গুয়াতেমালার জঙ্গলে বুনো আখরোটের সঙ্গে আরা তোতাপাখিদের সম্পর্ক হলো এই যে, জঙ্গলের মানুষ যদি আখরোট বেচে কিছু রোজগার করেন, তাহলে পাখিদেরও উপকার হয়৷
বিজ্ঞাপন
জঙ্গলের মায়া আখরোট বাদাম ডনা মাগদালেনা আর তাঁর সংসারের ১১ জন সদস্যের পক্ষে একটা ভালো রোজগারের পন্থা৷ কিছু বিশেষ শর্তে গাঁয়ের মানুষদের জঙ্গলে ফলমূল কুড়নোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ অর্থাৎ টেকসই অর্থনীতি – গুয়াতেমালায় যা খুব কমই দেখতে পাওয়া যায়৷
এখান থেকে খানিক দূরেই ‘রেইনফরেস্ট', অর্থাৎ বৃষ্টিপ্রধান ক্রান্তিমণ্ডলীয় অরণ্য৷ মাত্র ২০ বছরের মধ্যে সেই অরণ্যের অর্ধেক উধাও হয়েছে৷ এখন সেখানে শুধু কৃষিক্ষেত্র, নয়ত চারণভূমি৷ মানুষ বাড়ছে, তাদের খাদ্যের প্রয়োজন৷ সমস্যা হলো: মাটি অত্যন্ত অনুর্বর৷ এখানে গরু চরাতে প্রচুর জমি লাগে৷ অরণ্যের আরেকটি অভিশাপ হলো মাদক পাচারকারীরা৷
জার্মান উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থা জিআইজেড-এর ইয়াপ শোর্ল বলেন, ‘‘মুশকিল হলো এই যে, যারা মাদক পাচার করে, তাদের অনেক টাকা৷ তারা সেই কালো টাকা সাদা করতে চায়, সেজন্য তারা বিপুল পরিমাণ জমি কেনে যেখানে তার আগেই বেআইনিভাবে গাছ কাটা হয়েছে৷ তারপর তারা সেই জমিতে গরু চরানোর ব্যবস্থা করে৷ কিন্তু অরণ্য ততদিনে উধাও হয়েছে৷ আর জঙ্গল একবার গেলে, তাকে ফেরানো অত সহজ নয়৷''
আখরোট বিক্রি হলে লাভ পাখিদেরও
05:24
গোটা এলাকায় কিভাবে গাছ কেটে জঙ্গল সাফ করা হয়েছে, তার পরিমাণটা জানেন জিআইজেড-এর ইয়াপ শর্ল ও গুয়াতেমালার বনানী সুরক্ষণ কর্তৃপক্ষের ভিক্টর রামস, কেননা তাঁরা বহু বছর ধরে এই প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করছেন৷ জার্মান পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক জলবায়ু উদ্যোগ আইসিআই-এর সাহায্যে এই দু'জন গবেষক ক্রান্তিমণ্ডলীয় অরণ্যের অন্তর্ধান যাচাই করার চেষ্টা করছেন৷ ‘সেমেক' প্রকল্পের সমন্বয়কারক রামস বলেন, ‘‘এটা হলো ২০০০ সালের অরণ্য, হালকা সবুজ আর গাঢ় সবুজ অংশগুলো হলো আদিম বনানী৷ হলুদ অংশগুলো হলো কৃষিকাজ আর গোচারণের জমি৷ এটা ছিল ২০০০, আর এই হলো ২০০৭; এই অংশটা হলো ২০১৩৷''
তিন হাজার বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ – প্রায় এক হাজার নানা ধরনের জীবজন্তু ও পাখি বাস করে এই মায়া গাছের জঙ্গলে৷ তাদের মধ্যে অনেক ধরনের গাছ বা পশুপাখি শুধু এখানেই পাওয়া যায়৷ ক্রান্তিমণ্ডলীয় অরণ্য যত উধাও হচ্ছে, ততই তাদের প্রাণধারণের উপযোগী এলাকা কমছে৷ গুয়াকামায়া পাখিরা ছিল অতীতের মায়া উপজাতির সূর্য উপাসনার প্রতীক৷ এই ব্রিডিং স্টেশনটিতে আরো তোতাপাখি মানুষ করা হচ্ছে৷ মুক্ত প্রকৃতিতে আরা তোতাপাখিদের সংখ্যা তিনশ'র বেশি নয়৷
