পেটে খাবার নেই৷ গায়ে কাপড় নেই৷ ভবিষ্যৎ অন্ধকার৷ দীর্ঘ লকডাউন এবং আমফানের পর করোনা নিয়ে আর মাথা ঘামাচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ৷
বিজ্ঞাপন
কলকাতা বিমানবন্দরে যখন দিল্লির ফ্লাইট নামলো, কাতারে কাতারে মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে পড়লেন৷ থার্মাল চেক আপ হলে তবে মুক্তি৷ দীর্ঘদিনের অপেক্ষার শেষে বাড়ি ফেরার সুযোগ হয়েছে সকলের৷ দেখলেই বোঝা যায়, তাঁদের অনেকেই এই প্রথম প্লেনে চড়লেন৷ হয়তো এই শেষ!
হাজার দশেক টাকা খরচ করে বিমানের টিকিট কেটেছিলেন সহযাত্রী শ্রমিক৷ দিল্লির অদূরে একটি কারখানায় কাজ করতেন ঠিকা কর্মচারী হিসেবে৷ লকডাউনে কাজ গিয়েছে৷ বার বার ভেবেছেন হেঁটে ফিরে আসবেন৷ কিন্তু এক একটা মৃত্যু ভাবনায় বাঁধ দিয়েছে৷ একমাস কার্যত একবেলা খেয়ে সঞ্চয়ের সর্বস্ব উজাড় করে, স্ত্রীর গয়না বেচে প্লেনের টিকিট কেটেছেন ভদ্রলোক৷ কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে চুমু খেয়েছেন মাটিতে৷
সফটওয়্যার আপডেটের মতো আপডেটেড হয়েছে ভারতের লকডাউন৷ এখন চলছে লকডাউন ৫.০ এবং আনলক ১.০৷ ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে এই প্রক্রিয়া৷ সরকার বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, এই সময় পর্বে কী কী খুলবে, কী ভাবে খুলবে, বন্ধই বা থাকবে কী কী৷ কিন্তু ক’জন খোঁজ রাখেন তার? ক’জনের খোঁজ রাখার পরিস্থিতি আছে?
আনলক পর্ব গোটা দেশে শুরু হয়েছে ৮ জুন৷ কলকাতায় তা শুরু করে দিয়েছে আমফান৷ লকডাউন কাজ কেড়েছিল, আমফান ঘর কেড়ে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের৷ পেটে কিল দিয়ে প্রায় দুই মাস ধরে যাঁরা করোনা ভয়ে গৃহবন্দি ছিলেন, আমফান তাঁদের আশ্রয়হীন করেছে৷ তাঁরা বুঝে গিয়েছেন, তাঁদের দেখার কেউ নেই৷ ফলে আর বাড়িতে বসে থাকা যাবে না৷ মে মাসের শেষ পর্ব থেকে জুনের শুরু, স্বচক্ষে দেখে এসেছি কাতারে কাতারে মানুষ মাঠে কাজ করতে শুরু করে দিয়েছেন৷ নৌকো, জাল নিয়ে নেমে পড়েছেন নদীতে৷
করোনার বিরুদ্ধে কারা জেতে, কারা জেতে না
ফুটবলে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সমানে সমানে লড়ে, কিন্তু এই লড়াইয়ে ব্রাজিল পাত্তাই পায় না৷ ৪৫ বছর আগের এক যুদ্ধের মতো পুঁচকে ভিয়েতনামের কাছে আবার লজ্জা পায় যুক্তরাষ্ট্র৷ করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধের আরো কিছু বিষয় থাকছে ছবিঘরে..
