ক্ষুদ্র রাষ্ট্র আইসল্যান্ডের প্রকৃতির শোভা অনেক মানুষকে আকর্ষণ করে৷ কিন্তু সেখানকার পাহাড়ে বিপদের শেষ নেই৷ বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবীদের দল বিপদের সময় সর্বদা সাহায্য করতে প্রস্তুত৷
বিজ্ঞাপন
আইসল্যান্ডের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে ঝড় দানা বাঁধছে৷ তাপমাত্রা মাইনাস ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ তারই মধ্যে একদল মানুষ প্রথমবার সেখানে স্কি করতে গেছেন৷ রাত ঘনিয়ে আসার আগেই মালভূমির উপর একটি কেবিনে পৌঁছাতে চান তাঁরা৷ সেই ২৪ জন পাহাড়ে মানুষজনকে রক্ষা করার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন৷ ১৮ মাসের পাঠক্রমে তাঁরা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে পাহাড়ে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারের কাজ শিখছেন৷ উদ্ধারকর্মী গ্রেটার লাক্সডাল বিয়র্নসসন বলেন, ‘‘দুটি শীত জুড়ে কর্মসূচি রাখা হয়েছে৷ প্রায় প্রতি সপ্তাহান্তেই বেরিয়ে পড়ি৷ বেশ কঠিন কাজ৷ তরুণ-তরুণীরা এখানে অনেক কিছু শিখে পাহাড়ের উদ্ধারকর্মী হয়ে উঠবেন৷’’
সেই গত শতাব্দীর ষাটের দশক থেকেই আইসল্যান্ডে স্বেচ্ছাসেবীরা সক্রিয় রয়েছেন৷ প্রথমদিকে শুধু বয়স্কাউটরাই এমন কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত ছিল৷ এর মধ্যে গোটা দ্বীপে প্রায় ৭০টি টিম এই কাজ করতে পারে৷
আইসল্যান্ডে ঘুরতে যাওয়ার ৯ কারণ
সাম্প্রতিক সময়ে আইসল্যান্ডের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা৷ কারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও সেখানে দেখার আছে অনেক কিছু৷
পুরো দেশের এক চতুর্থাংশ জায়গা জুড়ে আছে আগ্নেয়গিরি, ১২ শতাংশ এলাকায় আছে গ্লেসিয়ার, মানে হিমবাহ৷ আছে ফিয়র্ড, আছে ভ্যালি৷ প্রায় এক শতাংশ জায়গায় গাছেরও দেখা পাওয়া যায়৷ এক দেশে এত কিছুর দেখা সাধারণত আর কোথাও পাওয়া যায় না৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/K. Irlmeier
সক্রিয় আগ্নেয়গিরি
২০১০ সালে ছবির এই আগ্নেয়গিরির নাম বিশ্ব গণমাধ্যমের নজর কেড়েছিল৷ কারণ এর অগ্নুৎপাতের কারণে সেই সময় ইউরোপজুড়ে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছিল৷ আগ্নেয়গিরিটির নাম এইয়াফিয়াদলা বা এইয়াফিয়াদলাইয়োক্যুডল৷ আইসল্যান্ডে প্রায় ১৩০টির মতো আগ্নেয়গিরি আছে, যার মধ্যে ৩০টির মতো এখনও সক্রিয়৷
ছবি: picture-alliance/bt3/ZUMApress
১২’শ ফুটবল মাঠের সমান
এটি আইসল্যান্ডের সবচেয়ে বড় হিমবাহ৷ নাম ভাতনাইয়োক্যুডল৷ আকার প্রায় ১২’শটি ফুটবল মাঠের সমান৷ পর্যটকরা সেখানে যেতে পারেন৷ তবে অবশ্যই গাইড নিয়ে৷ কেননা যখন তখন বরফে ফাটল ধরে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা থাকে৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/S. Ziese
জলপ্রপাত
হিমবাহের বরফ গলা পানি উপকূলের দিকে যাওয়ার সময় কোথাও কোথাও জলপ্রপাতের সৃষ্টি করেছে৷ ছবিতে ‘গুডলফস’ জলপ্রপাত দেখতে পাচ্ছেন, ইংরেজিতে যেটা ‘গোল্ডেন ওয়াটারফল’ নামে পরিচিত৷ কত বড়? তাহলে একটু খেয়াল করে ছবিটি দেখুন৷ বাম পাশে উপরের দিকে পর্যটকদের দেখতে পাচ্ছেন?