বাদামে রয়েছে খাদ্যের মৌলিক উপাদান
বাদাম শুধু খেতেই মজা নয়, বাদামে রয়েছে খাদ্যের মৌলিক উপাদান৷নিরামিষাশীদের মধ্যে যাঁরা হাজেল নাট, আখরোট, কাঠ বাদাম এসব খেয়েছেন তাঁদের হার্টের অসুখ কম হয়েছে
ছবি: picture-alliance/ dpa
শুধু খেতে মজা নয়, গুণও অনেক
বাদাম শুধু খেতে মজা নয়, নানা ধরনের বাদামে রয়েছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ৷ আর তা হাজার বছর আগে থেকেই জানে মানুষ৷ শোনা যায়, আমাদের পূর্ব পুরুষদের বেঁচে থাকার জন্য নানা ধরনের বাদাম ও বীজ খেতে হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, আজও বিভিন্ন খাবারের পাশাপাশি বাদামকে সংযোজন করা হয়৷
ছবি: Fotolia
মৌলিক উপাদান
শক্ত খোসার ভেতরেই রয়েছে খাদ্যের মৌলিক উপাদান৷ বাদাম এবং অন্যান্য বীজ তাই সেই প্রস্তরযুগ থেকেই দরকারি শস্য হিসেবে খাওয়া হচ্ছে, বলেন রেগেন্সবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ গ্যুন্থার হির্শফেল্ডার৷
ছবি: picture alliance/Beyond
গবেষণার ফলাফল
অল্প কিছুদিন আগে ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণার ফলাফল থেকে জানা গেছে যে, স্পেনের বার্সেলোনায় নিরামিষভোজী ৭৪০০ জন মানুষের মধ্য একটি গবেষণা করা হয়েছিল৷ এতে দেখা গেছে, নিরামিষাশীদের মধ্যে যাঁরা হাজেল নাট, আখরোট, কাঠ বাদাম এসব খেয়েছেন তাঁদের হার্টের অসুখ কম হয়েছে৷ অন্য নিরামিষাশীরা আবার খাবারে যথেষ্ট পরিমাণে অলিভ অয়েল ব্যবহার করেছেন৷
ছবি: Fotolia/jamenpercy
চর্বি হলেও প্রয়োজন
বাদাম খেতে মজা হলেও যথেষ্ট চর্বি থাকার কারণে অনেকেই বাদাম খাওয়া থেকে দূরে থাকেন৷ এটা প্রমাণিত যে বাদামে সত্যিই প্রচুর চর্বি রয়েছে৷ তবে তার সঙ্গে সঙ্গে এতে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল ও প্রোটিনও আছে৷ এসব খাদ্যগুণ থাকায় বাদাম যে কোনো ধরনের হার্টের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে৷ এছাড়া, কলেস্টোরেল কমাতেও ভূমিকা রাখে বাদাম৷ একথা বলেন ম্যুন্সটার বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য বিশেষজ্ঞ প্রোফেসর উরসেল ভারবুং৷
ছবি: borna
প্রোটিনের উৎস
যাঁরা নিরামিষাশী তাঁদের জন্য বাদাম বা নানা ধরনের বীজ খুবই প্রয়োজনীয়৷ বাদাম বা বিভিন্ন বীজ তাঁদের জন্য প্রোটিনের উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে৷ তবে খুব বেশি পরিমাণে বাদাম খাওয়া ঠিক নয়৷ প্রতিদিনই কয়েকটি করে বাদাম মোটামুটি সকলেই খেতে পারেন৷ তাছাড়া বাদাম অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়৷
