আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনে কাজ বন্ধ
৩ ডিসেম্বর ২০২৪মঙ্গলবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে আগরতলায় তাদের যে সহকারী হাই কমিশন আছে, সেখানে আপাতত কনসুলার পরিষেবা বন্ধ থাকবে। উল্লেখ্য, সোমবার এই দপ্তরেই হামলা চালানো হয়েছিল।
বাংলাদেশের তরফে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এই দপ্তর বন্ধ থাকবে। তবে ভারতের অন্যান্য জায়গায় বাংলাদেশের হাই কমিশনগুলিতে কনসুলার পরিষেবা বন্ধ করার কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। এদিন ঢাকা এই কথা জানানোর পর আগরতলা সহকারী হাই কমিশনের দেওয়ালে এই নোটিসটি টাঙিয়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সংবাদপত্র প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, 'নিরাপত্তার কারণে আপাতত আগরতলার সহকারী হাই কমিশনে কনসুলার পরিষেবার কাজ বন্ধ রাখা হচ্ছে। ফলে সেখান থেকে বাংলাদেশের ভিসা আপাতত পাওয়া যাবে না।'
সোমবার আগরতলার এই সহকারী হাই কমিশনে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। দপ্তরে ভাঙচুর চালানো হয়। বাংলাদেশের পতাকার স্ট্যান্ড ভেঙে দেওয়া হয় এবং পতাকা পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। স্বতঃপ্রণোদিত মামলার ভিত্তিতে ত্রিপুরার পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনজন পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ডেপুটি পুলিশ সুপার পদমর্যাদার এক অফিসারকে ক্লোজ করা হয়েছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে একটি নোট পাঠিয়েছে। ভারতের প্রতিটি বাংলাদেশ মিশনে নিরাপত্তা জোরদার করার কথা বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করে। তবে সেখানে কী আলোচনা হয়েছে, তা এখনো প্রকাশ্যে জানায়নি কোনো দেশ।
এবিষয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের তরফেও এখনো পর্যন্ত কোনো বিবৃতি জারি করা হয়নি।
উল্লেখ্য, আগামী ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে যাওয়ার কথা ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির। এফওসি বা পররাষ্ট্র বিষয়ক আলোচনার জন্য আগেই এই বৈঠক ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেই সফর সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরে। ভারত যদিও এবিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।
এসজি/এসবি (পিটিআই, প্রথম আলো)