ইউরোপের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের দেশ আইসল্যান্ডের অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে৷ সেখানেই পাকাপাকি বসবাস করেন জার্মানির এক মানুষ৷ অভিনব এক বাড়ি তৈরি করে তিনি প্রকৃতির সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন৷
বিজ্ঞাপন
প্রকৃতির সঙ্গে মিলিয়ে বাড়ি
04:23
প্রকৃতি ও স্থাপত্যের মেলবন্ধন
নিসর্গের সঙ্গে প্রায় মিশে যায় আইসল্যান্ডের ওয়েস্টফিয়র্ডস এলাকার এই বাড়ি৷ আঞ্চলিক স্থাপত্যশৈলি থেকে প্রেরণা পেয়েই সেটি নির্মাণ করা হয়েছে৷ জার্মানির বাভেরিয়া অঞ্চলের পেটার ভাইস এই বাড়ির মালিক৷
পেটার ভাইস ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আইসল্যান্ডে বসবাস করছেন৷ ওয়েস্টফিয়র্ডস বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে তিনি কাজ করেন৷ ২০১২ সাল থেকে তিনি সস্ত্রীক এই বাড়িতে থাকেন৷ বাড়ির নক্সার সময়ে প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ তাঁদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল৷ ভিতরে সাদা কাঠ ও চক রংয়ের দেওয়াল বাইরের প্রকৃতির সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটায়৷ পেটার বলেন, ‘‘এখান থেকে অসাধারণ দৃশ্য দেখা যায়৷ বাড়িটা আসলে সেই দৃশ্যকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে৷''
দক্ষিণ পশ্চিম দিকে মুখ করে বাড়িটি দাঁড়িয়ে রয়েছে৷ দক্ষিণের বিশাল প্যানোরামা জানালা দিয়ে সূর্যের আলো প্রবেশ করে গোটা বাড়ি আলোকিত করে৷ বসার ঘর, কাজের ঘর, খাবার জায়গার প্রতিটি কোণে সেই আলো পৌঁছে যায়৷ পেটার ভাইস বলেন, ‘‘এটাই হলো দক্ষিণ দিক৷ অর্থাৎ এমনকি শীতকালেও বিস্তৃত এই উপত্যাকার কারণে সূর্যের আলো পাওয়া যায়৷ আইসল্যান্ডের অনেক অঞ্চলের মতো ওয়েস্টফিয়র্ডেও শীতকালে দু'মাস সরাসরি সূর্যের আলো পাওয়া যায় না৷ এখানে কিন্তু ১১ই ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং তারপর ১লা জানুয়ারি থেকে সূর্যালোক আসে৷ তার মাঝের সময়ে মাত্র আধ মিনিট সূর্যের মুখ দেখা যায়৷''
আইসল্যান্ডে ঘুরতে যাওয়ার ৯ কারণ
সাম্প্রতিক সময়ে আইসল্যান্ডের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা৷ কারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও সেখানে দেখার আছে অনেক কিছু৷
পুরো দেশের এক চতুর্থাংশ জায়গা জুড়ে আছে আগ্নেয়গিরি, ১২ শতাংশ এলাকায় আছে গ্লেসিয়ার, মানে হিমবাহ৷ আছে ফিয়র্ড, আছে ভ্যালি৷ প্রায় এক শতাংশ জায়গায় গাছেরও দেখা পাওয়া যায়৷ এক দেশে এত কিছুর দেখা সাধারণত আর কোথাও পাওয়া যায় না৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/K. Irlmeier
সক্রিয় আগ্নেয়গিরি
২০১০ সালে ছবির এই আগ্নেয়গিরির নাম বিশ্ব গণমাধ্যমের নজর কেড়েছিল৷ কারণ এর অগ্নুৎপাতের কারণে সেই সময় ইউরোপজুড়ে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছিল৷ আগ্নেয়গিরিটির নাম এইয়াফিয়াদলা বা এইয়াফিয়াদলাইয়োক্যুডল৷ আইসল্যান্ডে প্রায় ১৩০টির মতো আগ্নেয়গিরি আছে, যার মধ্যে ৩০টির মতো এখনও সক্রিয়৷
ছবি: picture-alliance/bt3/ZUMApress
১২’শ ফুটবল মাঠের সমান
এটি আইসল্যান্ডের সবচেয়ে বড় হিমবাহ৷ নাম ভাতনাইয়োক্যুডল৷ আকার প্রায় ১২’শটি ফুটবল মাঠের সমান৷ পর্যটকরা সেখানে যেতে পারেন৷ তবে অবশ্যই গাইড নিয়ে৷ কেননা যখন তখন বরফে ফাটল ধরে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা থাকে৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/S. Ziese
জলপ্রপাত
হিমবাহের বরফ গলা পানি উপকূলের দিকে যাওয়ার সময় কোথাও কোথাও জলপ্রপাতের সৃষ্টি করেছে৷ ছবিতে ‘গুডলফস’ জলপ্রপাত দেখতে পাচ্ছেন, ইংরেজিতে যেটা ‘গোল্ডেন ওয়াটারফল’ নামে পরিচিত৷ কত বড়? তাহলে একটু খেয়াল করে ছবিটি দেখুন৷ বাম পাশে উপরের দিকে পর্যটকদের দেখতে পাচ্ছেন?