ছবি: Fotolia/ExQuisine
পরিমিতিবোধ
জার্মানিতে অনেকেই টেলিভিশন দেখার সময় বাদাম নিয়ে বসেন আর টিভি দেখতে দেখতে পুরো প্যাকেটি শেষ হয়ে যায়৷ আর সেখানেই সমস্যা৷ অর্থাৎ, এর ফলে হঠাৎ করেই তাঁদের ওজন বেড়ে য়ায়৷ কাজেই পরিমিতিবোধ থাকলে কোনো সমস্যা হবার কথা নয়৷
ছবি: Fotolia/PhotoSG
যে কোনো ধরনের বীজ
শুধু বাদাম নয়, যে কোনো ধরনের বীজেই রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন৷ এই যেমন, কুমড়ো, তরমুজ বা সূর্যমুখী ফুলের বীজে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
কাঠ বাদামের গুঁড়া
জার্মানিতে কাঠ বাদাম শুধু খাওয়াই হয় না, এর গুঁড়া ব্যবহার করা হয় সৌন্দর্য চর্চাতেও৷ যাঁরা ‘ন্যাচেরাল’ বা প্রাকৃতিক প্রসাধন পছন্দ করেন তাঁদের জন্য কাঠ বাদামের গুঁড়া খুবই কার্যকরী৷
ছবি: picture-alliance/ dpa
8 ছবি1 | 8
‘আর্কাস' পশুত্রাণ কেন্দ্রের পশুচিকিৎসক ফ্যার্নান্দো মার্টিনেস জানালেন, ‘‘এই তোতাপাখিদের পক্ষে সবচেয়ে বড় বিপদ হলো, তাদের বাসের উপযোগী পরিবেশের হানি৷ তার পরেই আসছে এই পাখিগুলোকে নিয়ে বেআইনি বেচাকেনা৷ ছোট ছোট পাখিগুলোকে তাদের বাসা থেকে বের করে কালোবাজারে বেচা হয় প্রায় পাঁচ হাজার ডলার দামে৷''
পাখিগুলো বড় হওয়া অবধি সেগুলোকে এই কেন্দ্রেই রাখা হয় – তারপর এখান থেকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ এই আরা নামধারী ম্যাক' গোত্রীয় বড় তোতাপাখিগুলি ৮০ বছর বয়স অবধি বাঁচতে পারে৷ তবে এই জঙ্গল অতদিন বাঁচবে কিনা, তা বলা শক্ত৷
গ্রামের নাম উয়াক্সাতুন
মায়া গাছের বাদাম গুঁড়ো করে তা থেকে ময়দা কিংবা বিস্কুট তৈরি করা হয়৷ গ্রামের মহিলারা এভাবে কাজ পান ও কিছু রোজগার করেন৷ জার্মান জিআইজেড সংস্থার একটি দল স্থানীয় বিশেষজ্ঞ জুলিও মাদ্রিদকে সঙ্গে নিয়ে প্রকল্পটি চালাচ্ছেন৷ ‘আকফোব' প্রকল্পের সমন্বয়কারী হুলিও হাবিয়ে মাদ্রিদ, ‘‘মায়া বাদামগুলো আমার খুব ভালো লাগে, কেননা ওগুলো খেতে খুব ভালো৷ আবার স্বাস্থ্যকরও বটে৷ এই বাদামে নানারকম পুষ্টিকর পদার্থ আছে, আবার অনেক ভিটামিনও আছে৷''
মায়া বাদাম থেকে তৈরি পণ্য কিছুটা স্থানীয় ভাবে বিক্রি হলেও, তার অধিকাংশ রপ্তানি করা হয় বিদেশে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে৷
দেশি ফল কেন খাবেন?
বিদেশি পণ্য বা ফল বেশি ভালো – এ রকম একটা ধারণা অনেকেরই৷ আসলে দেশি ফলের যে কত পুষ্টিগুণ রয়েছে, সেটা হয়ত সেভাবে তাদের জানা নেই৷ তাই জেনে নিন কিছু দেশি ফলের পুষ্টিগুণের কথা, যেগুলো জার্মানিতেও আমদানী করা হয়৷
ছবি: Fars
‘আম’ কে না ভালোবাসে?
