করোনায় আক্রান্ত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো হলো আইসিইউ-তে। অ্যামেরিকায় মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ১০ হাজার।
বিজ্ঞাপন
রোববারই তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। যুক্তরাজ্যের প্রশাসন জানিয়েছিল, রুটিন চেক আপের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু সোমবার স্পষ্ট হল, চেপ আপ নয়, অসুস্থতার কারণেই হাসপাতালে ভর্তি প্রধানমন্ত্রী। এ দিন তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে। আপাতত সরকারের জরুরি সিদ্ধান্ত নেবেন বিদেশ সচিব ডমিনিক রাব। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ''সন্ধ্যার পর থেকে জনসনের শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়। তাই তাঁকে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছে।''
দিন দশেক আগে করোনায় আক্রান্ত হন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বাড়িতেই আইসোলেশনে ছিলেন তিনি। অফিসও চালাচ্ছিলেন ঘরে বসেই। গত এক সপ্তাহে বেশ কয়েকটি ভিডিও মেসেজ সোশ্যাল নেটওয়ার্কে দিয়েছেন তিনি। নিজের শরীরের খবর দেওয়ার পাশাপাশি সার্বিক ভাবে যুক্তরাজ্য কী ভাবে করোনার সঙ্গে লড়াই করছে, সে বার্তাও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রোববার বিকেল থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তারপরেই দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জনসনকে শুভ কামনা জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ম্যার্কেল বলেছেন, ''ইইউ-র সামনে সব চেয়ে বড় সঙ্কট দেখা দিয়েছে।'' যুক্তরাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ হাজারেরও বেশি লোক। মৃত্যু হয়েছে পাঁচ হাজার ৩৭৩ জনের। সুস্থ হয়েছেন মাত্র ১৩৫ জন।
এ দিকে অ্যামেরিকার পরিস্থিতি গত ২৪ ঘণ্টায় আরও উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছেছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা তিন লক্ষ ৩৬ হাজার। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৮৭৬ জনের। মৃতের সংখ্যার নিরিখে ইটালি এবং স্পেনের পিছনেই অ্যামেরিকা। সোমবার রাত পর্যন্ত ইটালিতে মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ৫২৩ জনের। আর স্পেনে মারা গিয়েছেন ১৩ হাজার ৩৪১ জন। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউরোপে করোনা পরিস্থিতি খানিকটা আয়ত্তের মধ্যে এসেছে। নতুন সংক্রমণের হার কমতে শুরু করেছে। আগামী কয়েক দিন মৃতের সংখ্যা বাড়লেও পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। কিন্তু অ্যামেরিকার পরিস্থিতি ভয়াবহ। আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি ঘণ্টায় লাফিয়ে বাড়ছে। মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে সব চেয়ে বেশি সংক্রমণ এবং মৃত্যু ঘটবে। সপ্তাহখানেক আগে বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, আগামী দুই সপ্তাহে এক থেকে দুই লাখ পর্যন্ত লোকের মৃত্যু হতে পারে। সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসনের এক রিপোর্ট বলছে, মৃতের সংখ্যা দুই লাখও ছাড়িয়ে যেতে পারে। সেখানে বলা হয়েছে, সকলে বাড়িতে বসে থাকলেও মৃত্যু এবং সংক্রমণ এড়ানো যাবে না।
'মৃত্যুপুরী' নিউইয়র্ক
ভয়াবহ রূপ নিয়েছে করোনা-সংকট। ৬৯ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়া এই ভাইরাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর এখন মৃত্যুপুরীর মতো। দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: Reuters/J. Moon
খোলা আকাশের নীচে হাসপাতাল
হাসপাতালে আর জায়গা নেই। তাই নিউইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্ক অঞ্চলের ইস্ট মিডোর একটি মাঠ হয়ে গেছে হাসপাতাল। ছবির এই তাঁবুগুলোর ভেতরে চলছে করোনায় সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসা।
ছবি: Reuters/J. Moon
শঙ্কিত স্বাস্থ্যকর্মী
চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকট দেখা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে। কোথাও কোথাও ষ স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতদের মাঝেও শুরু হয়েছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম পিপিই-র জন্য হাহাকার। নিউ ইয়র্কের মনটেফোর মেডিকেল সেন্টার মোজেস ডিভিশন হাসপাতালে পিপিই-র দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