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/K. Irlmeier
উষ্ণপ্রস্রবণ
প্রায় ৩০ মিটার উঁচু পানির এই স্তম্ভ স্থায়ী কিছু নয়৷ কয়েক মিনিট পরপর ভূমির নীচ থেকে এভাবে গরম পানি তেড়ে উপরে উঠে আসে৷ ছবির উষ্ণপ্রস্রবণটির নাম ‘স্ট্রকুর গিজার’৷ অবশ্য এররকম উষ্ণপ্রস্রবণ দেশটির অনেক জায়গাতেই আছে৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/M. Lohmann
হট স্প্রিং
‘ব্লু-লেগুন’ নামের এই জিওথার্মাল স্পা’য় গা ভেজালে নাকি কিছু ত্বক সমস্যা দূর হয়ে যায়৷ তাই পর্যটকদের সেখানে ভিড় লেগেই থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Holschneider
রাজধানী শহর
বিশ্বের অন্যান্য শহরের মতো আইসল্যান্ডের রাজধানী রেইকইয়াভিকে গেলেও রেস্তোরাঁ, বার, নাইটক্লাব এ সবের দেখা পাওয়া যাবে৷ পুরো দেশের জনসংখ্যা মাত্র তিন লাখ ২০ হাজার৷ এর মধ্যে প্রায় দুই লক্ষ নাগরিকেরই বাস রেইকইয়াভিক ও তার আশেপাশের এলাকায়৷
ছবি: picture-alliance/U. Bernhart
পৌরাণিক জন্তু
ছবির এই পাথরটি দেখতে কি দৈত্যের মতো মনে হচ্ছে? আইসল্যান্ড জুড়ে যেমন এমন দৈত্যের দেখা পাওয়া যায়, তেমনি আছে পরী, আছে ক্ষুদ্রাকৃতির মানব৷ কোথায় তাদের দেখতে পাওয়া যাবে তার জন্য রীতিমতো ডিরেক্টরিও আছে৷
ছবি: DW/E. Yorck von Wartenburg
উদীচী উষা দেখা
ইংরেজিতে নর্দার্ন লাইটস আর বাংলায় মেরুজ্যোতি বা সুমেরু প্রভা নামেও ডাকা হয়৷ এটি আসলে রাতের আকাশে আলোর এক ধরনের খেলা৷ অক্টোবরের শুরু থেকে মার্চের শেষ সময়ের মধ্যে আইসল্যান্ডে গেলে অপরূপ এই দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়৷ গ্রীষ্মের সময় আইসল্যান্ডে কখনও পুরোপুরি অন্ধকার নামে না৷ আর শীতের সময় কখনও পুরোপুরি আলোর দেখা পাওয়া যায় না৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/W. Pattyn
9 ছবি1 | 9
ঋতুর সঙ্গে মানানসই
আইসল্যান্ডে শীতকাল মানে শুধু অন্ধকার নয়৷ প্রবল বাতাস ও বিশাল পরিমাণ বরফের কারণে জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়ে৷ পেটার বলেন, ‘‘এই সব ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন, সব জানালা পুরোপুরি বরফ ঢেকে গেছে৷ উপরে উঠে দুই মিটার বরফ কোদাল দিয়ে সরাতে হয়৷ তারপরই ঘরে একটু আলো ঢুকতে পারে৷''
আবহাওয়ার এমন পরিবর্তনের বিষয়টি মনে রেখে এমন সব উপকরণ দিয়ে বাড়িটি তৈরি করা হয়েছে, যা সব পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে পারে৷ মূল কাঠামো সিমেন্ট দিয়ে তৈরি৷ তার উপর লার্চ গাছের কাঠ ও অ্যালুমিনিয়াম৷ আর ছাদের উপর ঘাস রয়েছে৷
বাড়ির ১৫০ বর্গ মিটার এলাকা দুটি ভাগে বিভক্ত – মাঝে প্রবেশদ্বার৷ পেটার ভাইস বলেন, ‘‘এই ঘরটি শীতকালে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা হয়ে যায় আর গ্রীষ্মে সবচেয়ে গরম৷ গ্রীষ্মে এখানে যে উত্তাপ সৃষ্টি হয়, তা কাজে লাগানো সম্ভব৷ তা বাকি ঘরগুলিতে প্রবেশ করতে দেওয়া যায়, অথবা মাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রা এড়াতে দরজা বন্ধ করে তা আটকে দেওয়া যায়৷''
