1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হারের পর আক্ষেপ

২ জুন ২০১৭

৩০৫ রান করেও হারতে হয়েছে ইংলিশদের কাছে৷ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এর আগে কোনো দল এত রান করে ম্যাচ হারেনি৷ টাইগারদের জন্য বিষয়টি হতাশার৷ প্রশ্ন উঠেছে, কোথাও কি ভুল ছিল?

Cricket England - Bangladesch - ICC Champions Trophy
ওভালে উপস্থিত টাইগার সমর্থকদের আনন্দ দিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিংছবি: Getty Images/J. Mansfield

ভারতের সঙ্গে মাত্র দু'দিন আগে প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিং ভরাডুবি হয়েছিল বাংলাদেশের৷ মাত্র ৮৪ রানে অলআউট হওয়ায় দলের ব্যাটিং নিয়ে ম্যানেজমেন্টের সম্ভবত আশঙ্কা ছিল৷ ক্রিকেটবোদ্ধারা বলছেন, এমন আশঙ্কা থেকেই আটজন ব্যাটসম্যান নিয়ে বৃহস্পতিবার ওভালে ইংলিশদের মুখোমুখি হয়েছিল টাইগাররা৷

তবে আট ব্যাটসম্যান নিয়ে তিনশ' পেরোনো গেলেও জয় পাওয়া সম্ভব হয়নি৷ দলের পক্ষে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল৷ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আবারো সেঞ্চুরি করলেন তিনি, তবে ২০১০ সালের মতো এবারো হেরেছে তার দল৷ আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৯ রান রান এসেছে মুশফিক রহিমের ব্যাট থেকে ৷ এই দুই খেলোয়াড় ছাড়া বাকিরা কার্যত আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন৷ ফলে শেষ কয়েক ওভারে দলের ভাণ্ডারে আশানুরুপ রান যোগ হয়নি৷

১২৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন তামিমছবি: Getty Images/J. Mansfield

৩০৫ রান করার পরও খেলা শেষে তাই আক্ষেপ ছিল আরো ২৫-৩০ রান হলে ম্যাচটা হয়ত হাতছাড়া হতো না৷ অন্যদিকে, আট ব্যাটসম্যান নিয়ে মাঠে নামায় ইংলিশদের বিরুদ্ধে দশ ওভার বল করাতে হয়েছে অনিয়মিত বোলারদের দিয়ে৷ মাঝে মাঝে মুস্তাফিজ-রুবেলদের ওভারগুলোতে কম রান ওঠায় যে সুবিধা তৈরি হয়েছিল, তা অনেকটাই ইংলিশরা পুষিয়ে নিয়েছেন সেসব ওভারে৷ আর ফিল্ডিংয়ে যে সময় এক- দুই রান ঠেকানো দরকার ছিল, তখন অনেকটা রক্ষণাত্মক ফিল্ডিং সাজিয়ে চার, ছয় ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়েছে৷ সেটাও সম্ভবত ঠিক ছিল না, অন্তত ধারাভাষ্যকাররা সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন৷ দিন শেষে অনেকটা হেসেখেলেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন ইংলিশরা৷

জো রুটের ব্যাটিং ইংল্যান্ডকে সহজ জয় এনে দিয়েছেছবি: Getty Images/G. Copley

এদিকে, তিনশ'র বেশি স্কোর করার পরও ম্যাচ হারায় স্বাভাবিকভাবেই দর্শকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে কিছুটা হতাশা৷ এমন ম্যাচ হারার কারণ খুঁজতে গিয়ে সংবাদকর্মীরা প্রশ্ন করেছেন দলের খেলোয়াড়দের৷ মুশফিকুর রহিম দলের খেলার সমালোচনা তেমন আমলে না নিলেও স্বীকার করেছেন, মিরাজ থাকলে হয়ত কিছুটা সুবিধা হতো৷ আর তামিম ইকবাল তো সরাসরিই দূষেছেন বোলারদের৷ ক্রিকইনফো-কে বলেছেন, ‘‘পরিকল্পনামতো বোলিং করতে না পারলে চারশ’ রানও যথেষ্ট নয়৷’’

প্রশ্ন হচ্ছে, আগামী ম্যাচে কি বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও ভালো করতে পারবে?

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