1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আজ বার্লিনের ন্যাটো সম্মেলনে লিবিয়াই হবে মুখ্য বিষয়

১৪ এপ্রিল ২০১১

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন ইতিমধ্যেই বার্লিন পৌঁছেছেন৷ ইতিপূর্বে একদল পশ্চিমা শক্তি ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ এই প্রথমবার গাদ্দাফির পদত্যাগের ডাক দিয়েছে৷

কাতারে লিবিয়া যোগাযোগ গোষ্ঠীর সম্মেলনছবি: picture alliance / dpa

তথাকথিত ‘‘কনট্যাক্ট গ্রুপ'' ছাড়াও, জাতিসংঘ, আরব লীগ, আফ্রিকান ইউনিয়ন, সকলেই গাদ্দাফির বিদায় নেওয়ার সপক্ষে৷ দোহার চূড়ান্ত বিবৃতিতে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলা হয়েছে যে, গাদ্দাফি এবং তার প্রশাসন যাবতীয় বৈধতা হারিয়েছে, এবং বিদ্রোহীদের জাতীয় পরিষদই হল আলাপ-আলোচনার বৈধ পাত্র, কেননা তারাই লিবিয়ার জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতিভূ৷ এছাড়া ‘লিবিয়া যোগাযোগ গোষ্ঠী' নাকি বিদ্রোহীরা যা'তে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রশাসন চালাতে পারে, তার জন্য একটা আর্থিক ব্যবস্থার কথা ভাবছে৷ বিদ্রোহীদের ‘‘বাস্তবিক সাহায্য'' দেবার কথাও বলা হয়েছে, যার এক অর্থ অস্ত্র সরবরাহও হতে পারে৷

অর্থাৎ বিদ্রোহীরা এবার অনেক বেশি জোরালো সমর্থন পেল৷ অবশ্য সমর্থন বলতে যদি অস্ত্র হয়, তবে ফ্রান্স এখনও তা দেবার কথা ভাবছে না৷ ব্রিটেন কিছু বডি আর্মার বা শরীর রক্ষার বর্ম এবং ১০০ স্যাটেলাইট ফোন দিয়েছে৷ আর কাতার নাকি বিদ্রোহীদের ফরাসি-নির্মিত ট্যাংক-বিধ্বংসী রকেট দিয়েছে বলে ত্রিপোলির অভিযোগ৷ ওদিকে বিদ্রোহীরা বলছে, অস্ত্রশস্ত্র পাওয়াটা বিশেষ সমস্যা নয়৷

কিন্তু মিত্রশক্তিদের তরফে আসল মুশকিল হল এই যে, ন্যাটো নাকি পর্যাপ্ত পরিমাণে অথবা শক্তিতে গাদ্দাফি বাহিনীর উপর হামলা চালাচ্ছে না৷ ব্রিটেন এবং ফ্রান্স চায় ন্যাটো আরো বেশি জঙ্গিজেট নিয়োগ করুক৷ মার্কিনিরা দৃশ্যত গাদ্দাফির বায়ু প্রতিরক্ষার উপর তাদের হামলা অব্যাহত রেখেছে, হয়তো ন্যাটোর জবুথবু অবস্থা দেখেই৷

আজদাবিয়ার কাছে রকেট ছুঁড়ছে বিদ্রোহীরাছবি: picture alliance/dpa

যুদ্ধের অবস্থা এই যে, পূর্বের ব্রেগা শহরের প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে দু'পক্ষের রকেট যুদ্ধ চলেছে৷ তেলের শহর ব্রেগা এখন সরকারি সৈন্যদের হাতে৷ পশ্চিমের মিস্রাতাতে দুপক্ষের তীব্র যুদ্ধ চলেছে শহরের মধ্যেই৷ কিন্তু আসলে সঠিক কোনো খবর নেই৷ এবং এক হিসেবে অচলাবস্থা৷

তার একটি কারণ ন্যাটোর বহু উঁচু দিয়ে ওড়া জঙ্গিবিমানগুলো আর মাটিতে কোনো লক্ষ্য খুঁজে পাচ্ছে না৷ অথবা যেগুলো পাচ্ছে, সেখানে আঘাত হানলে বেসামরিক ব্যক্তিদের হতাহত হবার সম্ভাবনা৷ ওদিকে মার্কিনিরা এখানে তাদের এ-১০ ‘‘ট্যাংকবাস্টার'' বিমান অথবা হেলিকপ্টার গানশিপ ব্যবহার করে আরো বেশি জড়িয়ে পড়তে চায় না৷

অর্থাৎ বার্লিনে ন্যাটো জোট সহযোগীদের এই দ্বিবিধ হিসেবে অসম যুদ্ধ জেতার একটা পন্থা ভেবে বার করতে হবে৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