সূর্যোদয়ের দিকে শোবার ঘরগুলি অবস্থিত৷ একটি বিছানা পুরানো কাঠ পুনর্বব্যবহার করে তৈরি৷ তার অবশিষ্ট সাদা রং পাহাড়ের উপরে জমা সাদা বরফের মতো দেখতে৷
ঐতিহ্য ও আধুনিকতা
প্রতিটি ঘর থেকে সেই অপরূপ দৃশ্য দেখা যায়৷ এমনকি বাথরুম থেকেও বাইরে বের হওয়া সম্ভব৷ পেটার বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন, ‘‘বাড়ির আকার ও শৈলি আইসল্যান্ডের চিরায়ত ঐতিহ্য মেনে তৈরি করা হয়েছে৷ সেখানকার কোনো স্কুলপড়ুয়া যেভাবে কোনো খামারবাড়ি আঁকে, বাড়িটি তেমন দেখতে৷ তবে যেভাবে ঢোকা আর বের হওয়া যায়, সেই বৈশিষ্ট্য ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের বাড়ির মতো৷''
এভাবে ঘরে-বাইরের মধ্যে সীমানা মিলেমিশে যায়৷ একদিকে সাজানো জীবনযাত্রা, অন্যদিকে জংলি প্রকৃতির মধ্যে ব্যবধান দূর হয়৷ পেটার ভাইস প্রকৃতির সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটিয়ে থাকতে চান৷ আইসল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী বাড়িগুলিতেও মানুষ এভাবেই বসবাস করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এমন জায়গায় বাড়ি তৈরির অনুমতি পেয়ে, এখানে থাকার সুযোগ পেয়ে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি৷ যাঁরা পাশের রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যান, তাঁদেরও যেন কিছু ফিরিয়ে দিতে পারছি৷ এই বাড়ির কোনোভাবে নিসর্গের সঙ্গে মানানসই হওয়া উচিত৷''
বাভেরিয়ার পেটার ভাইস ইউরোপের উত্তরপশ্চিম প্রান্তে আইসল্যান্ডের ওয়েস্টফিয়র্ডস অঞ্চলের এই সব খাড়া পাহাড়ে নিজস্ব এক নীড় খুঁজে পেয়েছেন৷
বিশ্বের ন’টি সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর দেশ
কোন কোন দেশকে বিশ্বে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর বলে গণ্য করা যেতে পারে? ফর্বস-এর প্রকাশিত তালিকাটি শুধু স্বাস্থ্য বা প্রত্যাশিত আয়ুর ভিত্তিতেই নয়, আয়তন ও জনসংখ্যাও বিচার করা হয়েছে৷
ছবি: imago/Bluegreen Pictures
মোনাকো
ফ্রেঞ্চ রিভিয়েরা-র ধারে স্বাধীন নগর-রাজ্য মোনাকো৷ জনসংখ্যা মাত্র ৩৮,৩২০৷ প্রত্যাশিত আয়ুর বিচারে দেশটি বিশ্বে তৃতীয়৷ মাথাপিছু পুলিশের হিসাব ধরলে মোনাকো বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশগুলির মধ্যে পড়ে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/U.Baumgarten
জাপান
জাপানের জনসংখ্যা হল ১২ কোটি ৭৩ লক্ষ৷ বাসিন্দাদের প্রত্যাশিত আয়ু ৮৪ বছর সাত মাস৷ জাপানকে বিশ্বের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর দেশগুলির মধ্যে ধরা হয়৷ জাপানে একশো বছরের বেশি বয়সের মানুষদের সংখ্যা পঞ্চাশ হাজার৷ জনসাধারণের মাত্র তিন দশমিক পাঁচ শতাংশ স্থূলকায়৷ সে তুলনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থূলকায়দের অনুপাত জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ বা তার বেশি৷
