1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নারীরাও জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত?

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৫ জুলাই ২০১৬

জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছে বাংলাদেশ৷ জঙ্গি সন্দেহে গত এক সপ্তাহে মোট পাঁচজন নারীকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে৷ প্রশ্ন উঠেছে, গুলশান হামলার সঙ্গে এদের সম্পর্ক কী? জঙ্গি তৎপরতায় তারা কি সত্যিই জড়িত?

বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা আজ আর নতুন নয়
ছবি: picture-alliance/abaca

আটকদের মধ্যে রুমা আক্তারকে বুধবার নরসিংদী থেকে আটক করা হয়৷ বাকি চারজন – নাদিরা তাবাসুম রানী, হাবিবা আকতার মিশু, রুমানা আকতার ও রুনা বেগমকে আটক করা হয় শনিবার, সিরজগঞ্জ থেকে৷

পুলিশের কথায়, নরসিংদী থেকে আটক রুমা ১লা জুলাই গুলশান হামলার সময় ঘটনাস্থলে ছিল৷ সিসিটিভি-র ফুটেজে নাকি তাকে দেখা গেছে৷ তাই সেই ফুটেজের ভিত্তিতেই তাকে আটক করা হয়৷ পুলিশ জানায়, রুমা ইশারা দেয়ার পরই দুই জঙ্গি গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টের ভিতরে প্রবেশ করে৷

রুমার বাবা শাহাবুদ্দিন শেখ অবশ্য রুমাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘বেশিরভাগ সময়ই আমার মেয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ থাকে৷ আর এ কথা পুরো গ্রামবাসীই জানে৷ তাই রুমা কোনোভাবেই জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত থাকতে পারে না৷’’

এলাকাবাসীও জানায় যে, স্বামী পরিত্যক্ত হওয়ার পর থেকে গত ৯ বছর ধরে কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন রুমা৷ তার বড় বোন সাবিনা আক্তার বলেন, ‘‘গুলশান হামলার সময় টিভিতে খবর দেখে আমি রুমাকে ফোন করেছিলাম৷ সে কোথায় জানতে চাইলে রুমা বলে যে, সে ঘটনাস্থলের সামনে দাঁড়িয়ে দেখছে কী হচ্ছে৷ আমি বলেছিলাম, ওখান থেকে চলে আয়৷ তখন সে বলে, ‘আমি তো অনেকক্ষণ ধরে দেখছি৷’’’

এদিকে সিরাজগঞ্জের একটি টিনশেডের ভাড়া বাসা থেকে শনিবার গভীর রাতে আটক করা হয় অন্য চারজন নারীকে৷ বাসায় তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ১৩টি জেহাদি বই, ছ’টি তাজা ককটেল ও গ্রেনেড তৈরির চারটি খোল ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উদ্ধার করে৷ পুলিশের দাবি, এই চারজন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ বা জেএমবি-র সদস্য৷

জানা যায়, এরা সকলেই বিবাহিত৷ তাই পুলিশ এখন তাদের স্বামী এবং আত্মীয়স্বজনকে খুঁজছে৷ এর আগে জেএমবি-র আরো ন’জন সন্দেহভাজনকে সিরাজগঞ্জ থেকে আটক করেছিল পুলিশ৷

পুলিশের দাবি, জেএমবি-র এ সব সক্রিয় নারী সদস্য গত তিন মাস ধরে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার চোখকে ফাঁকি দিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল৷ তারা সিরাজগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে জেএমবি-র সদস্য সংগ্রহ, সাংগঠনিক এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছিল৷

এ নিয়ে সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মিরাজ উদ্দিন আহমদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আটক নারীরা সরাসরি জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত ছিল৷ এরা বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছিল৷ তাই তাদের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছি৷ জিজ্ঞাসাবাদে আরো তথ্য জানা যাবে৷’’

[No title]

This browser does not support the audio element.

এই নারীদের সঙ্গে গুলশান হামলার কোনো সংযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে এসপি বলেন, ‘‘সেটা এখনো নিশ্চিত নয়৷ জিজ্ঞাসাবাদ ও আরো তদন্তের পরই সেটা বলা যাবে৷’’

প্রিয় বাংলাদেশ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস রুখে দাঁড়াও

ওদিকে সোমবার জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলা এই মানবন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অংশ নেন৷

মানববন্ধনে স্লোগান ছিল ‘প্রিয় বাংলাদেশ, ....জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস রুখে দাঁড়াও৷’ মানববন্ধন চলার সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক সকল কর্মকাণ্ড বন্ধ ছিল৷ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, প্রো-ভিসি ড. মো. আখতারুজ্জামান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. শামসুজ্জামান খান, অধ্যাপক ড. মো. ইব্রাহীম, অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী, অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির, অধ্যাপক আতাউর রহমান বিশ্বাস, অধ্যাপক আতাউর রহমান মিয়াজী, সহকারী অধ্যাপক এমডি রহিম, এটিএম শামসুজ্জোহা, ইফতেখারুল ইসলাম, ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ৷

প্রিয় পাঠক, এ ব্যাপারে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন নীচে মন্তব্যের ঘরে...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