ছবি: Getty Images/AFP/S. Lima
দেশ অপ্রস্তুত আর প্রেসিডেন্ট একগুঁয়ে হলে যা হয়
চীনে করোনা সংকট দেখা দেয়ার দু’মাস পরও যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাসামগ্রীর ঘাটতি, করোনা টেস্ট শুরু করায় বিলম্ব, ইটালিতে মৃত্যুর মিছিল দেখেও করোনাকে ট্রাম্পের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, মধ্য এপ্রিলেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে চাওয়া- ইত্যাদির উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি৷ বিশেষজ্ঞরা যা চান ট্রাম্প তার ঠিক বিপরীত দিকে হাঁটতে চেয়েছেন৷ ফলাফল পরাশক্তি হয়েও করোনার কাছে নাস্তানাবুদ হওয়া৷
শীতল যুদ্ধের যুগ আর নেই৷ তবে এ যুগেও কমিউনিস্ট শাসিত কিউবা আর যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক মধুর হয়নি ৷ যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যু এক লাখ ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে, অথচ কিউবায় মারা গেছে মাত্র ৮৩ জন৷ হোক না মাত্র এক কোটি ১৪ লাখ মানুষের দেশ, করোনাকে এভাবে বোতলবন্দি করলো কিভাবে তা-ই এখন কৌতুহলের কেন্দ্রে৷ গার্ডিয়ান বলছে, শুরু থেকে সপ্তাহের সাতদিন ঘরে ঘরে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করে তা সম্ভব করেছে কিউবা৷
ছবি: pictrure-alliance/AP Photo/I. Francisco
বিশেষজ্ঞরা স্বেচ্ছাচারিতার কবলে পড়লে যা হয়
লকডাউন প্রশ্নে ট্রাম্পের বিরোধিতা করে কোণঠাসা হয়েছেন জাতীয় অ্যালার্জি ও সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউটের প্রধান ডা, অ্যান্থনি ফাউচি, একই বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর বিরোধিতা করে দায়িত্ব হারিয়েছেন ব্রাজিলের দুই স্বাস্থ্যমন্ত্রী৷ সামাজিক দূরত্ব মানার সরাসরি বিরোধিতা করা বলসোনারোর দেশও এখন ধুঁকছে৷ গার্ডিয়ানের বিশ্লেষণে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে কিউবার চেয়ে সত্তর গুন পিছিয়ে আছে ব্রাজিল৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. Lima
ভিয়েতনাম হলে যা হয়
ভিয়েতনামও করোনার বিরুদ্ধে দারুণ সফল৷ দেশ ছোট আর অর্থনীতি দুর্বল হলেও বড় যুদ্ধে ভিয়েতনাম কখনো হারেনি৷ ৩৫ বছর আগে সামরিক যুদ্ধে ব্যর্থ হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, এখন ব্যর্থ হচ্ছে করোনা ভাইরাস৷ দ্রুত সীমান্ত বন্ধ করা, অল্প সময়ে বেশি পরীক্ষা করানো, সামাজিক দূরত্ব, লকডাউন- সব নিয়ম কঠোরভাবে মেনে সফল হয়েছে ভিয়েতনাম৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Hau Dinh
সরকার এবং সরকারপ্রধান অপরিনামদর্শী না হলে যা হয়
জনমনে অসন্তোষ দেখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট বন্ধ করেছিল ব্রাজিল সরকার৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তা আবার চালু হয়েছে৷ ফুটবলে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে আর্জেন্টিনা ২৬ হাজারের মতো সংক্রমণ আর মাত্র ৭৮৭ জন করোনায় মৃত্যু নিয়ে এখনো অনেক ভালো অবস্থায়৷ আর্জেন্টিনার জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে চার কোটি, বিপরীতে ব্রাজিলের জনসংখ্যা ২১ কোটির কাছাকাছি হলেও ব্যবধানটা কিন্তু সেই তুলনায় অনেক বড়!
