বিমানযাত্রা আজ আর হাতে গোনা কিছু মানুষের একচেটিয়া সুবিধা নেই, সাধারণ মানুষও এই দ্রুতগামী পরিবহণের উপকার ভোগ করছে৷ কিন্তু আকাশের ভিড় সামলাতে ও বিমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেপথ্যে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের কথা ক'জন জানেন?
বিজ্ঞাপন
ফ্রাংকফুর্টের আকাশে চরম ব্যস্ততা৷ প্রতি মিনিটে একটি করে বিমান উঠছে বা নামছে৷ অর্থাৎ দিনে প্রায় ১,৫০০ বিমান৷ এই সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷ সংক্ষিপ্ত রেডিও বার্তার জন্য হাতে খুব কম সময় থাকে৷ এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার ও পাইলটদের মধ্যে যথেষ্ট বোঝাপড়া থাকে বটে, তবে সব সময়ে তাঁদের চূড়ান্ত চাপের মধ্যে কাজ করতে হয়৷ বিমান চলাচল নিরাপদ রাখতে সবকিছু নিখুঁত হতে হবে কিনা!
ছোট বিমান চালিয়ে জার্মানির সবচেয়ে বড় বিমানবন্দরে পৌঁছানো সত্যি এক অ্যাডভেঞ্চার৷ কিন্তু আর্নিম স্টিফ নিরুপায়৷ তাঁর পেশাই হলো অ্যামেরিকায় তৈরি সিঙ্গল ইঞ্জিন বিমান চালিয়ে জার্মানিতে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া৷
আর্নিম এক দক্ষ পাইলট, যিনি বিমানের খোলনলচে সম্পর্কে অভিজ্ঞ৷ কিন্তু তিনিও রাইন-মাইন এলাকার আকাশের পরিস্থিতি খাটো করে দেখেন না৷ আর্নিম বলেন, ‘‘বিমানটিকে ট্রাফিকের গড্ডালিকা প্রবাহে ভাসিয়ে দিতে হবে এবং যে কোনো মূল্যে ভুল এড়িয়ে চলতে হবে৷ রেডিও টাওয়ারে গিয়ে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের প্রক্রিয়া দেখলে সেটা বুঝতে পারবেন৷ সেখানে সবকিছু অত্যন্ত দ্রুত ঘটে৷ ভুল করলে সহজে ক্ষমা করা হয় না৷''
আর শুধু কাজের খাতিরে মেঘের উপর উড়ে বেড়ানো নয়৷ আর্নিম স্টিফ এক সিঙ্গল ইঞ্জিন সিরাস বিমান নিয়ে ৮০ দিনে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেছেন৷ আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে অভিজ্ঞ এই প্রশিক্ষকের জন্য এটা খুব বড় চ্যালেঞ্জ ছিল না৷ আজ অবশ্য তাঁকে বিমানবন্দর থেকে ১০ মাইল দূরে লাঙেন শহরে জার্মান বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে৷
ফ্রাংকফুর্ট বিমানবন্দরে বিমানের ওঠা-নামা এখান থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা হয়৷ কন্ট্রোলাররা নির্ধারিত আকাশসীমার মধ্যে সব বিমানের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করেন এবং পাইলটদের উচ্চতা সংক্রান্ত নির্দেশ দেন৷ তাঁরা সবাই ইংরিজি বলেন, যদিও তার মধ্যে কিছু অদ্ভুত বিষয় রয়েছে৷ এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার ডানিয়েল ম্যুলার বলেন, ‘‘যারা এই ক্ষেত্রে কাজ করে না, তাদের কাছে আমাদের ইংরিজি একটু অদ্ভুত মনে হতে পারে৷ আমাদের সহজ কিছু বাক্য রয়েছে, যা বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছে আমাদের রেডিও বার্তা বোধগম্য করে তোলে৷ ভাষার উপর তাদের সবার দখল সমান নয়৷ আমরা যেমন ‘থ্রি'-র বদলে ‘ট্রি' বলি, কারণ তা রেডিওর জন্য উপযুক্ত৷ ‘নাইন'-এর বদলে ‘নাইনার' বলি, যাতে জার্মান ভাষার ‘নাইন' অর্থাৎ ‘না' শব্দটির সঙ্গে তা গুলিয়ে না যায়৷''
