‘আগে মন্ত্রীত্ব ছাড়ুক, তারপরে তদন্ত হোক’
২৪ আগস্ট ২০১৫ কয়েকদিন আগে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্পত্তি দখলের অভিযোগ তোলে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ৷ পরে সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন বর্তমান সরকারের প্রভাবশালী এই মন্ত্রী৷ তবে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় হিসেবে পরিচিত খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগটি তদন্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার৷ তার নির্বাচনি এলাকা ফরিদপুরে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সত্যিই একটি হিন্দু পরিবারের সম্পদ কৌশলে দখল করে নিয়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে৷
তবে এই কমিটি সত্যিই নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে, নাকি মন্ত্রীর প্রভাববলয়ের লোকজন সম্পৃক্ত থাকায় সত্য ধামাচাপা পড়বে- এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রশ্ন উঠছে৷ কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনেও এই আশঙ্কার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে৷
এই বিষয়ে ডয়চে ভেলের পাঠক ও ফেসবুক পাতার অনুসারীদের মতামতও জানতে চাওয়া হয়েছিল৷ তদন্ত কমিটি গঠনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ‘‘এই তদন্ত থেকে কি সত্যি বেরিয়ে আসবে?’’
জবাবে মশিউর রহমান শুধু তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে লিখেছেন, ‘‘উদ্যোগটা ভালো৷’’ পলাশ মন্ডল লিখেছেন, ‘‘এটা লোক দেখানো কমিটি, সত্য বেরিয়ে আসবেনা৷’’ নাটক না করে সঠিক তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন পঙ্কজ৷
সুবীর মম লিখেছেন, ‘‘তদন্ত করবেটা কে, আগে মন্ত্রীত্ব ছাড়ুক, তারপরে তদন্ত হবে৷’’ অর্থাৎ অনেকের মনেই মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নির্বাচনি এলাকায় তিনি মন্ত্রী থাকা অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে গঠন করা তদন্ত কমিটি নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবে কিনা এ বিষয়ে সংশয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷
হোসেন বিন ইউসুফও তাই মনে করছেন, ‘‘লোক যখন সরকার দলীয় তখন কিচ্ছু করতে পারবে না৷’’
ফেসবুকে কেউ কেউ স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এখনই কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেছেন৷ তবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগে সেরকম কোনো ব্যবস্থা নিলে মন্ত্রীর প্রতিও অবিচারের আশঙ্কা থেকে যায় কিনা এ প্রশ্নের কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি৷
সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: জাহিদুল হক