আম পছন্দ করে না এমন বাঙালি আছে নাকি? আনন্দের কথা যে জার্মানিতেও আজকাল আম পাওয়া যায়৷ আমাদের দেশীয় আম জার্মানিতে আসে আমের ঋতুতে আর সারা বছর পাওয়া যায় অন্যান্য দেশের আম৷ আমে রয়েছে প্রচুর আঁশ, ভিটামিন ‘ই’, ‘এ’, ‘সি’ এবং পেকটিন৷ আম যেমন পেট পরিষ্কার রাখে, তেমনি ত্বক সুন্দর করার মতো আরো নানা উপকারে আসে৷
ছবি: Fotolia/DragonImages
পেয়ারা
খানিকটা অবহেলিত ফল পেয়ারায় রয়েছে আঁশ, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রনসহ নানা কিছু৷ পেয়ারার রস খুবই শক্তিদায়ক এবং এটা হৃদস্পদন ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে৷ পেয়ারার ভিটামিন ‘এ’ যেমন দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়, তেমনি এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ‘সি’ মস্তিষ্ককে সচল রাখে৷ শুধু তাই নয়, পেয়ারা বিভিন্ন ধরণের ক্যানসারকে প্রতিরোধ করতেও ভূমিকা রাখে, দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্যকেও৷
ছবি: DW/M. Mamun
লিচু
লিচু শুধু দেখতেই সুন্দর আর লোভনীয় নয়, খেতে ভীষণ মজার এই ফল কিন্তু বেশ কয়েক বছর থেকে জার্মানিতে আমদানী করা হচ্ছে৷ এমনকি ডয়চে ভেলের ক্যান্টিনেও ইদানিং লিচু রাখা হয়৷ লিচুতে আছে ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন, আঁশ এবং প্রচুর ক্যালশিয়াম৷ লিচু হজমে সাহায্য করে থাকে৷ ক্যালশিয়াম থাকায় লিচু নারীদের জন্য বেশ উপকারী৷
ছবি: DW/M. Mamun
কলা
সহজলভ্য ফল কলা সারা বছরই পাওয়া যায়, প্রায় সব দেশেই৷ কলাতে রয়েছে ক্যালশিয়াম, অ্যামিনো অ্যাসিড, আয়রন ও বিভিন্ন ভিটামিন৷ কলা তাৎক্ষণিকভাবে শক্তি দেয় বলে খেলোয়াড় বা ছাত্রদের কলা খেতে দেখা যায়৷ এছাড়া কলা মানসিক চাপ কমিয়ে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ভূমিকা রাখে৷ কলার পুষ্টিগুণ বেশি থাকায় নাস্তায় অন্য কিছু না খেয়ে শুধু একটা কলা খেলেই উপকার পাবেন, বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরা৷
ছবি: Colourbox
পেঁপে
কমলা রঙের পাঁকা পেপে মুখে রুচি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে৷ আমদানী করা দেশি ফল পেঁপে আজকাল প্রায় সারা বছরই জার্মানিতে পাওয়া যায়৷ পেঁপের পুষ্টিগুণের কারণে তা শরীরের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে৷ একটা ভালো পেঁপের দাম জার্মনিতে ৬-৭ ইউরো, অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ছয় থেকে সাতশ’ টাকার মতো৷
ছবি: Colourbox/Christian Fischer
খেজুর
