৷ তবে আগের মতোই যুক্তরাজ্যকে সেই আবেদনের জন্য নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করতে হবে৷ তবে ফ্রান্সের মতো কিছু দেশ বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না৷ বলা বাহুল্য, সে ক্ষেত্রে বরিস জনসনেরই সুবিধা হবে৷ ‘দ্য ইন্ডিপেন্ডেট' সংবাদপত্রের সূত্র অনুযায়ী তিনি প্রয়োজনে ইউরোপীয় কমিশনে ব্রিটেনের কমিশনর না পাঠিয়ে এমন অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারেন, যার ফলে ইইউ ৩১শে অক্টোবরের পর ব্রিটেনকে বিদায় জানাতে বাধ্য হয়৷

সোমবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকারের সঙ্গে আলোচনা করেন৷ আইরিশ সীমান্তে ব্যাকস্টপ ব্যবস্থার বিকল্প নিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে৷ এখনো পর্যন্ত জনসন কোনো গ্রহণযোগ্য বিকল্প পেশ করতে না পারলেও জনসন আগামী ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের আগে এই প্রশ্নে বোঝাপড়ার আশা প্রকাশ করেছেন৷ ভারাদকার অবশ্য দ্রুত কোনো সমাধানসূত্রের আশা করছেন না বলে জানিয়েছেন৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