দীর্ঘ ১৫ বছর গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত: প্রধানমন্ত্রী
২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
আওয়ামী লীগ সরকার বার বার ক্ষমতায় এসেছে বলেই দীর্ঘ ১৫ বছর দেশে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে নির্বাচনি জনসভায় বক্তৃতাকালে এ মন্তব্য করেন তিনি৷
বিজ্ঞাপন
আওয়ামী লীগ সরকার বার বার ক্ষমতায় এসেছে বলেই দীর্ঘ ১৫ বছর দেশে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে নির্বাচনি জনসভায় বক্তৃতাকালে এ মন্তব্য করেন তিনি৷
নতুন ভোটারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নতুন ভোটার যারা প্রথমবার ভোট দিতে আসবেন, নিশ্চয়ই চাইবেন না আপনার ভোট ব্যর্থ হোক৷
তরুণ সমাজের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আমরা বিশ্বাস করি তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতি৷ আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নৌকাকে জয়যুক্ত করবেন৷''
আজ বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান৷ জনসভায় বরিশাল বিভাগের সব আসনে নৌকার প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘বারবার আওয়ামী লীগ সরকার এসেছে বলে, দীর্ঘ ১৫ বছর গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে৷ এজন্য আজ বাংলাদেশে এত উন্নয়ন হয়েছে৷ যখন জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ার আমলে বাংলাদেশের উন্নতি হয়নি৷ তাদের সময় বাংলাদেশ পেছনের দিকে চলে গেছে৷''
দেড় হাজার কোটি টাকার নির্বাচনের অর্থ কী?
01:06:51
‘‘আওয়ামী লীগ এলে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যায়'' মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘‘এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে৷ আমি বাংলাদেশের মানুষের জন্যই কাজ করে যাই৷ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা আমি গড়তে চাই৷ আমার জীবনে যত বাধাই আসুক, একে একে সব অতিক্রম করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি৷''
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত জনতার কাছে আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট চান৷ এর আগে, বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী সমাবেশস্থলে পৌঁছান৷ সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন৷
গত ২০ ডিসেম্বর সিলেট থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ এরপর ২৬ ডিসেম্বর রংপুরে সভা করেন তিনি৷
এপিবি/এসিবি (দ্য ডেইলি স্টার বাংলা)
ঢাকায় নির্বাচনি প্রচারণায় নেই আচরণবিধির বালাই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রচারণা চলছে জোরেশোরে৷ কিন্তু নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া প্রার্থী ও প্রচারণার আচরণ বিধিমালা রাজধানী ঢাকায় যেন শুধু কাগজকলমেই সীমাবদ্ধ। দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: Rashed Mortuza/DW
সড়কে ক্যাম্প
নির্বাচন আচরণ বিধিমালায় বলা হয়েছে, সড়কে বা সাধারণ চলাচলের পথে কোনো ধরনের ফটক, তোরণ অথবা ক্যাম্প নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু ঢাকার ফার্মগেট এলাকার খামারবাড়ি মোড়ে দেখা গেল এমন একটি নির্বাচনি ক্যাম্প৷
ছবি: Rashed Mortuza/DW
নেই মুদ্রণের বিস্তারিত
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে প্রকাশিত গেজেটে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, নির্বাচনি প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত পোস্টারে মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা এবং পোস্টার মুদ্রণের তারিখ লিখে দিতে হবে। কিন্তু ঢাকা-৮ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের পোস্টারে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্যই দেখা গেল না।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
গাছেও ব্যানার
নির্বাচন আচরণ বিধিমালাতে কোনো গাছ, বৈদ্যুতিক খুঁটি, ব্রিজের পিলার, সড়ক দ্বীপ, সড়ক বিভাজক, বাড়ির ছাদে কোনো ধরনের পোস্টার, ব্যানার ইত্যাদি ঝুলানোয় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সরেজমিনে ঘুরে প্রায় প্রতিটা সড়কেই এই বিধিমালার বিপরীত চিত্র দেখা গেল।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
পথরোধ করে জনসভা
নির্বাচন আচরণ বিমিমালায় পূর্বানুমতি সাপেক্ষে পথসভা ও ঘরোয়াসভা করার কথা বলা হলেও অধিকাংশ প্রার্থীই তা মানছেন না। জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে ও চলাচলের সড়ক আটকে জনসংযোগ করছেন প্রার্থীগণ৷
ছবি: Rashed Mortuza/DW
অসময়ে মাইক
অযান্ত্রিক যানবাহনে দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে নির্বাচনি প্রচারে মাইক ব্যবহারের কথা নির্বাচন বিধিমালায় বলা হলেও পুরান ঢাকার এতিমখানা রোডে সকাল ১১টায় মাইকিং করতে দেখা যায়।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের ক্ষতিসাধন
পুরান ঢাকার লালবাগ কেল্লার দেওয়ালে কর্তৃপক্ষের নোটিশ অগ্রাহ্য করে ঢাকা-৭ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী হাজী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আহম্মেদের পোস্টার লাগাতে দেখা হয়।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
ফটক বা তোরণ নির্মাণ
নির্বাচন আচরণ বিধিমালায় বলা হয়েছে, প্রচারণায় কোনো ধরনের স্থায়ী বা অস্থায়ী বিলবোর্ড বা তোরণ নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু পুরান ঢাকার লালবাগ এলাকায় ঢাকা-৭ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিমের নির্বাচনি প্রচারণায় এই বিধি ভঙ্গ করা হয়েছে।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
দেওয়াল ছেয়ে গেছে পোস্টারে
পুরান ঢাকার অধিকাংশ দেওয়াল নির্বাচনি পোস্টারে প্রায় ঢেকে গেছে। অথচ নির্বাচন আচরণ বিধিমালায় বলা রয়েছে, দেওয়ালে কোনোরূপ পোস্টার লাগানো অথবা রং দিয়ে কারো প্রচারণা করা যাবে না।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
ব্যক্তিগত বাহনে পোস্টার
নির্বাচন বিধিমালায় বলা হয়েছে, নির্বাচনি প্রচারণায় বাস, কার, ট্রাক, ট্রেন, লঞ্চ সব ধরনের যানবাহনে প্রার্থীর কোনো পোস্টার লাগানো যাবে না। কিন্তু পুরান ঢাকার এতিমখানা রোডের এক সরকারি কার্যালয় প্রাঙ্গণে একটি ব্যক্তিগত গাড়িতেও পোস্টার দেখা যায়।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
ঢাকার বাইরে প্লাস্টিকে মোড়ানো পোস্টার
নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন সংক্রান্ত বিধিমালায় বলা হয়েছে, পোস্টার বা ব্যানার সাদা-কালো রঙের হতে হবে এবং কাগজের পোস্টার কোনোরূপ পলিথিনে মোড়ানো যাবে না। কিন্তু ঢাকার এক প্রেসে গিয়ে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের পোস্টারে এই বিধিমালা ভঙ্গের নমুনা দেখা যায়।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
বিধি ভঙ্গের শাস্তি
নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ করলে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। শাস্তি হিসেবে অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড, অনধিক ৫০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডে প্রার্থীকে দণ্ডিত করা হতে পারে।