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/K. Irlmeier
উষ্ণপ্রস্রবণ
প্রায় ৩০ মিটার উঁচু পানির এই স্তম্ভ স্থায়ী কিছু নয়৷ কয়েক মিনিট পরপর ভূমির নীচ থেকে এভাবে গরম পানি তেড়ে উপরে উঠে আসে৷ ছবির উষ্ণপ্রস্রবণটির নাম ‘স্ট্রকুর গিজার’৷ অবশ্য এররকম উষ্ণপ্রস্রবণ দেশটির অনেক জায়গাতেই আছে৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/M. Lohmann
হট স্প্রিং
‘ব্লু-লেগুন’ নামের এই জিওথার্মাল স্পা’য় গা ভেজালে নাকি কিছু ত্বক সমস্যা দূর হয়ে যায়৷ তাই পর্যটকদের সেখানে ভিড় লেগেই থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Holschneider
রাজধানী শহর
বিশ্বের অন্যান্য শহরের মতো আইসল্যান্ডের রাজধানী রেইকইয়াভিকে গেলেও রেস্তোরাঁ, বার, নাইটক্লাব এ সবের দেখা পাওয়া যাবে৷ পুরো দেশের জনসংখ্যা মাত্র তিন লাখ ২০ হাজার৷ এর মধ্যে প্রায় দুই লক্ষ নাগরিকেরই বাস রেইকইয়াভিক ও তার আশেপাশের এলাকায়৷
ছবি: picture-alliance/U. Bernhart
পৌরাণিক জন্তু
ছবির এই পাথরটি দেখতে কি দৈত্যের মতো মনে হচ্ছে? আইসল্যান্ড জুড়ে যেমন এমন দৈত্যের দেখা পাওয়া যায়, তেমনি আছে পরী, আছে ক্ষুদ্রাকৃতির মানব৷ কোথায় তাদের দেখতে পাওয়া যাবে তার জন্য রীতিমতো ডিরেক্টরিও আছে৷
ছবি: DW/E. Yorck von Wartenburg
উদীচী উষা দেখা
ইংরেজিতে নর্দার্ন লাইটস আর বাংলায় মেরুজ্যোতি বা সুমেরু প্রভা নামেও ডাকা হয়৷ এটি আসলে রাতের আকাশে আলোর এক ধরনের খেলা৷ অক্টোবরের শুরু থেকে মার্চের শেষ সময়ের মধ্যে আইসল্যান্ডে গেলে অপরূপ এই দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়৷ গ্রীষ্মের সময় আইসল্যান্ডে কখনও পুরোপুরি অন্ধকার নামে না৷ আর শীতের সময় কখনও পুরোপুরি আলোর দেখা পাওয়া যায় না৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/W. Pattyn
9 ছবি1 | 9
আইসল্যান্ডের অপূর্ব প্রকৃতির স্বাদ পেতে প্রতি বছর আরও পর্যটক আসছেন৷ তাঁদের মধ্যে অনেকে বেশ নির্জন, বিচ্ছিন্ন এলাকায়ও চলে যান৷ যেমন রাজধানী রেইকইয়াভিক শহরের কাছেই এক পর্বতশ্রেণি৷ একটি দল সেখানে পাহাড়ে চড়ছে৷ আচমকা আবহাওয়া খারাপ হয়ে গেলে তাদের সাহায্য করতে দ্রুত বেরিয়ে পড়তে হবে৷
এই সব টিমের মধ্যে পারস্পরিক সংহতি-বোধ প্রায় কিংবদন্তির পর্যায়ে পৌঁছে গেছে৷ তাই এমন কাজের প্রতি আকর্ষণও রয়েছে৷ তবে সেই কাজ ও তার জন্য প্রশিক্ষণ – দু'টিই বেশ কঠিন৷ এবার ভয় কাটিয়ে দড়ি বেয়ে পাহাড় বেয়ে নীচে নামার পালা৷
সারাদিন স্কি করে প্রথম দলটি অবশেষে কেবিনে এসে পৌঁছেছে৷ সেখানেই রাত কাটাতে হবে৷ তবে সারাদিনের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের ধাক্কা টের পাওয়া যাচ্ছে৷ ২৪ জন প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন, ৫ জনকে মাঝপথে বিদায় নিতে হয়েছে৷ যারা টিকে গেছেন, তাদের সবার অবস্থাও ভাল নয়৷
