1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আকাশেই নগর পরিবহণের জট ছাড়ানোর চাবিকাঠি

২ মে ২০২২

নগর পরিবহণের দশা নিয়ে ঢাকা-কলকাতার মতো জনবহুল শহরের মানুষের অভিযোগ কম নয়৷ সীমিত জায়গায় মানুষের চলাচল সহজ করতে নতুন সব কনসেপ্ট উঠে আসছে৷ জার্মানির এক বিশ্ববিদ্যালয় সেই দিশা দেখাচ্ছে৷

REV Seilbahn Future Now
ছবি: DW

ভিড়ে ঠাসা মেট্রো রেল, প্রবল যানজট – শহরে জায়গার অভাব বারবার স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, এবার আকাশে হাত বাড়ানোর সময় এসে গেছে৷ জার্মানিপ আখেন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ কাই উভে শ্র্যোডার মনে করেন, ভবিষ্যতের মোবিলিটির জন্য আমাদের এক চাবিকাঠি রয়েছে, কারণ এভাবে অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব৷

আরও বেশি নগর পরিবহণ প্রকল্পের ক্ষেত্রে তৃতীয় মাত্রা গুরুত্ব পাচ্ছে৷ আখেন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আর এক বিশেষজ্ঞ টোবিয়াস মাইনার্ট বলেন, ‘‘পথের জমি সীমিত হওয়ায় আমরা উপরের অংশও ব্যবহার করতে চাই৷ প্রতিদিনই গাড়িঘোড়ার ভিড় দেখতে পাচ্ছি৷’’

‘অটোবান' নামের এক প্রকল্পের আওতায় পাঁচ থেকে দশ মিটার উচ্চতায় মোনোরেলের মতো যান চালানো হচ্ছে৷ এর জন্য শহরে স্টেশনেরও প্রয়োজন নেই, নির্ধারিত জায়গায় সেই যান নীচে নেমে আসবে, যাতে মানুষ ওঠানামা করতে পারেন৷ যাত্রীরা অ্যাপের মাধ্যমে পিকআপ আর ড্রপ লোকেশন স্থির করতে পারেন৷

মিউনিখের এক স্টার্টআপ কোম্পানি ‘এলিভেটেড মোবিলিটি’-র এই আইডিয়া অনেকটাই বাস্তবায়ন করতে পেরেছে৷ শহরের উত্তরে প্রথম পরীক্ষামূলক প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে৷ কোম্পানির দাবি, অটোবান গণপরিবহণের মূল্যেই ব্যক্তিগত যানের স্বাচ্ছন্দ্য দিচ্ছে৷ এ ক্ষেত্রে আজকের গণপরিবহণ ব্যবস্থার সুবিধাগুলির সঙ্গে গাড়ি চড়ার খেয়ালখুশির স্বাচ্ছন্দ্য যুক্ত করা হচ্ছে৷ ত্যন্ত কম দামে এবং অত্যন্ত দ্রুত অনেক শহরে সেই নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারে বলে অটোবান দাবি করছে৷

বার্লিনের কেন্দ্রস্থলে পটসডামার চত্বরে অটোবান বসানো হলে কেমন দেখতে হবে, অ্যানিমেশনের মাধ্যমে এই স্টার্টআপ কোম্পানি তা দেখিয়ে দিচ্ছে৷ প্রশ্ন হলো, আকাশ থেকে নেমে আসা যানের জন্য জমির যানগুলি যথেষ্ট দ্রুত জায়গা করে দেবে কিনা৷

‘আপবাস' নামের আরেকটি প্রকল্পের আওতায় পরিবহণের একাধিক স্তরের মধ্যে সংযোগ ঘটানো হচ্ছে৷ এর আওতায় ঝুলন্ত কেবেল কার প্রয়োজনে বাসে রূপান্তরিত হতে পারে৷ আখেন শহরের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কনসেপ্ট সৃষ্টি করা হয়েছে৷ সেখানকার বিজ্ঞানীরা মূলত মহাকাশে পরিবহণের সমাধানসূত্রের সন্ধান করেন৷ এ প্রসঙ্গে টোবিয়াস মাইনার্ট বলেন, ‘‘আমরা অবশ্যই মানুষ পরিবহণ নিয়ে কাজ করি৷ উড়ন্ত ট্যাক্সি নিয়ে সর্বত্র আলোচনা চলছে, যেগুলি শহরের কেন্দ্রস্থলে যাত্রী পরিবহণ করবে৷ যাত্রী পরিবহণের বিষয়ে আমাদের জ্ঞানের ভিত্তিতে আমরা বলতে পারি, যে উড়ন্ত ট্যাক্সি শহরের সমস্যার সমাধান হতে পারে না৷ তখন মনে হলো, উড়ন্ত যানের আইডিয়া তা সত্ত্বেও ভালো৷ কিন্তু এর বিকল্প কী? তখন কেবেল কারের কথা মনে হলো৷’’

কেমন হবে ভবিষ্যতের মেট্রো যান?

04:32

This browser does not support the video element.

দক্ষিণ অ্যামেরিকার কিছু বড় শহরে কেবেল কার নগর পরিবহণের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে৷ বলিভিয়ার রাজধানী লা পাস বা কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটায় যানজটের উপর দিয়ে নিশ্চিন্তে চলাফেরা করা যায়৷

ইউরোপের ঐতিহাসিক শহরগুলি এতকাল এমন সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল৷ এর কারণ ব্যাখ্যা করে  টোবিয়াস মাইনার্ট বলেন, ‘‘আখেন শহরের ক্যাথিড্রালের মতো ইউনেস্কো স্বীকৃত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পথে থাকলে কেবেল কার প্রায়ই বিফল হয়৷ কারণ এমন স্থাপনা এড়িয়ে নির্মাণ সম্ভব নয়৷ মানুষ যাতে যান বদল করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে শহরের প্রধান স্টেশনের সঙ্গে কেবেল কার সংযোগ করা কাম্য৷ কিন্তু ঐতিহাসিকভাবে গড়ে ওঠা শহরে, বিশেষ করে আকাশ থেকে অ্যাপ্রোচ লেনের কারণে কিছুটা জায়গা লাগে৷ তখন প্রায়ই পছন্দের জায়গায় স্টেশন তৈরি করা যায় না৷ আমাদের মতে, এই দুই কারণে পশ্চিম ইউরোপে নির্মাণ সম্ভব নয়৷''

আখেন শহরের কেন্দ্রস্থলে আকাশ ও জমির মোবিলিটির মধ্যে সংযোগ কীভাবে সম্ভব? মাইনার্ট বলেন, ‘‘পরের আইডিয়া ছিল এ রকম৷ যানটিকেই তখন জায়গা বদল করে শেষ বাধা অতিক্রম করতে হবে৷ সেটাই ছিল মূল আইডিয়া৷ সেখানেই ইন্টারফেস আছে বলে সেটির সঙ্গে আমরা আমাদের স্যাটেলাইট প্রযুক্তি যুক্ত করলাম৷''

গন্ডোলা বা কেবেল কারটি চার চাকার এক প্ল্যাটফর্মের উপর বসানো যায়৷ তখন সেটি যাত্রীসহ বাস হিসেবে যাত্রা চালিয়ে যেতে পারে৷

গেয়ারহার্ড সনলাইটনার/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