ছবি: Getty Images
করোনাকে বেশি সময় দিলে যা হয়
করোনা যখন হানা দিলো, তখন পরীক্ষার প্রস্তুতি, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের জোগান- সব কিছুরই ঘাটতি ছিল ইউরোপের দেশটিতে৷ লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব মানতে চাননি অনেকে৷ ফলে বিপদ বেড়েছে দ্রুত৷ এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক৷ এ পর্যন্ত ইটালিতে ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ ডাক্তার মারা গেছেন একশ’রও বেশি৷ বেশির ভাগ ডাক্তারই মারা গেছেন পিপিই ছাড়া চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/E. Mattia Del Punta
ছোট দেশও ‘গাইডলাইন’ মানলে যা হয়
প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্ন জানিয়েছেন, নিউজিল্যান্ডে আর করোনায় সংক্রমিত রোগী নেই৷ বিশ্লেষকরা বলছেন মূলত গাইডলাইন মেনে চলার কারণেই এমন সাফল্য এসেছে৷ ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের স্কুল অব ফার্মাসির শিক্ষক ওকসানা পাইসিক বলেন, ‘‘ প্রথমে খুঁজে বের করা, তারপর টেস্ট করা, আইসোলেট করা, প্রত্যেক রোগীকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা, সংক্রমণ ধরা পড়লে কোয়ারান্টিনে পাঠানো- এসব মেনেই নিউজিল্যান্ড সফল হয়েছে৷’’
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Baker
7 ছবি1 | 7
গ্রামে, সদরে, মফস্বলে, শহরতলিতে লকডাউনের হুমকিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ছোট ছোট দোকানদাররা ঝাঁপ তুলে দিয়েছেন৷ দেদার বিক্রি হচ্ছে চপ, রোল, হান্ডি বিরিয়ানি৷ লোকে কিনছেও৷ কলকাতায় প্যাডেল চালিয়ে দিয়েছেন রিক্সচালক৷ অটো চালকরা পাঁচজন সওয়ারি নিয়েই রুটের ভাড়া খাটছেন৷ বাড়ির পরিচারিকারা জোর করে কাজে ফিরতে চাইছেন৷ মধ্যবিত্ত এখনও সন্ত্রস্ত করোনা নিয়ে, তবে তাঁরাও বুঝে গিয়েছেন, এ ভাবে বাড়িতে বসে চাকরি আর বাঁচবে না৷
না, পশ্চিমবঙ্গে সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই৷ অধিকাংশের মাস্ক গলার কাছে৷ গরম আর আর্দ্রতায় মাস্ক মুখে রাখা যাচ্ছে না৷ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় নদীবাঁধ ভেঙেছে৷ ঘরহারা হাজার হাজার মানুষ কোদাল, শাবল নিয়ে খালি গায়ে মাটি ঢালছেন বাঁধের মুখে৷ না, তাঁদেরও মাস্ক নেই৷ গায়ে দেওয়ার জামাও নেই৷ বিমানে যে শ্রমিক ভদ্রলোকের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল, তাঁর বাড়ি সুন্দরবনে৷ বলছিলেন, বাড়ি কার্যত ভেঙে পড়েছে৷ গ্রামের ভিতর জোয়ার ভাটা চলছে৷ পৌঁছেই কোদাল শাবল নিয়ে নেমে পড়বেন বাঁধ সারানোর কাজে৷ সরকারের উপর কোনো ভরসা নেই৷ জানি না হিঙ্গলগঞ্জে লঞ্চ থেকে দেখা বাঁধ সারাইয়ের কাজে তিনিও ছিলেন কি না৷