পরের দিন ভোরে দলটি আবার বের হবার প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ আইসল্যান্ডের সরকার সাজ-সরঞ্জামের ব্যয় বহন করে স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তা করে৷ বেশিরভাগ স্বেচ্ছাসেবীই চাকরি করেন৷ পাহাড়ে দায়িত্ব পালন করার জন্য কোনো অর্থ পান না তাঁরা৷ বিয়র্নসসন বলেন, ‘‘আমার কোম্পানি যথেষ্ট সহানুভূতি দেখায়৷ প্রয়োজন পড়লেই আমাদের যেতে দেয়৷ বেশিরভাগ মালিকই তাই করে৷’’
স্বেচ্ছাসেবীরা জীবন বাঁচাতে উদ্বুদ্ধ৷ তাঁরা এই দায়িত্বকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেন৷
ক্লাস-অলিভার রিশটার/এসবি
যেসব দেশে ট্রেন চলে না
একুশ শতকে রেল ছাড়া পৃথিবীর কোনো দেশের পক্ষে টিকে থাকা কঠিন৷ এমনই মনে করেন বিশেষজ্ঞেরা৷ কিন্তু এখনো বিশ্বের বহু দেশে রেল লাইন নেই৷ দেখে নেওয়া যাক একনজরে৷
ছবি: Getty Images/AFP/K. Sahib
কুয়েত
জলপথ এবং সড়কপথে যাতায়াতের দারুণ ব্যবস্থা থাকলেও কুয়েতে রেল যোগাযোগের কোনো ব্যবস্থা নেই৷
ছবি: picture-alliance/robertharding/G. Hellier
ওমান
মরুভূমি শহর ওমানেও রেললাইনের কোনো চিহ্ন নেই, যদিও পৃথিবীর অনেক দেশেই মরুভূমির উপর দিয়ে রেললাইন বসানো হয়েছে৷
ছবি: imago/Anka Agency Internationa
ভুটান
হিমালয়ের কোলে ছোট্ট দেশ ভুটান৷ পাহাড় কেটে সেখানেও রেললাইন বসানো হয়নি৷ সমস্ত যোগাযোগের ব্যবস্থাই সড়ক পথে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
ইয়েমেন
ইয়েমেনেও ট্রেন চলে না৷ সেখানেও পরিবহণ ব্যবস্থা দাঁড়িয়ে আছে সড়কের ওপর নির্ভর করে৷
ছবি: DW/Saeed Alsoofi
লিবিয়া
আফ্রিকার শক্তিশালী দেশ লিবিয়াতেও ট্রেন চলে না৷ অদূর ভবিষ্যতে রেললাইন বসানোর কোনো পরিকল্পনাও তাদের নেই৷
ছবি: Reuters/H. Amara
কাতার
কাতারেও এত বছরে রেল লাইন তৈরি হয়নি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
রুয়ান্ডা
গৃহ যুদ্ধে বিধ্বস্ত রুয়ান্ডায় অনেক কিছুই নতুন করে তৈরি করতে হয়েছে বর্তমান সরকারকে৷ তবে রেলপথ সেখানে আগে ছিল না, এখনো নেই৷
ছবি: Imago/Xinhua/Lyu Tianran
আইসল্যান্ড
বরফঢাকা আইসল্যান্ডে পরিবহণ ব্যবস্থা খুবই উন্নত৷ কিন্তু সেখানেও রেলপথের কোনো চিহ্ন নেই৷
ছবি: AP
পাপুয়া নিউ গিনি
পাপুয়া নিউ গিনি সমুদ্রের মাঝে ছোট্ট একটা দ্বীপ৷ এতই ছোট তার আয়তন যে রেলপথের প্রয়োজনও হয় না৷
ছবি: picture-alliance/robertharding/J. Morgan
ম্যাকাও
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরো একটি ছোট দেশের নাম ম্যাকাও৷ সেখানেও রেলপথের কোনো ব্যবস্থা কোনোদিন ছিল না৷
ছবি: picture alliance/dpa/Blanches/Imaginechina
মাল্টা
ওপরে ইটালির সিসিলি এবং দক্ষিণে দক্ষিণে আফ্রিকার বালুচর৷ তারই মাঝখানে ছোট্ট দেশ মাল্টা৷ দ্বীপরাষ্ট্রটিতে রেললাইনের কোনো প্রয়োজনই হয় না৷
ছবি: Nilufar Keivan
হাইতি
ক্যারেবিয়ান এই দেশটিও আয়তনে নেহাতই ছোট৷ রেললাইনের প্রয়োজন হয়নি কখনো৷
ছবি: Getty Images/AFP/G. Robind
সোমালিয়া
