আই ওয়েইওয়েই অপরাধ স্বীকার করেছেন বলে দাবি
১৫ এপ্রিল ২০১১![](https://static.dw.com/image/6500136_800.webp)
বেইজিং সমর্থিত ‘ইয়েন ওয়াই পো' সংবাদপত্রটিতে বলা হয়, ৫৩ বছর বয়সি এই শিল্পী নিজের অপরাধ প্রথমে অস্বীকার করলেও এখন তা স্বীকার করে চীনা কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করছে৷ সংবাদপত্রটি হংকং থেকে প্রকাশিত হলেও এর তত্ত্বাবধানে রয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ৷ এই পত্রিকায় আরও বলা হয়, পুলিশ জানিয়েছে তাঁদের কাছে এমন অনেক প্রমাণ রয়েছে যে আই ওয়েই ওয়েই কৌশলে বড় অঙ্কের কর ফাঁকি দিয়েছেন৷ সেখানে আরও বলা হয়েছে, আই এই সংক্রান্ত তাঁর কাগজপত্র পুড়িয়ে ফেলেছিলেন৷ এছাড়া তাঁর দু'জন স্ত্রী ছিল এবং তিনি অনলাইনে পর্নোগ্রাফি ছড়াতেন৷
তবে হংকং রেডিও স্টেশন আরটিএইচকে আই'এর বোন গাউ এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, আই ওয়েই ওয়েই এর বিরুদ্ধে আনা এইসব অভিযোগ সঠিক নয়৷ এই ধরণের প্রতিবেদনের মাধ্যমে আই'এর মানসম্মান ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে৷
গত এপ্রিলের ৪ তারিখে আই'কে আটক করা হয়৷ বেইজিং থেকে হংকং এ যাবার জন্য বিমানে আরোহণের সময় থেকে তাঁকে আটক করে সরকার৷ তবে তাঁকে আটকের পর থেকে তাঁর অবস্থান সম্পর্কে কিছু প্রকাশ করেনি সরকার৷ তাঁকে আটক করে রাখায় মানবাধিকার গোষ্ঠীসহ সারা বিশ্বে সমালোচনার ঝড় ওঠে৷ বেইজিং তাঁর সম্পর্কে তেমনভাবে মুখ না খুললেও এটা নিশ্চিত করেছে যে, তাঁর বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অপরাধের অভিযোগে তদন্ত চলছে৷
এদিকে সম্প্রতি বছরগুলোর মধ্যে চীনের মানবাধিকার আন্দোলনের মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছে আই৷ বেইজিং এর বার্ডস নেস্ট অলিম্পিক স্টেডিয়ামের শৈল্পিক কারুকার্যের পরামর্শদাতা হিসেবে এবং তাঁর বিশ্বমানের শিল্পকর্মের জন্য তিনি আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন৷
অন্যদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চীনের পুলিশ নি ইয়ুলান নামে আরও একজন প্রখ্যাত মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবীকে আটক করেছে৷ ইয়ুলান এর বয়স ৪৯ বছর৷ সরকার বিরোধী মনোভাব জাগ্রত করার অভিযোগে তাঁকে আটক করা হয়েছে৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন