আটকে পড়া শ্রমিকদের প্রথম ছবি
২১ নভেম্বর ২০২৩উত্তরাখণ্ডে সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারকাজে সামান্য অগ্রগতি। বহু চেষ্টার পর সোমবার একটি ছয় ইঞ্চির পাইপ আটক শ্রমিকদের সামনে পর্যন্ত ঢোকানো গেছে। ওই পাইপের ভিতর দিয়েই পাঠানো হয়েছিল একটি ক্যামেরা। তাতে ধরা পড়েছে ৪১ জন শ্রমিকের চেহারা। শ্রমিকদের আতঙ্কিত মুখ উঠে এসেছে ক্যামেরায়। তবে আনন্দের কথা হলো, শ্রমিকেরা জীবিত আছেন। ১০ দিন আটকে থাকার পরেও তারা প্রাণের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
এতদিন তাদের শুকনো খাবার পাঠানো হচ্ছিল। এদিন প্রথম বোতলে করে গরম খিচুড়ি পাঠানো হয় তাদের কাছে। শুধু তা-ই নয়, আটক শ্রমিকদের কাছে ওয়াকি-টকিও পাঠানো হয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন উদ্ধারকারীরা।
উদ্ধারকাজের চার্জে থাকা কর্নেল দীপক পাটিল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ''রোববার রাতের অগ্রগতিতে আমরা খুশি। আমরা শ্রমিকদের কাছে মোবাইল ফোন এবং চার্জারও পাঠাবো। আশা করা যায়, এরপর উদ্ধারকাজ আরো দ্রুত করা সম্ভব হবে।''
সোমবার প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল, পাঁচটি সংস্থা যৌথভাবে এই অপারেশনে যোগ দিয়েছে। আনা হয়েছে একাধিক অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। তার সাহায্যেই নতুন করে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। এর আগে, ড্রিল করে সুড়ঙ্গের খুব কাছ পর্যন্ত পৌঁছানোর পর বিরাট ধস নেমেছিল। সমস্ত কাজ পণ্ড হয়েছিল। এবার বিভিন্ন দিক থেকে ড্রিল করে বড় বড় পাইপ ঢুকিয়ে সুড়ঙ্গের ভিতর পর্যন্ত পৌঁছানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর কাছে পাহাড় কেটে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ চলছিল। চারধাম যাত্রার রাস্তা চওড়া করার জন্যই তৈরি হচ্ছিল ওই সুড়ঙ্গ। চারধাম অর্থাৎ, কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম প্রকল্প এই রাস্তা। কিন্তু প্রথম থেকেই এই রাস্তা নিয়ে নানা আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন বিজ্ঞানী এবং পরিবেশবিদেরা। যেভাবে হিমালয় কাটা হচ্ছে, তা অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছিলেন পরিবেশবিদ দীপায়ন দে এবং বিভাংশু কাপারওয়ান। সুড়ঙ্গে ধস নামার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন তারা। ঘটনাটি ঘটার পর তারা দুইজনই ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, শ্রমিকদের উদ্ধার করার পর এই প্রকল্পটি নিয়ে নতুন করে ভাবা উচিত সরকারের। সরকার অবশ্য প্রকল্প বন্ধ করার কোনো ইঙ্গিত এখনো পর্যন্ত দেয়নি।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই)