আগামীতে বন্যার প্রকোপ বাড়বে ভারতে
১৭ নভেম্বর ২০১০জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভারতের কৃষি, পানি, স্বাস্থ্য, প্রাকৃতিক ইকো সিস্টেম ও জীববৈচিত্র্যে কী ধরণের প্রভাব পড়ছে তার উপর গবেষাণামূলক সমীক্ষা চালায় পরিবেশ এবং বন মন্ত্রণালয়৷ সেই সমীক্ষারই ফল প্রকাশ করল সরকার৷ সেখানে বলা হয়েছে, হিমালয় অঞ্চলে তাপমাত্রা বৃ্দ্ধির সঙ্গে বৃদ্ধি পাবে প্লাবন এবং বাড়বে খরা৷ এবং তার প্রভাব গিয়ে পড়বে ফসল এবং গবাদি পশুর উপর৷
সমীক্ষার রিপোর্টটি প্রকাশ করার সময় পরিবেশ মন্ত্রী জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘‘পৃথিবীর আর কোনো দেশ নেই যে দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভারতের মতো এতদিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷''
হিমালয় অঞ্চল, পশ্চিম ঘাট এলাকা, উপকূলীয় এলাকা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চল এই চারটি এলাকায় ১৯৭০'এর দশকের সঙ্গে তুলনা করলে বৃষ্টিপাত পাঁচ থেকে দশ দিনের মত বাড়তে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ এই অঞ্চলগুলোতে ধান উৎপাদন কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও ভুট্টা ও জোয়ারের মতো অন্যান্য ফসল উৎপাদন কমে যাবে৷
বলা হচ্ছে, তাপমাত্রা ১ দশমিক ৭ থেকে ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে৷ যার প্রভাব পড়বে গবাদি পশুর উপর৷ এতে করে গরু-ছাগল কম দুধ দেবে৷ একদিকে হিমালয় অঞ্চলে খরা দেখা দেবে, অন্যদিকে অন্য এলাকাগুলোতে বন্যার প্রকোপ বাড়তে পারে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ৷৷ যার ফলে রাস্তা-ঘাট ও সেতু ভেঙে যাবে৷ ক্ষতিগ্রস্ত হবে অবকাঠামো৷
এই রিপোর্ট তৈরি করার জন্য ‘দ্য ইন্ডিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাসেসমেন্ট ' সারা দেশের ২শ ২০ জন বিজ্ঞানীকে একত্রিত করেছিল৷ পরিবেশ মন্ত্রী বলেছেন, ‘‘ সমীক্ষাটি ২০৩০'এর দশকে জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে প্রথম সমন্বিত এবং দীর্ঘমেয়াদী এক মূল্যায়ন৷''
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক