1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইসিস না আসাদ, যুদ্ধ কার বিরুদ্ধে?

বাহা গ্যুনগর/এসি২ অক্টোবর ২০১৪

তুরস্ককে এখন সিরিয়া ও ইরাকে আইসিস বা আইএস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রামে সামরিকভাবে সংশ্লিষ্ট হতে হবে – কুর্দদের সঙ্গে একযোগে৷ এভাবেই তুরস্ককে তার অস্থির বিদেশনীতির মূল্য চোকাতে হচ্ছে৷ এ নিয়েই সংবাদভাষ্য, লেখক বাহা গ্যুনগর৷

Türkei - Syrische Flüchtlinge aus der Stadt Kobane
ছবি: Getty Images/Stringer

ভয় দেশের যৌথ সীমান্তের সিরীয় তরফে অবস্থিত রণাঙ্গণ থেকে রোজ যা খবর আসছে, তা তুরস্কের পক্ষে ক্রমেই আরো বেশি নাটকীয় হয়ে উঠছে৷ তুরস্কের সীমান্ত থেকে অদূরে অবস্থিত সিরীয় কুর্দদের শহর কোবানের উপর ইসলামিক স্টেট সন্ত্রাস গোষ্ঠীর অভিযান এ যাবৎ রোখা সম্ভব হয়নি৷ সিরিয়ার অপরাপর অঞ্চল এবং সেই সঙ্গে উত্তর ইরাক থেকেও আইসিস-এর উত্তরোত্তর সাফল্যের খবর পাওয়া যাচ্ছে৷

আজ বৃহস্পতিবার তুর্কি সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে, সীমান্ত পেরিয়ে সিরিয়া তথা ইরাকের রাজ্যাঞ্চলে তুর্কি সেনাবাহিনীর অভিযান অনুমোদন করা হবে কিনা৷ আইসিস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রামে সংশ্লিষ্ট বিদেশি সেনা গোষ্ঠী তুরস্কের রাজ্যাঞ্চল ব্যবহার করতে পারবে কিনা, সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷

শত্রু কে এবং লক্ষ্য কি?

দামেস্ক সরকারের প্রকাশ্য সম্মতি ছাড়া সিরিয়ার রাজ্যাঞ্চলে অগ্রসর হওয়াটা তুরস্ক ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন মিত্রশক্তিদের পক্ষে সমস্যাকর হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ আসাদ প্রশাসনের আইসিস-ভীতি কম নয়; কাজেই বাইরে থেকে যে কোনো রকমের সাহায্যের জন্যই আসাদ প্রশাসনের খুশি হওয়ার কথা৷ এছাড়া যৌথ শত্রুর আবির্ভাবের ফলে যদি আসাদের বিরুদ্ধে পশ্চিমের কড়া মনোভাব অন্তত কিছুটা নরম হয়, তা-তেই বা ক্ষতি কি? কিন্তু তা সত্ত্বেও সিরিয়ার রাজ্যাঞ্চলে সামরিক অভিযান চালানোর কোনো অনুমতি আসাদ প্রশাসনের তরফ থেকে দেওয়া হয়নি৷

বাহা গ্যুঙ্গোর

মর্জিমতো সিরিয়ায় ঢুকে আইসিস-এর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো তুরস্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অথবা তাদের মিত্রদের পক্ষে খুব সমীচিন হবে না: দামেস্ক সে ধরনের অভিযানকে ‘‘যুদ্ধঘোষণা'' হিসেবে গণ্য করতে পারে – যার ফলশ্রুতি হবে অনিশ্চিত৷ অপরদিকে তুরস্ক কিংবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের উত্তরোত্তর আচরণ একনায়ক আসাদ-এর সম্মতির উপর নির্ভরশীল করতে পারে না৷ এই জটিলতা থেকে মুক্তি পাবার একমাত্র পন্থা হলো জাতিসংঘের একটি প্রশস্ত সনদ – যার পিছনে বিশ্ব নিরাপত্তা পরিষদের দুই স্থায়ী সদস্য রাশিয়া ও চীনেরও সমর্থন থাকবে৷

স্বখাত সলিল

তুরস্ক আজ যে উভয়সংকটের সম্মুখীন, তার জন্য তুরস্ক নিজেই প্রধানত দায়ী৷ আসাদের শীঘ্র পতন ঘটবে, বলে তুরস্ক ধরে নিয়েছিল৷ তুরস্ক যাবতীয় আসাদ-বিরোধীদের নির্বিচারে সাহায্য করে সেই সঙ্গে ইসলামি মৌলবাদীদেরও হাত শক্ত করেছে৷ আইসিস সমর্থকদের বিভিন্ন গোষ্ঠী ও সন্ত্রাসের ‘সেল' তুরস্কেও দানা বেঁধে থাকতে পারে, এই সন্দেহ তুর্কি সমাজকে সচকিত ও আতঙ্কিত করে তুলেছে৷

আইসিস সন্ত্রাসীরা প্রথম ওসমানি সুলতানের পিতামহের সমাধিসৌধে ৩৬ জন তুর্কি গার্ড অফ হনারকে ঘিরে ফেলেছে, এই খবর যদি সত্যি হয়, তাহলে তুরস্ক কোনোমতেই নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না৷ সমাধিসৌধটি সিরিয়ার অভ্যন্তরে তুরস্কের একটি এক্সক্লেভ৷

সবে মিলে করি কাজ

সেই এক্সক্লেভে যা ঘটেছে, তার বিবরণ আজ তুর্কি সংসদে বিপুল বিতর্কের অবতারণা ঘটাবে, বলে ধরে নেওয়া যায়৷ কিন্তু সরকারের পরিকল্পনা সমর্থন করা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প আছে কি? বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দল, ধর্মীয়-রক্ষণশীল একেপি দলের বিধায়করা মধ্যপ্রাচ্যে ন্যাটোর বহির্সীমান্তে সংঘটিত যুদ্ধে তুর্কি সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ অনুমোদন করবেন বলেই ধরে নেওয়া যায়৷

তুরস্কের বর্তমান আশঙ্কা ও সমস্যাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে কুর্দদের প্রতি শান্তিপূর্ণ নীতির সম্ভাবনা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হবার বিপদ দেখা দিয়েছে – যা কিনা আংকারার অনিশ্চিত মধ্যপ্রাচ্য নীতির অপর একটি নেতিবাচক ফলশ্রুতি৷ তুরস্কের আনাতোলিয়া প্রদেশের পূর্বাঞ্চলে ও দক্ষিণ-পূর্বে কুর্দ ও তুর্কিদের মধ্যে নতুন উত্তেজনা ‘ইসলামিক স্টেট'-এর বিরুদ্ধে যৌথ সংগ্রামে প্রতিবন্ধক হয়ে দেখা দিতে পারে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