পাড়ার বাজারে দরদর করে ঘামতে ঘামতে মুরগি কাটছেন যে পরিচিত দোকানদার, তাঁর মাস্কও গলায়৷ মুখে লাগালে চশমা ঝাপসা হয়ে যায়৷ দুইবার অনুরোধ করেছিলাম, মাস্কটা মুখে লাগান৷ একরাশ ক্ষোভ নিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমফানে ঘরের চাল উড়ে গিয়েছে৷ লকডাউনে সমস্ত টাকা শেষ৷ এ বার চশমা ঝাপসা হলে আঙুলটাও যাবে৷ ও সব করোনা টরোনা বড়লোকদের অসুখ৷ তাঁদের টেস্ট হয়৷ আমার হলে কেউ জানতেও পারবে না৷ না খেয়ে মরার চেয়ে করোনা তুলে নিলে তুলে নিক৷’’
অবাক লাগে শুনতে! অবাক লাগে যখন দেখি, শহরে একের পর এক সরকারি বেসরকারি অফিস খুলে যায়, কিন্তু লোকাল ট্রেন চলে না৷ রাজ্য সরকার নিয়ম করেছে বাসে ২০ জনের বেশি চড়তে পারবে না৷ কে শোনে কার কথা? বাদুড়ঝোলা ভিড় দিকে দিকে৷ লোকাল ট্রেন চলছে না বলে সমস্যায় পড়েছেন মফস্বল গ্রামের লোকেরা৷ প্রতিদিন কয়েক লাখ মানুষ লোকালে চড়ে কলকাতায় কাজ করতে আসেন, বেলাশেষে ফিরে যান৷ 'মানছি না মানবো না'র শহরে এ নিয়ে এতদিনে হরতাল হয়ে যাওয়ার কথা ছিল৷ হয়নি৷ দূর দূরান্ত থেকে সাইকেল নিয়ে কাজে চলে আসছেন সাধারণ মানুষ৷ কারও কোনও অভিযোগ নেই৷ সকলেই বুঝতে পারছেন, কাজ দরকার৷ রোজগার দরকার৷ শহরে যেনতেনপ্রকারেণ আসতে না পারলে চাকরি থাকবে না৷ সকলেই পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝে নিচ্ছেন নিজেদের মতো করে৷
করোনা লকডাউন আসলে একটা বিষয় বুঝিয়ে দিয়েছে৷ পেটের ভয়ের চেয়ে বড় আর কিছু নেই৷ সুন্দরবনে আমফান বিধ্বস্ত যে মানুষগুলি এই গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাঁধে দাঁড়িয়ে থাকছেন শুধু একটু জল পাওয়ার জন্য, করোনা এবং তা ঘিরে তৈরি হওয়া নিয়ম সত্যিই তাঁদের কাছে বিলাসিতা৷ এখনও অচিন গ্রামের যে মা প্রসব যন্ত্রণা হলে তিন ঘণ্টার রাস্তা পেরিয়ে হাসপাতাল যান, প্রসব হয়ে যায় নৌকোর ছাওয়ার তলায়, করোনার নিয়ম তাঁর কাছেও বিলাসিতা৷ সরকারি ত্রাণের টোকেন নিয়ে নদী বাঁধে দাঁড়িয়ে থাকে যে বালিকা, করোনা শুনলে তার চোখে বিস্ময় ধরা পড়ে৷ বাড়ির ইএমআই, সন্তানের টিউশন ফি, বাবা মায়ের ওষুধের খরচ গুণতে গুণতে যে মধ্যবিত্ত সপ্তাহান্তে একটু আয়েসের স্বপ্ন দেখতেন, লকডাউন তাঁর চাকরি খেয়েছে৷ হ্যাঁ, এই মুহূর্তে করোনার ভয় তাঁর কাছেও বিলাসিতা৷ হন্যে হয়ে চাকরি খোঁজার সময় বাসে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা মাথায় থাকে না৷
সরকার জানে না এরপর কী হবে৷ কেন্দ্রও নয়, রাজ্যও নয়৷ লকডাউন থাকতে থাকতেই দেশে করোনা সংক্রমণ আকাশ ছুঁয়েছে৷ তবু বাধ্য হয়ে লকডাউন শিথিল করতে হচ্ছে৷ অর্থনীতির হাল বেহাল৷ কী হবে কেউ জানে না৷