ছবি: Reuters/B. McDermid
লাশ আর লাশ
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুর মিছিল চলছে নিউ ইয়র্কে। হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ বের করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
ছবি: Reuters/B. McDermid
অস্থায়ী মর্গ
ওয়াইকম্ব মেডিকেল সেন্টারের মর্গে আর মৃতদেহ রাখার জায়গা নেই। তাই হাসপাতালের বাইরেই গড়ে তোলা হয়েছে অস্থায়ী মর্গ।
ছবি: Reuters/handout
মৃতদেহের অপেক্ষায়
যুক্তরাষ্ট্রে তিন লাখেরও বেশি মানুষের দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মৃত্যু হয়েছে নয় হাজার ১৫৪ জনের। শুধু নিউইয়র্কেই মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি হাজার ৫৬৫ জন। শহরের এক হাসপাতালের সামনে করোনায় মৃতদের নেওয়ার জন্য তৈরি রাখা হয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রাক।
ছবি: Reuters/J. Moon
করোনার সঙ্গে যুদ্ধ
মনটেফোর মেডিকেল সেন্টারে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিতদের চিকিৎসায় ব্যস্ত এক স্বাস্থ্যকর্মী।
ছবি: Reuters/J. Moon
ক্লান্তি
ওয়াইকম্ব হাইটস মেডিকেল সেন্টারের ক্লান্ত এক স্বাস্থকর্মী। দাঁড়িয়েই চলছে বিশ্রাম।
ছবি: Reuters/J. Moon
7 ছবি1 | 7
অ্যামেরিকায় এই মুহূর্তে সব চেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি নিউ ইয়র্কে। শুধু সেখানেই এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ১০০ জনের। প্রতিটি হাসপাতাল উপচে পড়ছে। চিকিৎসা কর্মী এবং চিকিৎসকদের ১৮ শতাংশ করোনায় আক্রান্ত। তারই মধ্যে বিশেষজ্ঞরা বার বার জানাচ্ছেন, রোগী দেখার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক পোশাক, জিনিসপত্র, টেস্ট কিট সবই অপ্রতুল। বার বার বলা সত্ত্বেও তা পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকেরই অভিযোগ, অ্যামেরিকায় যে এমন পরিস্থিতি আসতে চলেছে, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প অনেক দিন আগেই তা জানতেন। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত বিষয়টিকে সে ভাবে গুরুত্ব দেননি তিনি। প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর উন্নতিতেও মনোযোগ দেননি। এখন তারই খেসারত দিতে হচ্ছে। বস্তুত, কেন আরও অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি হলো না, তা নিয়েও অভিযোগ করছে কোনও কোনও মহল।
সংকটের সময় প্রকৃত সঙ্গী কুকুর
কথায় বলে, দুঃসময়ে প্রকৃত বন্ধু কে তা বোঝা যায়৷ কুকুর বারে বারে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়৷ কিন্তু করোনার কারণে গৃহবন্দি মানুষ অতি উৎসাহে যেভাবে কুকুর নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে, তার ফলে জটিলতা দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Imago Images/ZUMA Wire/P. Freire
সারমেয় থাকার ফায়দা
ইটালি ও স্পেনে শাটডাউনের সূচনাপর্ব থেকেই বাসায় কুকুর রাখার প্রবণতা বাড়ছে৷ করোনা সংকটের সময় কুকুর নিয়ে পথে বের হওয়ার দৃশ্য দুর্লভ নয়৷ অনেকে কারফিউ সত্ত্বেও বাইরে যাবার আছিলায় মালিকের কাছে কুকুর ধার চাইছেন৷ এমনকি কেউ কেউ অর্থের বিনিময়ে কুকুর হাঁটাতে নিয়ে যাবার সুযোগ চাইছেন বলেও সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে৷
ছবি: Reuters/A. Lingria
সকলে মিলে একা
করোনা সংকটের সময়ে শুধু মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ওলটপালট হয়ে যাচ্ছে না, পোষা কুকুরের রুটিনও আগের মতো থাকছে না৷ সারাদিন মালিক ও তাঁর স্ত্রী বাসায়৷ তারা প্রচুর কথা বলছে এবং ঘন ঘন কুকুরের গায়ে হাত বোলাচ্ছে৷ প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হাঁটতে বের হবার ঝক্কি তো রয়েছেই৷ এমনকি কুকুরের উপর পরিবারের সদস্যদের মনোমালিন্যের প্রভাবও পড়ছে৷
ছবি: Simone Alliva
ইটালিতে কুকুর নিয়ে মাতামাতি
রোমের এক সম্ভ্রান্ত পাড়ায় এক নারী অস্বাভাবিক রকম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এক কুকুর নিয়ে পথে বেরিয়েছেন৷ ‘ডিয়র’ নামের সেই কুকুরের গায়ে সম্ভবত সুগন্ধিও স্প্রে করা হয়েছে৷ ইটালির সার্দিনিয়া দ্বিপেও করোনা সংকটের সময় বিচিত্র ঘটনা চোখে পড়ছে৷ যেমন মামোইয়াদা শহরের মেয়র মানুষকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, যে কারফিউয়ের সময়ে শুধু আসল কুকুর নিয়ে পথে বের হওয়া চলে, কুকুরের পুতুল নিয়ে নয়৷