সৌরশক্তি চালিত বিমানে দুনিয়া ঘোরা
সৌরশক্তি চালিত বিমানে করে দুনিয়ার চারপাশটা ঘুরতে চায় সুইজারল্যান্ডের ব্যারত্রঁ পিকার ও তাঁর সহযোগীরা৷
ছবি: Creative Commons/Solar Impulse
বেলুনের পর বিমান
সুইজারল্যান্ডের ব্যারত্রঁ পিকার এর আগে গরম বায়ুর বেলুনে করে সারা দুনিয়া ঘুরেছেন৷ এবার তাঁর ইচ্ছা সৌরশক্তি চালিত বিমানে করে সেই কাজটা করা৷
ছবি: AP
ছোট ও হালকা
যে প্লেনে করে পিকার আপাতত পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করছেন তার ওজন ১,৬০০ কেজি৷ এতে শুধু পাইলট বসতে পারেন৷ আর এর রয়েছে দুটো বড় ডানা৷ উল্লেখ্য, একটি ‘এয়ারবাস ৩৪০’ বিমানের ওজন ১২৫ টন৷
ছবি: Reuters
লম্বা ডানাই ভরসা
হালকা এই বিমানে বড় দুটো ডানা থাকার কারণ তাতে অনেকগুলো সৌরকোষ বসানো যায়, প্রায় ১২ হাজার৷ এর ফলে যে সৌরশক্তি উৎপন্ন হয় তা দিয়ে প্লেনটি চারটি মোটর আর প্রপেলার কাজে লাগিয়ে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে৷
ছবি: AP
সম্মিলিত প্রচেষ্টা
পিকার তাঁর স্বপ্ন পূরণে ‘সোলার ইমপালস’ নামের একটি প্রকল্পের কাজ শুরু করেন ২০০৩ সালে৷ সেই থেকে প্রায় ৫০ জন বিশেষজ্ঞ আর ১০০ জন উপদেষ্টার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রকল্পটি এগিয়ে চলেছে৷ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এতে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে৷ পিকারের সঙ্গে সহযোগী পাইলট হিসেবে রয়েছেন অঁদ্রে বর্শব্যার্গ (ডানে)৷
ছবি: Reuters
বর্তমান অবস্থা
পুরো দুনিয়া ঘোরার আগে ধাপে ধাপে এগোচ্ছে প্রকল্পটি৷ বর্তমানে বিমানটি অ্যামেরিকার সান ফ্রান্সিসকো থেকে নিউ ইয়র্ক যাচ্ছে৷ প্রায় ৫ হাজার কিলোমিটারের এই পথ পাড়ি দিতে বিমানটি চারটি শহরে থামবে৷ মে মাসের ৩ তারিখে যাত্রা শুরু করা প্লেনটি জুলাইয়ের কোনো এক সময় নিউ ইয়র্কে পৌঁছাবে৷
নতুন রেকর্ড
যুক্তরাষ্ট্র পাড়ি দেয়ার দ্বিতীয় ধাপে বিমানটি রেকর্ড গড়েছে৷ ফিনিক্স থেকে ডালাস যেতে প্লেনটি ১,৫৪১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় - যেটা একসঙ্গে এতো দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়ার একটি রেকর্ড৷ এতে সময় লাগে প্রায় ২০ ঘণ্টা৷ পুরো সময়টা জেগে ছিলেন পাইলট বর্শব্যার্গ৷
ছবি: Solar Impulse/Jean Revillard/Rezo.ch
লক্ষ্য ২০১৫
যুক্তরাষ্ট্র পর্ব শেষ হওয়ার পর পিকার ও তাঁর সহযোগীদের লক্ষ্য ২০১৫ সালে বিশ্বভ্রমণ শুরু করা৷ তবে তার আগে বর্তমান প্লেনটিতে পরিবর্তন আনতে হবে বলে মনে করেন বর্শব্যার্গ৷ কেননা এখনকার বিমানে পাইলটের বসার স্থানটি খুবই ছোট৷
ছবি: Solar Impulse/Fred Merz
জ্বালানি সাশ্রয়
