1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কেলের নতুন জীবনী

আন্দ্রেয়াস গ্রিগো/এসি১৯ মে ২০১৩

জার্মান চ্যান্সেলরের নতুন জীবনীর নাম ‘আঙ্গেলা এম.-এর প্রথম জীবন’৷ জীবনীর দুই লেখকের দাবি, তাঁরা ম্যার্কেলের জিডিআর অতীত সম্পর্কে নানা নতুন তথ্য খুঁজে পেয়েছেন৷ বিশেষজ্ঞরা অবশ্য এর মধ্যে বিশেষ নতুন কিছু দেখছেন না৷

ছবি: picture alliance / dpa

গেয়র্গ রয়েথ ও গুইন্থার লাখমান তাঁদের বইতে যে সব ‘চমকে দেওয়ার মতো' তথ্য দিয়েছেন, তার প্রথমটি হলো: আঙ্গেলা ম্যার্কেল তৎকালীন পূর্ব জার্মানির কমিউনিস্ট যুব সংগঠন ‘এফডিইয়ট'-এর হয়ে ‘‘অ্যাজিটেশন ও প্রোপাগান্ডা'' করতেন৷ যা সে আমলে জিডিআর-এর মানুষদের পক্ষে আশ্চর্য কিছু না হলেও, ফেডারাল জার্মান প্রজাতন্ত্রের চ্যান্সেলরের পক্ষে কিছুটা বিব্রতকর বৈকি!

তার ওপর ৩৩৬ পাতার জীবনীটি প্রকাশিত হলো সংসদীয় নির্বাচনের ঠিক চার মাস আগে: সাড়া তোলা না হলেও, কান খাড়া করার সেটাও একটা কারণ৷ লেখক লাখমান ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, এ যাবৎ ম্যার্কেলের জীবনীগুলিতে যে ফাঁক থেকে গেছে, সেগুলোই তাঁরা ভরাট করতে চেয়েছেন৷ কিন্তু তাঁরা যে ধরনের তথ্য দিয়ে সেই ফাঁক ভরাট করার চেষ্টা করেছেন, জার্মান সরকার তা-তে চাঞ্চল্যকর কিছুই দেখেন না – সরকারি মুখপাত্রের মাধ্যমে জানানো হয়েছে এ কথা৷

নতুন বইয়ের কাভারছবি: Piper

‘আমার পথ'

বলা হয়েছে, ২০০৫ সালে ‘‘মাইন ওয়েগ'' বা ‘আমার পথ' নাম দিয়ে ম্যার্কেলের যে সাক্ষাৎকার ভিত্তিক জীবনী বেরিয়েছিল, তা-তে ম্যার্কেল তাঁর জিডিআর অতীত সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ও অতি ব্যক্তিগত অবস্থান জানিয়েছিলেন৷ লাখমান কিন্তু বলছেন, ‘‘মাইন ওয়েগ''-এ ম্যার্কেল শুধু বলেছেন, তিনি অ্যাজিটেশন ও প্রোপাগান্ডার কাজ করেছেন কিনা, সেটা তাঁর মনে নেই৷

অথচ তার দু'জন সাক্ষী আছে, বলেছেন লাখমান৷ দু'জনেই ম্যার্কেল সে সময় যেখানে ছিলেন, সেই বিজ্ঞান অ্যাকাডেমিতে এফডিইয়ট-এর সেক্রেটারি ছিলেন৷ তাঁরা ম্যার্কেলের বন্ধু ছিলেন এবং ম্যার্কেল সে আমলে তাঁদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করেছেন৷ এছাড়া রয়েথ ও লাখমানের বইতে আরো একটি নতুন তথ্য আছে, বলে লাখমান দাবি করেন: ম্যার্কেল সে আমলে প্রতিষ্ঠানের সরকারি শ্রমিক সংগঠনের নেতৃপর্যায়ে সংশ্লিষ্ট ছিলেন৷

দেখুনতো ম্যার্কেলকে খুঁজে পাওয়া যায় কী না...স্কুলে পড়ার সময়কার ছবিছবি: picture-alliance/dpa

ভাষান্তর

জিডিআর-এর প্রণালীটা ছিল তৎকালীন পশ্চিম জার্মানি কিংবা হালের ফেডারাল জার্মানির থেকে অনেক ক্ষেত্রে আলাদা৷ কাজেই এই সব তথ্যের সঠিক মূল্যায়ন করা প্রয়োজন৷ বার্লিনের ফ্রি ইউনিভার্সিটির জিডিআর সংক্রান্ত গবেষণা সমিতির এক পরিচালক ক্লাউস শ্র্যোডার ডয়চে ভেলেকে বলেন: ‘‘যুব সংগঠনের সদস্য হওয়া, এমনকি কোনো একটা পদ নেওয়ার বিশেষ কোনো তাৎপর্য নেই৷'' যুব সংগঠনের হয়ে কাজ করাটা একটা সামাজিক দায়িত্ব ছিল৷ আর ‘‘অ্যাজিটেশন ও প্রোপাগান্ডা'' বলতে নাৎসি আমলে গ্যোবেলস-এর প্রচারণার কথা ভাবলে চলবে না৷ তার অর্থ এ-ও হতে পারে যে, এফডিইয়ট-এর সিদ্ধান্তগুলো ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিজ্ঞপিত করা, কিংবা সভা-সমাবেশের আয়োজন করা৷ প্রতিষ্ঠানের সরকারি শ্রমিক সংগঠনের নেতৃপদও বিশেষ কিছু ছিল না: জিডিআর-এর লক্ষ লক্ষ মানুষ তা করেছেন৷

১৯৭৩ সালে ক্যাম্পিং করতে গিয়ে রান্না করছেন ম্যার্কেলছবি: picture-alliance/dpa

আসল কথা হলো, ম্যার্কেল কমিউনিস্ট এসইডি দলের সদস্য ছিলেন না – জিডিআর-এর বিশ লাখ মানুষ যে এসইডি-র সদস্য হয়েছিলেন৷ শ্র্যোডারের মতে, জিডিআর-এ কোনো না কোনো সংগঠনের সদস্য না হয়ে উপায় ছিল না৷ কিন্তু অদৃশ্য সীমারেখাটা ছিল এসইডি কিংবা ব্লকের অন্য কোনো দলের সদস্যতা৷ সেটা গ্রহণ করার অর্থ ছিল, তাঁদের একজন হয়ে যাওয়া৷

ম্যার্কেলের এফডিইয়ট সংগঠনের সদস্যতার চেয়ে বেশি খবর রয়েথ ও লাখমানের বইতে নেই৷ ম্যার্কেল কতদূর জিডিআর মতাদর্শে প্রভাবিত ছিলেন, সে সম্বন্ধে কোনো তথ্য তাঁদের কাছে নেই৷ চ্যান্সেলরের দপ্তরে বিভিন্ন প্রশ্নের একটা তালিকা পাঠিয়েও কোনো উত্তর পাননি তাঁরা, বলেছেন লাখমান৷ তবে তার অর্থ এই নয় যে, এই দুই লেখক হঠাৎ আঙ্গেলা ম্যার্কেলের অতীত সম্পর্কে নতুন কিছু আবিষ্কার করে বসে আছেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