1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আগ্নেয়গিরির ছবি তুলে বিখ্যাত হয়েছেন তিনি

২৯ জানুয়ারি ২০১৮

আগ্নেয়গিরি আর বরফের দেশ আইসল্যান্ড৷ ২০১০ সালে সেখানকার একটি আগ্নেয়গিরির কারণে প্রায় পুরো ইউরোপেই বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল৷ ঐ আগ্নেয়গিরির ছবি তুলে তখন পরিচিতি পেয়েছিলেন এক ফটোগ্রাফার৷

DW euromaxx 06.12.2017 Vulkanfotograf
ছবি: DW

তাঁর নাম ব়্যাগনার সিগুর্ডসন৷ তিনি বলেন, ‘‘যতটা সম্ভব অগ্ন্যুৎপাতের কাছে গিয়ে ছবি তোলার বিষয়টি বেশ উত্তেজনার৷ তবে এভাবে ছবি তুলতে আপনাকে খুবই সৃজনশীল হতে হবে, নিজের উপর আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে৷''

কোনো আগ্নেয়গিরির জীবন্ত হয়ে ওঠা পছন্দ করেন ব়্যাগনার৷ যতটা সম্ভব তার কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেন৷ সেটা গাড়ি নিয়ে হোক, কিংবা ছোট্ট প্লেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি অনেক কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছি৷ ছুটে আসা লাভার কয়েক সেন্টিমিটারের মধ্যে চলে গিয়েছিলাম৷ কারণ তখন লাভা খুব ধীরে সামনে এগোচ্ছিল৷ ফলে কাছে যাওয়াটা নিরাপদ মনে করেছিলাম৷ তারপরও অবশ্য ভয় পেয়েছিলাম৷ তাই বেশ জোরে দৌঁড় দিয়েছিলাম৷''

আইসল্যান্ডের সবচেয়ে বিখ্যাত এইয়াফিয়াদলা আগ্নেয়গিরির ছবি তুলে প্রথম পরিচিতি পান ব়্যাগনার৷ ২০১০ সালে ঐ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্ট ধোঁয়ায় ইউরোপে বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছিল৷ অনেক ধৈর্য নিয়ে ঐ আগ্নেয়গিরির প্রায় দশ হাজার ছবি তুলেছিলেন ব়্যাগনার৷ সেই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সিগুর্ডসন বলেন, ‘‘অপেক্ষা, অপেক্ষা, একটা কিছু ঘটবে তার জন্য অপেক্ষা৷ অগ্ন্যুৎপাত দেখার জন্য কয়েকদিন প্রতি মহূর্তেই অপেক্ষায় থাকতে হয়েছিল৷ কারণ আগ্নেয়গিরির মুখটি ছিল ১,৪০০ মিটার উঁচুতে, আর মেঘ ছিল এক হাজার মিটার উঁচুতে৷ তাছাড়া চারদিক ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছিল৷''

৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব়্যাগনার প্রকৃতির ছবি তুলছেন৷ গ্রিনল্যান্ড থেকে শুরু করে নরওয়ে, উত্তর মেরু – এ সব এলাকায় ছবি তোলেন তিনি৷

তবে আগুন আর বরফের দেশ বলে পরিচিত তাঁর মাতৃভূমি আইসল্যান্ডের মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অন্যান্য এলাকায় খুব কমই আছে৷ ১৩০টির মতো আগ্নেয়গিরি ও উষ্ণ প্রসবণ আছে আইসল্যান্ডে৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা অনেকটা নেশার মতো৷ আমার মনে হয় আইসল্যান্ডের আমরা সবাই অগ্ন্যুৎপাত পছন্দ করি৷ তবে কখনও কখনও এটা বিপজ্জনক হতে পারে, প্রাণনাশকও হতে পারে৷ অবশ্য ভাগ্য ভালো যে, গত কয়েক দশকে আমাদের এখানে শুধু হালকা অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে, যা পর্যটকরা পছন্দ করে৷''

ছবি তুলতে সবসময় নতুন প্রযুক্তি ও কৌশল ব্যবহার করেন ব়্যাগনার৷ যেমন এখন ড্রোন দিয়ে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে ছবি তোলার চেষ্টা করছেন৷ তিনি বলেন, সবসময় ‘কিলার শট'-এর খোঁজে থাকেন তিনি৷

ব়্যাগনার সিগুর্ডসন সবসময় তাঁর প্রিয় কাজের অপেক্ষায় থাকেন৷ আইসল্যান্ডে পরবর্তী অগ্ন্যুৎপাত নিশ্চয় ঘটবে – হতে পারে সেটি মাত্র কয়েক মিনিটের নোটিশে৷

গ্যোনা কেটেল্স/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