একসময় বলা হতো, বাংলা আজ যা করে, বাকি ভারত তা করে আগামীকাল৷ কলকাতা থেকে দিল্লির ফিরতি বিমানে ওঠার সময় সত্যি সত্যিই সে কথাটা মনে হলো৷ একরাশ করোনা আতঙ্ক নিয়ে কলকাতা গিয়েছিলাম৷ একরাশ ভয়াবহতার দৃশ্য নিয়ে ফিরতি প্লেনে চড়লাম৷ না, করোনা নিয়ে আর ভাবছি না৷ মানুষ একটু খেতে পাক আগে৷
প্রিয় পাঠক, আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷
করোনা-কালীন বিমান
বিমান, না কি মহাকাশে যাওয়ার প্রস্তুতি? যাত্রী থেকে বিমান সেবিকা-- পোশাক দেখলে মনে হবে নভশ্চর। সামাজিক দূরত্বের নতুন সময়ে ভারতে পাল্টে গিয়েছে বিমানবন্দরের দৃশ্য।
ছবি: DW/Syamantak Ghosh
বসতে মানা
বিমানবন্দরের বসার জায়গায় এ ভাবেই স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। সব আসনে বসা যাবে না। একটা ছেড়ে ছেড়ে বসতে হবে। মেঝেতেও এ ভাবেই মার্কিং করা। সর্বত্র লেখা আছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা।
ছবি: DW/Syamantak Ghosh
বিশ্রামে কর্মীরা
সারা দিন ধরে বিমানবন্দর স্যানিটাইজ করার চেষ্টা করছেন কর্মীরা। তারই ফাঁকে একটু জিরিয়ে নেওয়া। সকলেরই পরনে পিপিই কিট।
ছবি: DW/Syamantak Ghosh
চৌকো চৌকো খোপ
লাউঞ্জ থেকে বিমান পর্যন্ত যাওয়ার বাসেও চৌকো চৌকো খোপ। যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব মেনে ওই খোপেই দাঁড়াতে হবে।
ছবি: DW/Syamantak Ghosh
মাঝে বসলে পিপিই
বিমানে উঠে জানলার আসন বা আইলের আসনে বসলে শুধুমাত্র মাস্ক এবং ফেস শিল্ড পরলেই চলবে। কিন্তু মাঝের সিটে বসলে পরতে হবে পিপিই। ফেস শিল্ড, মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং পিপিই দিচ্ছে বিমান সংস্থাই।
ছবি: DW/Syamantak Ghosh
স্কাইফাই দৃশ্য
বিমানের ভিতরে এ ভাবেই ফেস শিল্ড আর মাস্ক পরে বসতে হচ্ছে সকলকে। সঙ্গের ব্যাগও আগে থেকে স্যানিটাইজ করে দেওয়া হচ্ছে।
ছবি: DW/Syamantak Ghosh
স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া
যাত্রী ওঠার সময় এ ভাবেই ধোঁয়ার মতো জীবাণুনাশক ব্যবহার করে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে বিমান। প্রায় আধঘণ্টা ধরে এই প্রক্রিয়া চলে।
ছবি: DW/Syamantak Ghosh
নভশ্চর বিমান সেবক
বিমান সেবক এবং সেবিকারাও পিপিএ পরে কাজ করছেন। শারীরিক সংযোগ হয়, এমন কোনও কাজ তাঁরা করছেন না। এমনকী, বিমানে খাবার দেওয়াও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ছবি: DW/Syamantak Ghosh
ব্যাগ নিয়ে লাইনে
লাগেজ বেল্ট থেকে জিনিস নিয়ে এ ভাবেই দাঁড়াতে হচ্ছে লাইনে। সামাজিক দূরত্ব মেনে একজন একজন করে বাইরে যেতে পারছেন।
ছবি: DW/Syamantak Ghosh
এবং পরীক্ষা
বিমানবন্দর থেকে বেরনোর আগে এ ভাবেই মেপে নেওয়া হচ্ছে শরীরের উত্তাপ। থার্মাল স্ক্যানে তাপমাত্রা বেশি এলে যাত্রীদের পাঠানো হচ্ছে অন্যান্য পরীক্ষায়।