1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিএনপি আন্দোলনে

সমীর কুমার দে, ঢাকা২২ নভেম্বর ২০১৩

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অবস্থান এখন পরিষ্কার হয়ে গেছে৷ নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগ পুরো প্রস্তুতি নিয়ে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে৷ কিন্তু সঙ্গে নেই বিএনপি৷

TO GO WITH Bangladesh-vote-Zia-Hasina,PROFILE by Shafiq Alam (FILES) In this combination of pictures created on December 23, 2008, Bangladesh's last prime minister Khaleda Zia (L) and last opposition leader Sheikh Hasina Wajed (R) gesture during their respective political rallies in Dhaka on December 21, 2005 and February 5, 2006. Bangladesh's feuding former prime ministers are fighting to return to power in elections next week that will restore democracy after two years of army-backed government. Despite international hopes that Bangladeshi politics could open up a new chapter, either Sheikh Hasina Wajed or Khaleda Zia -- nicknamed the 'battling begums' for their longstanding rivalry -- will soon be back in control. Both women, from opposing political dynasties, were jailed for a year on corruption charges by the current regime but deals have seen them released from custody to ensure they take part in the vote. Sheikh Hasina, who is seen as the favourite to win, ruled Bangladesh from 1996-2001 but has struggled to escape from the shadow of her father who led the country to independence before being assassinated in a military coup. The killings in 1975 wiped out almost all of Sheikh Hasina's family including her mother, three brothers, and father, president Sheikh Mujibur Rahman, who led Bangladesh in its liberation struggle against Pakistan in 1971. AFP PHOTO/Farjana K. GODHULY/FILES (Photo credit should read FARJANA K. GODHULY/AFP/Getty Images)
ছবি: Getty Images/AFP/FARJANA K. GODHULY

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অবস্থান এখন পরিষ্কার হয়ে গেছে৷ নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগ পুরো প্রস্তুতি নিয়ে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে৷ কিন্তু সঙ্গে নেই বিএনপি৷

বৃহস্পতিবার গঠন করা হয়েছে নির্বাচনকালীন সরকার৷ তবে সেই সরকারে অংশ নেয়নি প্রধান বিরোধী দল বিএনপি৷ সবকিছু মিলিয়ে আওয়ামী লীগ এখন পুরোপুরি নির্বাচনমুখী৷ ওদিকে, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সব আশা ছেড়ে এখন আন্দোলনের মাধ্যমেই দাবি আদায়ের কৌশল বেছে নিয়েছে৷ এর অংশ হিসেবে আগামী সোমবার থেকে টানা হরতাল আর অবরোধের পরিকল্পনাও রয়েছে দলটির৷ এই অবস্থায় আগামী দু-তিন দিনের মধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন৷

ছবি: Reuters


বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনকালীন সরকার গঠন আর সংসদ অধিবেশন শেষ হয়ে যাওয়ায় সমঝোতার আর আশা নেই৷ নেই সুযোগও৷ কারণ সংসদ অধিবেশন শেষ হওয়ায় নির্বাচনকালীন সরকার ছাড়া নতুন করে নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থায় ফেরার কোনো পথ খোলা নেই৷ পাশাপাশি বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হওয়ায়, বিএনপির সামনে আন্দোলন ছাড়া আর কোনো পথ নেই বলেই মনে করছেন দলটির নেতারা৷ এমন পরিস্থিতিতে সামনের সময়ে রাজপথে সহিংসতা আর হানাহানি ছাড়া অন্য কিছু দেখা যাচ্ছে না৷

ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan

বিশ্লেষকদের কথায়, আওয়ামী লীগ তার মিত্রদের নিয়ে যে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করেছে তা দিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব হবে না৷ কারণ, প্রধান বিরোধী দল ছাড়া নির্বাচন হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না কখনোই৷ এছাড়া, আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনকালীন সরকারে যাঁরা আছেন তাঁদের সবাই বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটের অংশীদার হয়েই নির্বাচন করেছিল৷ এ কারণে নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে সরকার ১৮ দলীয় জোটে ভেঙে সেখান থেকে দু-একটি দলকে নির্বাচনে আনার চেষ্টা করছে৷ এমনকি, নির্বাচনকালীন সরকারে তাঁদের মন্ত্রীত্ব বা মন্ত্রী পদমর্যাদায় সরকারের উপদেষ্টা করার চেষ্টা চলছে৷ বিশেষ করে কর্ণেল (অব.) অলি আহমেদের এলডিপি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারাকে সরকারের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য জোর চেষ্টা চলছে৷ তবে শেষ পর্যন্ত তাঁরা আসেন কিনা, সেটাই দেখার৷ প্রসঙ্গত, এই দুটি দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে আছে৷


বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হক বলেছেন, জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর সমঝোতার আর কোনো সুযোগ রইল না৷ এখন আর আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কোনোভাবেই সমঝোতায় পৌঁছানো যাবে না৷ সংসদ অধিবেশন শেষ হয়ে যাওয়ায় দুই জোটের মধ্যে আর আলোচনারও সুযোগ নেই৷ তাঁর মতে, বিএনপির সামনে এখন মাত্র দুটি পথ খোলা রয়েছে৷ এর একটি, যা কিছু হয়েছে তার সব কিছু মেনে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়া৷ অপরটি হলো, আন্দোলনের মাধ্যমে নির্বাচন স্থগিত করে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসতে সরকারকে বাধ্য করা৷ কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যে, প্রথম পথে বিএনপি যাবে না বা যাওয়ার সুযোগও নেই৷ তাই তারা এখন আন্দোলনের মাধ্যমেই দাবি আদায়ের চেষ্টা করবে৷


বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকারে বিষয়ে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তে আশাহত হয়েছে বিরোধী দল বিএনপি৷ সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রাষ্ট্রপতি তাঁকে নির্বাচনকালীন সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন৷ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিরোধী দলীয় নেতার সাক্ষাতের পর এ রকম সিদ্ধান্ত হয়ত আশা করা যায় না৷ তিনি বলেন, বিএনপি আশা করেছিল, রাষ্ট্রপতি দেশের ১৬ কোটি মানুষের ‘অভিভাবক' হিসাবে সংকট নিরসনে দুই দলের মধ্যে সংলাপের উদ্যোগ নেবেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘আমরা আবারো রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি সময় এখনও শেষ হয়নি৷ আপনি সমঝোতার উদ্যোগ নিন৷'' বিএনপিকে বাদ দিয়ে ‘একতরফা' নির্বাচন করতে দেয়া হবে না বলেও সরকারকে হুঁশিয়ার করেন বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ৷ তিনি বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগ সে চেষ্টা করলে ভুল করবে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