অধ্যাপক জাফর ইকবাল
২৩ মে ২০১৫![Bangladesch Parlament Gebäude in Dhaka](https://static.dw.com/image/15745599_800.webp)
গত ৯ মে সিলেটের এক অনুষ্ঠানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)-র শিক্ষক মুহাম্মদ জাফর ইকবালকে চাবুক মারার ইচ্ছা প্রকাশ করেন সিলেট - ৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস৷ জাফর ইকবাল শাবিপ্রবি-তে সিলেটের কেউ ভর্তি হোক তা চাননা – এমন এক অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগের এই সাংসদ জনপ্রিয় লেখক জাফর ইকবালকে চাবকানোর কথা বলেন৷ কয়েস বলেন, ‘‘জাফর ইকবাল চায় না এই সিলেটের মানুষ শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হোক৷ আর সিলেটের মানুষ তাঁকে ফুল চন্দন দিয়ে, প্রত্যেক দিন সুন্দর সুন্দর ফুল নিয়ে প্রত্যেক দিন মূর্তি পূজা করতে যায়৷.... আমি যদি বড় কিছু হতাম, তাহলে ধরে তাকে ইকবাল) চাবুক মারতাম৷''
বিষয়টি সেখানেই থেমে থাকেনি৷ পরে ‘সিলেটবাসী'র ব্যানারে একটি মিছিলও হয়েছে৷ অধ্যাপক জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে বিষোদগার করার জন্য আয়োজিত এই মিছিলের নেতৃত্বে সিলেট আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতাকেই দেখা গেছে বলে সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে৷
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কঠোর সমালোচনা করেও খবরের শিরোনামে এসেছেন মুহাম্মদ জাফর ইকবাল৷
ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যাকাণ্ডের পরের ভূমিকা নিয়ে সরকারের সমালোচনার জবাবে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাম্প্রতিক মন্তব্য মৌলবাদীদের উৎসাহিত করেছে – এমন মন্তব্য করেছিলেন অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল৷
এর আগে নিহত ব্লগার অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী বন্যাও তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেন৷ বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদপত্র এবং অনলাইন পোর্টালের খবর অনুযায়ী অভিজিৎ রায়ের স্ত্রীর সমালোচনার জবাবে সজীব ওয়াজেদ জয় রয়টার্সকে বলেছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি তাঁর মা, অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য এতটাই নাজুক যে প্রকাশ্যে তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) কিছু বলা স্পর্শকাতর ছিল, তাই তিনি ব্যক্তিগতভাবে অভিজিতের বাবাকে সমবেদনা জানালেও হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি৷ সংবাদপত্র এবং অনলাইন পোর্টালগুলো এ বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়েছে এমন খবরও বাংলাদেশের সংবাদপত্রে বাংলাদেশের সাংবাদিকই তথ্যসহ লিখেছেন
কিন্তু সিলেট-৩ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েসের মুহাম্মদ জাফর ইকবালকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য এবং ‘সিলেটবাসী'-র ব্যানারে ‘প্রতিবাদ মিছিল' করা হলেও শাবিপ্রবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাঁরা সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ উত্থাপন করতে পারেননি৷ একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন তৎপরতায় সাংবাদিক , ব্লগার
এমনকি আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্র লীগের কোনো কোনো নেতাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন৷ তাঁরা জানিয়েছেন, অধ্যাপক জাফর ইকবালে পাশে তাঁরা ছিলেন এবং থাকবেন৷
এসিবি/এসবি