ছবি: Reuters/A. Lingria
করোনায় পরোয়া নেই
কুকুরও কি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শিকার হতে পারে এবং তারপর মানুষজনের শরীরে সেই ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে? ফ্রিডরিশ-ল্যোফলার ইনস্টিটিউটের সূত্র অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত এমন কোনো দৃষ্টান্ত দেখা যায় নি৷ তবে কাগজে কলমে কোনো করোনা রোগী কুকুরের গায়ে হাত বোলালে কুকুরের লোমে ভাইরাস বাসা বাঁধতে পারে বৈকি৷ তবে এমন সংক্রমণের ঝুঁকি অত্যন্ত কম৷
ছবি: Getty Images/H. Adams
ছবির জন্য হাসিমুখ
করোনা সংকটের সময় কুকুর ও মালিকের সম্পর্ক আরও জোরালো হয়ে উঠছে৷ যেমন লেবাননের এক কুকুরের মালিক বৈরুতের সমুদ্রতটের কাছে বিখ্যাত ‘কবুতর টিলা’-র সামনে গর্বভরে ছবি তুলিয়েছেন৷ প্রতি বছর সেখানে লাফ মারার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷
ছবি: Reuters/M. Azakir
ভালবাসার রং হলুদ
মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে করোনা ভাইরাসের প্রথম ঘটনার পরেই ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো গোটা দেশকে কোয়ারেন্টাইনের অন্তর্গত করেছেন৷ বর্তমান সংকটের আগেই ভেনেজুয়েলার স্বাস্থ্য পরিষেবা অবকাঠামো প্রায় ভেঙে পড়তে বসেছিল৷ হাসপাতালে সাবান, স্যানিটাইজার ইত্যাদির চরম অভাব দেখা যাচ্ছে৷ রাজধানী কারাকাসে এক ব্যক্তি পোষা কুকুর ও নিজের জন্য মাস্ক তৈরি করেছেন৷
ছবি: AFP/F. Parra
শহরের বাইরে যাবার পালা
প্রায় ভুতুড়ে এক দৃশ্য বটে৷ এক কুকুরের মালিক সিয়াটেল শহরের প্রায় খালি এক ফেরি থেকে নেমে আসছেন৷ করোনা সংকটের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনজীবন প্রায় স্তব্ধ হয়ে গেছে৷ দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা হুহু করে বেড়ে চলেছে৷
ছবি: Reuters/B. Snyder
আমার কুকুর, আমার অন্তরাত্মা
করোনা সংকটের জের ধরে জার্মানিতে সরকারি বিধিনিষেধ সত্ত্বেও বাসার বাইরে বের হতে হলে সঙ্গে কুকুর রাখার প্রয়োজন নেই৷ মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রকাশ্যে দুইয়ের বেশি মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ হলেও কারফিউ জারি করা হয় নি৷ একা অথবা আরেক ব্যক্তির সঙ্গে অনায়াসে হাঁটা যায়৷ সঙ্গে পছন্দের পোষা কুকুর থাকলে তো আরও ভালো৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Stratenschulte
8 ছবি1 | 8
অ্যামেরিকায় সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি এবং মিশিগান। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মোকাবিলায় সমস্যা যে হচ্ছে তা স্বীকার করে নিচ্ছে প্রশাসনও। নিউ ইয়র্কের মেয়র জানিয়েছেন, এই সময়ে দেশের প্রয়োজন কয়েকজন হিরো বা নায়কের। যাঁরা অকুতোভয়ে রোগীর সেবায় ঝাঁপিয়ে পড়বেন। যদিও প্রশ্ন উঠছে, চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না দিলে হিরো মিলবে কী করে? বস্তুত, নিউ ইয়র্কের পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে মৃতদেহ রাখার জন্য অস্থায়ী মর্গ তৈরি করতে হয়েছে। প্রশাসন ভাবছে, একটি পার্ক চিহ্নিত করে সেখানে আপাতত কবরেরও ব্যবস্থা করা হবে। কারণ, এক সঙ্গে যে পরিমাণ মৃতদেহ আসছে, তা কবর দেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না।
চীনে নতুন করে করোনা ছড়ালেও তা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে বলেই জানিয়েছে সেখানকার সরকারি সংবাদমাধ্যম। একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, সোমবার করোনায় একজনেরও মৃত্যু হয়নি। গত কয়েক মাসের মধ্যে এই প্রথম চীনে এমন ঘটনা ঘটল। যদিও গত কয়েক দিনে চীনে ফের করোনার সংক্রমণ সামান্য বেড়েছে। চীন সরকারের অবশ্য দাবি, বিদেশ থেকেই এই রোগ নিয়ে ফিরেছেন আক্রান্তরা। দেশের ভিতরে নতুন করে সংক্রমণ ঘটেনি।
জাপানও করোনা মোকাবিলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় জাপানের পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো। করোনা সংক্রমণ এখনও সে ভাবে প্রবল ভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার জাতি সঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বসার কথা। এই প্রথম করোনা নিয়ে বৈঠকে বসবে জাতি সঙ্ঘ।