আজ মহান বিজয় দিবস
১৬ ডিসেম্বর ২০০৮৫২'র ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান আর ৭০এর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি এগিয়ে যায় স্বাধিকারের দিকে৷ ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে বলেন, এবারে সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম৷ এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম৷ তিনি যার যা আছে তা নিয়ে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান৷
২৫শে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ঢাকায় সাধারণ মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে৷ নির্বিচারে হত্যা করে সাধারণ মানুষকে৷ ওই রাতে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হওয়ার আগে ইপিআর বার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশর স্বাধীনতা ঘোষণা করেন৷ প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তোলে বাঙালী জাতি৷ শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ৷ ২৭শে মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে আবারো স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করলে মুক্তিযুদ্ধ আরো গতি পায়৷ ১৭ই এপ্রিল কুষ্টিয়ার মুজিব নগরে গঠন করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার৷
১১ টি সেক্টরে মুক্তিযোদ্ধারা ভাগ হয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে৷
পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করেছে তাদের স্থানীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামসরা৷ তারা এদেশে গণহত্যা ও বুদ্ধিজীবী হত্যা পরিকল্পনায় সহায়তা করে৷
৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন অগণিত মানুষ৷ বহু নারী হয়েছেন লাঞ্ছিত৷ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করেছে ভারত৷ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১ কোটি বাঙালি শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছিল ভারতে৷ মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে ভারতীয় মিত্রবাহিনী যোগ দেয় মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে৷
৩৭ তম বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ৩৭ বার তোপধ্বনি দিয়ে শ্রদ্ধা জানান হয় মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের প্রতি৷ এরপর সূর্য ওঠার সাথে সাথে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পন করেন রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ
ও প্রধান উপদেষ্টা ড: ফখরুদ্দিন আহমদ৷ ঢাকা সহ সারা দেশে চলছে বিজয় দিবসের নানা অনুষ্ঠান মালা৷ সবশ্রেণীর মানুষ এই বিজয় দিবসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি করেছেন৷