1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইফোন, অ্যান্ড্রয়ডের পর এবার প্লে-স্টেশনের তথ্য ফাঁস

২৭ এপ্রিল ২০১১

প্রথমে স্মার্টফোন, তারপর ভিডিও গেমস৷ গ্রাহকদের নানা ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে একের পর এক প্ল্যাটফর্ম থেকে৷

অ্যাপল কোম্পানির স্মার্টফোনছবি: picture alliance/dpa

আধুনিক জীবনযাত্রার সঙ্গী হয়ে উঠছে স্মার্টফোন৷ তার অনেক গুণাগুণ৷ তবে মালিকের জন্য এত কাজ করতে হলে মালিকের হাঁড়ির খবরাখবরও জানা দরকার৷ তিনি কোথায় যান, কী করেন, কতক্ষণ থাকেন – এই সব খবর জমা হয় তার ছোট্ট মস্তিষ্কে৷ শুধু মস্তিষ্কে জমা থাকলেও না হয় মেনে নেওয়া যেত৷ কিন্তু স্মার্টফোন সেই তথ্য পাঠিয়ে দেয় আসল ‘প্রভু' – অর্থাৎ কোম্পানির কাছে৷ অবশ্যই মালিককে না জানিয়ে৷ অ্যাপল'এর আইফোন ও গুগলের ‘অ্যান্ড্রয়ড' হাতেনাতে ধরা পড়েছে৷ মার্কিন কর্তৃপক্ষ এবার অ্যাপল ও গুগল

'কে গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য পাচার সম্পর্কে জবাবদিহি শোনার জন্য তলব করেছে৷ এর মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে৷ অনুমান করা হচ্ছে, অ্যাপল ও গুগল

'এর পাশাপাশি আরও অনেক সংস্থা অবৈধভাবে গ্রাহকদের সম্পর্কে ব্যক্তিগত তথ্য জমা করে চলেছে৷

স্যামসাং কোম্পানির গ্যালাক্সি এস টু মডেল এর ফোনছবি: picture alliance/Photoshot

এবার ‘প্লে-স্টেশন' ভিডিও গেমসের স্রষ্টা সোনির বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছে৷ অনলাইনে যারা এই খেলার নেটওয়ার্কে অংশ নেন, তাদের নাম, ঠিকানা এবং সম্ভবত ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত তথ্যও চুরি হয়ে গেছে৷ ব্যবহারকারীদের সংখ্যাও কম নয়৷ এই মুহূর্তে প্লে-স্টেশন নেটওয়ার্কে প্রায় ৭ কোটি ৭০ লক্ষ অ্যাকাউন্ট রয়েছে৷ সোনি জানিয়েছে, গত ১৯শে এপ্রিল নিরাপত্তার এই ফাটল ধরা পড়ে৷ সঙ্গে সঙ্গে নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ কিন্তু গ্রাহকদের আসল কারণ জানানো হয় নি৷ মঙ্গলবার জাপানের বাজারে প্রথম ট্যাবলেট পিসি চালু করার কয়েক ঘণ্টা পর সোনি নিরাপত্তার গাফিলতির বিষয়টি স্বীকার করে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্লে-স্টেশন ব্লগে সোনি জানায়, কোনো এক ব্যক্তি বে-আইনি ভাবে ও বিনা অনুমতিতে নাম, ঠিকানা, ই-মেল ঠিকানা, জন্ম তারিখ, ইউজার নেম, পাসওয়ার্ড সহ অনেক তথ্য জোগাড় করেছে৷ কয়েক দিন ধরে নেটওয়ার্কে তদন্ত চালানোর পর সংকটের স্বরূপ বেরিয়ে এসেছে৷

এই খবর শুনে সোনির গ্রাহকরা বিস্মিত৷ সোনির মতো বিশাল কোম্পানির হাতে গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ নয়, এটা জেনে তারা মর্মাহত৷ তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এতকাল হ্যাকাররা শুধু গ্রাহকদের কম্পিউটারে হামলা চালাতো৷ ইদানিং তারা সরাসরি বড় সংস্থাগুলির ডেটাবেসকে শিকারের লক্ষ্যবস্তু করছে৷ একবার তথ্যভাণ্ডারের নাগাল পেলে তাদের হাতে যে পরিমাণ তথ্য চলে আসছে, তাতে তারা খুবই সন্তুষ্ট৷ সংস্থাগুলি সাবধান না হলে আরও এমন হামলা এড়ানো সম্ভব হবে না৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