1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আগামী সপ্তাহে ক্যাম্প প্রস্তুত হবে: মিয়ানমার

১৫ জানুয়ারি ২০১৮

মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহ থেকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন শুরু হওয়ার কথা৷ সেই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের বিস্তারিত নিয়ে দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে সোমবার আলোচনা হয়েছে৷

Bangladesch Rohingya Flüchtlingscamp
ছবি: Getty Images/AFP/E. Jones

মিয়ানমারের রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ঐ আলোচনায় বাংলাদেশের ১৪ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছে৷ মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ ও ত্রাণমন্ত্রী উইন মিয়াত আয়ে বলেন, কতজন রোহিঙ্গাকে ফিরতে দেয়া হবে এবং কীভাবে তাদের পরিচয় পরীক্ষা করা হবে, সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷

বাংলাদেশের দুই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা এএফপিকে আলোচনার ব্যাপারটি নিশ্চিত করলেও বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি৷

এদিকে, মিয়ানমারের সরকারি গণমাধ্যম ‘গ্লোবাল নিউ লাইট অফ মিয়ানমার'-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৩ জানুয়ারি থেকে রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত মিয়ানমার৷ এ লক্ষ্যে মংদুতে ১২৪ একর এলাকার উপর একটি ‘অস্থায়ী ক্যাম্প' নির্মাণের কাজ শেষের পথে রয়েছে৷ সেখানে ৬২৫টি ভবনে প্রায় ত্রিশ হাজার জনের বসবাসের ব্যবস্থা হবে বলেও ঐ প্রতিবেদনে জানানো হয়৷ স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যবস্থা হওয়ার আগ পর্যন্ত রোহিঙ্গারা ঐ ক্যাম্পে থাকবেন৷

রোহিঙ্গা শিশুদের খোঁজ নিচ্ছে না কেউ

01:26

This browser does not support the video element.

উল্লেখ্য, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে গত বছরের নভেম্বরে ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল৷ এরপর ডিসেম্বরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এক লক্ষ রোহিঙ্গার নামের একটি তালিকা মিয়ানমারকে দেয়া হয়৷ তবে মিয়ানমার এখনও ঐ তালিকা পাবার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি৷

চুক্তি অনুযায়ী, ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে যে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে গেছেন তাঁদের ফিরে যাওয়ার কথা৷ জাতিসংঘের হিসেবে সংখ্যাটি সাড়ে ছয় লক্ষের উপরে৷ তবে মিয়ানমার আসলেই কতজন রোহিঙ্গাকে ফেরতে নেবে, তা নিয়ে কূটনীতিকদের মধ্যে সংশয় রয়েছে৷

এদিকে, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর আগে তাঁরা আসলেই ফিরতে চান কিনা, তা জিজ্ঞাসা করার দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা৷ কারণ, বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের অনেকের মনে শঙ্কা যে, মিয়ানমারে ফিরে গেলে আবারও হয়ত নির্যাতনের শিকার হতে হবে৷ বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, বাংলাদেশের ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া অনেক রোহিঙ্গার সঙ্গে তাদের প্রতিবেদকরা কথা বলেছেন৷ এদের বেশিরভাগই মিয়ানমারে ফিরতে আগ্রহী নন৷

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