পৃথিবীর দরিদ্রতম দেশগুলির অন্যতম সোমালিয়া৷ নিত্যদিন লেগে রয়েছে সমস্যা৷ সে দেশেও কোনোদিন রেললাইন তৈরি হয়নি৷
ছবি: DW
সুরিনাম
দক্ষিণ অ্যামেরিকার উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত ছোট দেশ সুরিনাম৷ রেল চলে না সেখানে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নাইজার
আফ্রিকার এই দেশটিও খুবই গরিব৷ রেলপথ বসানোর চেষ্টাও কখনো হয়নি সেখানে৷
ছবি: Reuters/Akintunde Akinleye
চাদ
মরুভূমির দেশ চাড৷ একাধারে গরিবও৷ কখনো রেললাইন পাতা হয়নি সেই দেশে৷
ছবি: imago/CHROMORANGE
সাইপ্রাস
সাইপ্রাস পর্যটনের জন্য খুবই সমৃদ্ধ৷ তবে সেখানেওকোনোদিন রেল যোগাযোগের ব্যবস্থা হয়নি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
পূর্ব তিমুর
তিমুর দ্বীপের অর্ধেকটা জুড়ে তৈরি রাষ্ট্র পূর্ব তিমুর৷ আয়তনে এতই ছোট সেই দেশ যে, রেল যোগাযোগের কোনো প্রয়োজনই হয় না৷
ছবি: picture-alliance/dpa
গিনি বিসাও
দক্ষিণ আফ্রিকার ছোট্ট একটি রাষ্ট্র গিনি বিসাও৷ সেখানেও কোনোদিন ট্রেন চলেনি৷
ছবি: DW/Braima Darame
মার্শাল আইল্যান্ড
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের ছোট্ট দেশ মার্শাল আইল্যান্ড৷ সেখানেও কোনোদিন রেলপথ তৈরি হয়নি৷ ট্রেনের প্রয়োজনও হয়নি৷
ছবি: Imago/robertharding
মরিশাস
বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রে অন্যতম মরিশাস৷ প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক যান ওই দ্বীপপুঞ্জে৷ তবে দেশটির আয়তন এতই ছোট যে, কোনোদিন রেলপথ তৈরির প্রয়োজন পড়েনি সেখানে৷
ছবি: Imago
ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোব্যাগো
ক্যারেবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোব্যাগোতেও কোনোদিন রেল যোগাযোগ তৈরি হয়নি৷
ছবি: DW/B. Sezen
মাইক্রোনেশিয়া
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র মাইক্রোনেশিয়া৷ কোনোদিনই সেখানে রেলপথ তৈরি হয়নি৷
ছবি: picture-alliance/robertharding/M. Runkel
সান মারিনো
ইতালির উত্তরে পাহাড়ঘেরা সান মারিনো একটি ছোট্ট দেশ৷ বাইক রেসিংয়ের জন্য বিখ্যাত সেই দেশে কোনোদিন রেলপথ তৈরি হয়নি৷
ছবি: Reuters/M. Rossi
সলোমন আইল্যান্ড
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে শতাধিক দ্বীপ নিয়ে তৈরি সলোমন আইল্যান্ড৷ দ্বীপরাষ্ট্রটিতে কখনো রেলপথ তৈরি করা সম্ভবই হয়নি জলের কারণে৷
ছবি: Beni Knight
টোঙ্গা
আয়তনে একেবারেই ছোট প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ টোঙ্গা৷ সেখানেও কোনোদিন রেলপথ তৈরি হয়নি৷
ছবি: E. Pickles/Fairfax Media/Getty Images
তুবালু
দক্ষিণ প্রশান্তমহাসাগরের আরেক দ্বীপরাষ্ট্র তুবালু৷ স্বাভাবিক কারণেই সেখানে কোনোদিন রেলপথ তৈরি হয়নি৷
ছবি: picture-alliance/Kyodo
বনুআতু
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের আরেক দেশ বনুআতু৷ আর সমস্ত প্রতিবেশীর মতো সেখানেও কোনোদিন রেলপথ তৈরি হয়নি৷