ছবি: DW
আইসল্যান্ড
জনসংখ্যা তিন লাখ ত্রিশ হাজার৷ সে তুলনায় আয়তন এক লাখ বর্গকিলোমিটারের বেশি৷ অবস্থান ইউরোপের উত্তর-পশ্চিমে, আটলান্টিক মহাসাগরের উত্তরাংশে৷ আইসল্যান্ডে মানুষের প্রত্যাশিত আয়ু প্রায় ৮৩ বছর৷ জিডিপি’র নয় শতাংশের বেশি ব্যয় করা হয় স্বাস্থ্য খাতে৷ আইসল্যান্ডের মানুষদের গড় উচ্চতা বিশ্বে সর্বোচ্চ৷ পুরুষদের উচ্চতা গড়ে দু’মিটার বিশ সেন্টিমিটার৷
ছবি: Fotolia/frenk58
সুইজারল্যান্ড
আল্পস পর্বতমালার কোলে অবস্থিত এই দেশটির আয়তন ৪১ হাজার বর্গ কিলোমিটার৷ জনসংখ্যা ৮০ লাখ৷ মানুষজনের প্রত্যাশিত আয়ু ৮২ বছর ছ’মাস৷ জিডিপি-র সাড়ে এগারো শতাংশ ব্যয় করা হয় স্বাস্থ্য খাতে৷ ফর্বস-এর সমীক্ষা অনুযায়ী সুইজারল্যান্ড বিশ্বের সবচেয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন দেশ৷
ছবি: S. Stroncik
লুক্সেমবুর্গ
জার্মানি, ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের সীমান্তে ছোট্ট একটি দেশ৷ আয়তন আড়াই হাজার বর্গ কিলোমিটারের কিছু বেশি, জনসংখ্যা পাঁচ লাখ পঁয়তাল্লিশ হাজার৷ প্রত্যাশিত আয়ু ৮২ বছরের কিছু বেশি৷ পাঁচ বছরের কমে শিশুমৃত্যুর ঘটনা এ’দেশে সবচেয়ে কম৷
ছবি: AP
অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা দু’কোটি ৪০ লাখের কাছাকাছি৷ বাসিন্দাদের প্রত্যাশিত আয়ু ৮২ বছরের কিছু বেশি৷ জিডিপি-র নয় দশমিক চার শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করা হয়৷ বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ার মানুষরা দেশটিকে বিশ্বের সবচেয়ে সুখি দশটি দেশের মধ্যে ফেলেন৷
ছবি: Fotolia/kraskoff
সুইডেন
স্ক্যান্ডিনেভিয়ার এই দেশটির আয়তন সাড়ে চার লাখ বর্গ কিলোমিটারের বেশি, জনসংখ্যা প্রায় দশ মিলিয়ন৷ দেশের মানুষদের প্রত্যাশিত আয়ু প্রায় ৮২ বছর৷
ছবি: picture-alliance/pixeljunge
অস্ট্রিয়া
পশ্চিম ইউরোপের কেন্দ্রে, আল্পস পর্বতমালার কোল ঘেঁষে অস্ট্রিয়া - জার্মানির প্রতিবেশী দেশ৷ চেক প্রজাতন্ত্র, স্লোভেনিয়া, ইটালি, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি, সুইজারল্যান্ড ও লিখটেনস্টাইনের সঙ্গেও অস্ট্রিয়ার সীমান্ত আছে৷ আয়তন চুরাশি হাজার বর্গ কিলোমিটারের কিছু কম, জনসংখ্যা প্রায় ৮৫ লাখ৷ হেল্থ কেয়ার সিস্টেম ইনডেক্সে অস্ট্রিয়ার স্থান ষষ্ঠ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Jaeger
নেদারল্যান্ডস
দেশটির আয়তন ৪২ হাজার বর্গ কিলোমিটার, জনসংখ্যা এক কোটি চৌষট্টি লাখ৷ আয়ুর প্রত্যাশা গড়ে ৮১ বছরের কিছু বেশি৷ দেশটির নাম নেদারল্যান্ডস বা নীচু দেশ, কেননা দেশের ৫০ শতাংশ জমি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এক মিটার নীচে৷