আপাতত বিশেষ এই বিমানের যাত্রী বলতে শুধু একজন পাইলট হলেও ভবিষ্যতে যেন সৌরচালিত বিমান যাত্রী বহন করতে পারে সেই স্বপ্ন দেখেন পিকার৷ তিনি বলেন, বর্তমানে মাত্র এক ঘণ্টায় এক বিলিয়ন টন তেল ব্যবহৃত হচ্ছে৷ এভাবে চলতে থাকলে একদিন সমস্ত জ্বালানি ফুরিয়ে যাবে৷
ছবি: Creative Commons/Solar Impulse
8 ছবি1 | 8
প্রত্যেক কন্ট্রোলারকে যে কোনো সময় ১২টি পর্যন্ত বিমানের গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়৷ পাইলট ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার সবসময়ে পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ বজায় রাখেন৷ এক্ষেত্রে দু'টি মানুষকে পরস্পরের উপর নির্ভর করতে হয়, যদিও তারা কখনো একে অপরের মুখোমুখি হবেন না৷ আর্নিম স্টিফ বলেন, ‘‘কেউ একজন ফ্রাংকফুর্ট বিমানবন্দরের উপর ব্যস্ত আকাশে পথ দেখাচ্ছেন, এটা ভাবলে অত্যন্ত নিশ্চিত লাগে৷''
বড় বড় বিমান সংস্থার জেট বিমানের ফাঁক দিয়ে গলে নিরাপদে ফ্রাংকফুর্ট বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণের ক্ষেত্রে কন্ট্রোলাররা প্রতিবার আর্নিম স্টিফ-কে সহায়তা করেছেন৷ কিন্তু আকাশে ‘রাশ আওয়ার'-এর ভিড়ে অনেক অভিজ্ঞ পাইলটেরও ঘাম ছুটে যায়৷
বিমানবন্দরে ল্যান্ডিং প্যাড-এ এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা নিজেদের হাতে নিয়ন্ত্রণ তুলে নেন৷ পরের বিমানের জন্য জায়গা করে দিতে টারম্যাক দ্রুত খালি করতে হয়৷ আর্নিম স্টিফ-এর বিমানের পেছনে অন্য বিমানের লাইন লেগে গেছে৷ কন্ট্রোলাররা তাঁকে ভিড়ের মধ্যে পথ দেখিয়ে নিয়ে আসেন৷ এবার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার পালা৷
বিমান যাত্রায় যে ১০টি কাজ করবেন না
বিমানে চড়া আজকাল আর খুব বড় কোনো ব্যাপার নয়৷ কাজের প্রয়োজনে, বেড়াতে কিংবা চিকিৎসার প্রয়োজনে অনেকেই যাচ্ছেন অন্য দেশে, বিমানে৷ আর এই যাত্রায় যে দশটি জিনিস করা উচিত নয়, তা থাকছে এখানে৷
ছবি: Fotolia/Andres Rodriguez
বিমানে উঠতে তাড়াহুড়া নয়
একটি বিমানে একসঙ্গে কয়েকশত যাত্রী আরোহণ করেন৷ যাত্রীদের ঠিকভাবে তুলতে তাই বিমান সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন গ্রুপ নম্বরে যাত্রীদের ভাগ করে ফেলেন৷ এরপর সেই নম্বর অনুযায়ী যাত্রীদের বিমানে উঠতে বলা হয়৷ সমস্যা হয়, যখন নম্বরের তোয়াক্কা না করেই অনেকে বিমানে উঠতে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন৷ এটা খুবই বিরক্তিকর ব্যাপার৷ অনেক সময় শুধুমাত্র এ জন্য বিমান ছাড়তে দেরি হয়৷
ছবি: Fotolia/Andres Rodriguez
বিমানে ওঠার আগে শেষ টান
বিমানের মধ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ৷ অনেকে তাই বিমানে ওঠার আগ মুহূর্তে সিগারেটে দু’টো টান দিয়ে নেন৷ সমস্যা হচ্ছে, বিমানের ভেতরটা আবদ্ধ৷ তাই সেখানে আপনার সিগারেটের গন্ধ অন্য আরোহীকে বিরক্ত করতে পারে৷ তাই সম্ভব হলে বিমান ওঠার আগ মুহূর্তে ধূমপান পরিহার করুন৷ আর বিমানে ধুমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সামনের সিটে ধাক্কা বা লাথি নয়