খেজুর কিন্তু শুধু রোজার মাসে খাওয়ার জন্য নয়, এর পুষ্টিগুণের কারণে সারা বছরই খাওয়া উচিত খেজুর৷ খেজুর শরীরে ঝটপট শক্তি এনে দেয় এবং এ ফল হৃদপিণ্ডের জন্য খুবই উপকারী৷ খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও পটাশিয়াম৷ নিয়মিত খেজুর খেলে নাকি উচ্চ রক্তচাপও কমে যায়৷
ছবি: Colourbox
বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল
জার্মানিতে দেশের নানারকম ফল পাওয়া গেলেও কাঁঠাল দেখা যায় না৷ একমাত্র ব্যাতিক্রম বাংলাদেশি বা ভারতীয় দোকান৷ সেখানে হঠাৎ করেই চোখে পড়ে এটি৷ ছোট্ট এক টুকরো কাঁঠালের দাম এখানে অন্তত ১০ ইউরো৷ এতে রয়েছে মিনারেল, ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’, ‘কে’, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেশিয়ম সহ বহুকিছু৷ কাঁঠাল চোখের জন্য তো ভালোই, এমনকি উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায় কাঁঠাল৷
ছবি: picture alliance/Arco Images
গ্রীষ্মের ফল তরমুজ
তরমুজে রয়েছে প্রয়োজনীয় নানা ভিটামিন, পটাশিয়াম ও মিনারেল৷ তরমুজের রসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও লাইকোপেন নামের উপাদান প্রস্টেট ক্যানসার, অন্ত্রের ক্যানসারসহ অন্যান্য নানা ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়৷ এছাড়া যৌন ক্ষমতাও বাড়ায় তরমুজ৷ জার্মানিতে গরমকালে প্রচুর তরমুজ পাওয়া যায়, তবে তার বেশিরভাগই আসে তুরস্ক থেকে৷
ছবি: Prakash Singh/AFP/Getty Images
হৃদরোগকে দূরে রাখে বেদানা
বেদানায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট৷ তাই প্রতিদিন ছোট এক গ্লাস বেদানার রস পান করলে হৃদরোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব৷ জার্মানিতে কিছু দিন আগে পর্যন্তও বেদানা দেখা যেত না৷ তবে আজকাল প্রায় প্রতিটি ফলের দোকানেই আমদানী করা বেদানা পাওয়া যায়, যদিও সেগুলোর বেশ ভালোই দাম৷
ছবি: Fars
9 ছবি1 | 9
এ পর্যন্ত আটটি কমিউন মায়া গাছের বাদাম বা তা থেকে তৈরি পণ্য বিক্রি করে থাকে৷ ক্রমেই আরো বেশি পরিবার এই কাজ থেকে কিছু কিছু রোজগার করছে৷
জঙ্গলও তা থেকে উপকৃত হচ্ছে, কেননা দেখা গেছে, মায়া গাছের জঙ্গলের যে সব অংশে মানুষের বাস, সে সব এলাকায় জঙ্গল ভালোই আছে৷ স্থানীয় অধিবাসীরা গাছপালাগুলোর জন্য দায়িত্ব বোধ করেন ও সেগুলোকে রক্ষা করেন৷ জঙ্গলের মনুষ্যবিহীন এলাকাগুলোয় কিন্তু বেআইনি কাঠ কাটা চলেছে নির্বিচারে৷ জিআইজেড-এর ইয়াপ শোর্ল বলেন, ‘‘মানুষ ছাড়া জঙ্গলকে রক্ষা করা যায় না৷ কাজেই জঙ্গলকে বাঁচানোর জন্য মানুষের প্রয়োজন৷ আর সেই সব মানুষদের জঙ্গল থেকে টাকা রোজগারের কোনো না কোনো পন্থা থাকা চাই, নয়ত কোনো লাভ হবে না৷''
গুয়াতেমালা কথাটার মানে হলো ‘গাছের দেশ'৷ কিন্তু মানুষ না বদলালে হয়ত নাম বদলাতে হতে পারে!
ফল বা সবজির ‘জুস’ ফিট রাখে কেন?
আমরা প্রতিনিয়ত শুনি, ফল আর শাক-সবজি স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী৷ তবে এ সবের জুস বা রস শরীরের কী কী প্রয়োজন মেটায় বা এর ব্যবহার রান্নায় কিভাবে নতুনত্ব, স্বাদ ও সুগন্ধ আনে তারই কিছু উপায় থাকছে ছবিঘরে৷
ছবি: Fotolia/Elenathewise
আনারসের জুস
তাজা আনারসের জুস শরীরে ‘এনজাইম’ সরবরাহ করে, সহায়তা করে হজমেও৷ ছোট্ট একটি টিপস: লাউ-চিংড়ি বাঙালির একটি পরিচিত রান্না, তবে এই রান্নায় মসলার পরিমাণ কমিয়ে একটু আনারসের জুস দিয়ে দিন৷ দেখবেন খেতে দারুণ সুস্বাদু হবে আর মিষ্টি সুগন্ধেও ভরে যাবে৷ তবে লাউয়ের খোসা ফেলে না দিয়ে, খোসাসহ স্লাইস করে কেটে নিলে আরো ভালো হয়৷
ছবি: Fotolia/Digitalpress
শসার রস বা জুস
শসার রসে রয়েছে পটাশিয়াম যা হৃদপিণ্ড এবং নার্ভের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ আসলে শীতকালে যে কোনোই স্যুপ খুব উপাদেয়৷ আর সেটা যদি হয় একটু চর্বিযুক্ত পাঙ্গাস বা স্যামন মাছের স্যুপ, তাহলে তো কথাই নেই৷ স্যুপ হয়ে যাবার পাঁচ মিনিট আগে এককাপ তাজা শসার রস ঢেলে দিন৷ দেখবেন শরীরে কেমন একটা তরতাজা ভাব এনে দেবে৷
ছবি: Colourbox/Syda Productions
আঙুরের রস
আঙুরের রস বা জুসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখে৷ সৌন্দর্য ও লাবণ্য ধরে রাখতে আঙুরের রসের জুড়ি নেই৷ তাছাড়া পোলাউ বা চালের জর্দা জাতীয় খাবারে সামান্য আঙুরের রস এনে দেয় রসালো ভাব ও স্বাদ৷ কিছুটা কিশমিশের ‘টেস্ট’৷ একবার করে দেখা যেতে পারে বৈকি!
ছবি: picture-alliance/dpa/F.v. Erichsen
কমলার জুস
কমলার রসে যে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে, তা বোধ আজ আর কাউকে নতুন করে জানানোর প্রয়োজন নেই৷ কমলার জুস বিভিন্ন রান্নায় স্বাদ তো আনেই, কমলার টুকরো খাবারকেও করে আরো লোভনীয়৷ উনুন থেকে নামানোর কয়েক মিনিট আগে খোসাসহ ডালের চচ্চড়িতে কমলার সামান্য রস আর কয়েক টুকরো কমলা কেটে দিন, খেতে কিন্তু দারুণ! এছাড়া আমাদের দেশে কমলা লেবুর রস দিয়ে মাছ রান্নার চলও রয়েছে৷ কমলা ইলিশ করে দেখুন, কেমন মজা!
ছবি: DW/S.Mayang
ঘুমের ওষুধ চেরি ফলের রস
যাঁদের ঘুমের সমস্যা, তাঁরা রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস চেরিফলের জুস খেলে ভালো ঘুম হবে৷ লুইসিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এই তথ্যটি দিয়েছেন৷ এতে থাকা যথেষ্ট মিনারেল এবং ভিটামিন ঘুমোতে সাহায্য করে৷ তাছাড়া চেরি ফল দিয়ে কিন্তু খুবই মজার আচার তৈরি করা যায়, যা খেতে হয় প্রায় বরইয়ের আচারের মতো৷ করে দেখুনই না একবার!
ছবি: picture-alliance/ dpa
হৃদরোগকে দূরে রাখতে বেদানার রস
বেদানায় রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রতিদিন ছোট এক গ্লাস বেদানার রস পান করলে হৃদরোগ থেকে দূরে থাকা যেতে পারে৷ বলা বাহুল্য, জার্মনিতে কিছু দিন আগে পর্যন্তও বেদানা দেখা যেত না৷ তবে আজকাল প্রায় প্রতিটি ফলের দোকানেই বেদানা পাওয়া যায়৷
ছবি: Fars
বিভিন্ন ফল ও সবজির জুস
তাজা ফল বা সবজির জুসে থাকে প্রচুর ভিটামিন এবং মিনারেল, যা শরীরের নানা প্রয়োজন মিটিয়ে শরীরকে ‘ফিট’ রাখে৷ তাই কয়েক রকমের ফল একসাথে মিশিয়ে এক গ্লাস জুস তৈরি করে পান করুন প্রতিদিন৷ বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনের সময় অসুখ-বিসুখকে দূরে রাখতে তাজা ফলের রস খুবই উপকারে আসে৷