বিমানের সিটগুলো হয় হালকা ধরনের৷ মূলত তেল খরচ বাঁচাতেই এই ব্যবস্থা৷ তাই এসব সিটে পেছন দিক দিয়ে ধাক্কা দিলে, তা সিটে বসা আরোহীকে আঘাত করতে পারে৷ সুতরাং কোনো অবস্থাতেই সামনের সিটে ধাক্কা বা লাথি দেবেন না৷
ছবি: dapd
হাতল দখলের লড়াই
বিমানের সিটগুলোতে খুব বেশি জায়গা থাকে না৷ একটি সিটের সঙ্গে আরেকটি সিট লাগানো থাকে এবং হাতল থাকে একটা৷ কেউ কেউ তাই কনুই দিয়ে অপর যাত্রীকে গুতা দিয়ে কিংবা হাত শক্ত করে হাতলে রেখে সেটা দখলে রাখার চেষ্টা করে৷ এমনটা করা মোটেই উচিত নয়৷
ছবি: dapd
নগ্ন পায়ে ঘোরা নয়
অনেকেই বিমানে উঠে জুতা, এমনকি মোজাও খুলে ফেলেন৷ এটা অনেকের জন্যই বিরক্তিকর৷ আর খালি পায়ে বিমানের টয়লেট ব্যবহার করলে রোগজীবাণু আক্রান্তের আশঙ্কা বেড়ে যায়৷ সুতরাং বিমানে জুতা পরেই থাকুন৷
ছবি: Fotolia/Zeit4men
শব্দ বন্ধ না করেই গেম খেলা
আজকাল স্মার্টফোন, ট্যাবলেটে সহজেই ভিডিও গেম খেলা যায়৷ এতে অবশ্য খারাপ কিছু নেই৷ কিন্তু বিমানে বসে শব্দ বন্ধ না করে গেম খেললে তা অন্য আরোহীদের বিরক্ত করতে পারে৷ তাই শব্দ বন্ধ করে গেম খেলা ভদ্র ব্যাপার৷
ছবি: imago/Westend61
পেছনের লোকের আগে নামার লড়াই
বিমান ল্যান্ড করার পর তার দরজা খোলার আগেই অনেকে নামার জন্য তাড়াহুড়া শুরু করে৷ পারলে সামনের যাত্রীকে ডিঙিয়ে যাওয়ার চেষ্টা৷ এটা খুবই অশোভন আচরণ৷ বিমান যখন অবতরণ করেছে, তখন সব যাত্রীকেই নামাবে৷ তাই নিশ্চিন্তে বসে অপেক্ষা করুন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
‘হ্যালো, রানওয়েতে আছি’
বিমান অবতরণের সঙ্গে সঙ্গেই অনেকে ফোন করতে শুরু করেন৷ এমনকি নেটওয়ার্ক না পাওয়া গেলে চলে নিরন্তন চিৎকার: হ্যালো, এইমাত্র ল্যান্ড করলাম, শুনতে পাচ্ছো? আসলে এভাবে তাড়াহুড়া করা ভালো নয়৷ বিমানবন্দরে অপেক্ষারতরা বিভিন্ন ডিসপ্লে ঘোষণার মাধ্যমে এমনিতেই বিমান অবতরণের খবর জানতে পারেন৷ তাই প্রিয়জনকে সেটা জানাতে তাড়াহুড়া না করলেও সমস্যা নেই৷
ছবি: picture alliance / Arco Images GmbH
ভ্রমণ করছেন, কিন্তু নড়ছেন না
বড় বিমানবন্দরগুলোতে বিশেষ ধরনের ‘মুভিং ওয়াকওয়ে’ থাকে৷ এটা অনবরত সামনের দিকে যেতে থাকে৷ ফলে কেউ ‘মুভিং ওয়াকওয়েতে’ দাঁড়ালে এমনিতেই সামনের দিকে যেতে পারবেন৷ তাই অনেকে এতে দাঁড়িয়ে থাকেন৷ এটা আসলে ঠিক নয়৷ বরং মুভিং ওয়াকওয়েতে আপনি স্বাভাবিকভাবে হাঁটলে অন্য যাত্রীদের সুবিধা হবে৷
ছবি: Reuters
লাগেজ নেয়ার তাড়া
বিশ্বের সব বিমানবন্দরেই লাগেজ নেয়ার জন্য বিশেষ জায়গা আছে৷ সেখানে বেল্টের উপরে লাগেজগুলো একের পর এক দেয়া হয়৷ সেই বেল্ট অনবরত ঘুরতে থাকে৷ অনেক সময় বিমান থেকে নেমেই মানুষ সেই বেল্ট ঘিরে বড় জটলা তৈরি করে ফেলেন৷ এটা অনর্থক৷ বরং একটু দূরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলে আপনার লাগেজ দেখা সহজ হবে৷ এরপর সময়মত সেটি বেল্ট থেকে সরিয়ে নিলেই হলো৷