1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীন থেকে এসেছেন প্রায় চার হাজার

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
৩০ জানুয়ারি ২০২০

কারোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে চীন থেকে আসা একজন বাংলাদেশি নাগরিককে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে৷ তিনি বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসেন৷ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানন্দরের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাবিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷

Outside view of Dhaka airport in Bangladesh Flughafen
ফাইল ফটোছবি: DW/M. Zahidul Haque

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানন্দরের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ জানান, ওই ব্যক্তির বয়স ৩৪ বছর৷ তিনি অনেক দিন ধরে চীনে সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেন৷ ভোরে বিমানবন্দরে আসার পর তার শরীরের প্রচন্ড জ্বর দেখা যায়৷ তার শরীরে ১০৬ ডিগ্রী তাপমাত্রা ছিলো৷ তাকে প্রাথমিকভাবে কয়েক ঘন্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয় ৷ এরপর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়৷
তিনি বলেন,‘‘তার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে আমরা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে৷ রিপোর্ট পেতে ২৪ ঘন্টা লাগবে৷ তখন বোঝা যাবে তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা৷ আক্রান্ত না হলে তাকে আমরা ছেড়ে দেব৷ আর আক্রান্ত হলে তাকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় চিকিৎসা দেয়া হবে৷

ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ

This browser does not support the audio element.


তার স্বজনরা যারা তাকে বিমানবন্দরে নিতে এসেছিলেন তারাও জ্বর দেখে তাকে বাড়িতে নিতে চায়নি৷ আর ওই ব্যক্তি নিজে থেকেই তার জ্বরের কথা জানান৷ তিনি নিজেও তাকে পরীক্ষার কথা বলেন৷ বাংলাদেশে আসার আগে চীনে তাকে তিনবার পরীক্ষা করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন৷''
বাংলাদেশে এই প্রথম করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে কাউকে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হলো৷ এর আগে বেশ কয়েকজনকে অবজারভেশনে নেয়া হয়েছে বলে জানান এই চিকিৎসক৷
বিমানবন্দরের জরুরি হেলথ ডেস্কের ডা. জহিরুল ইসলাম জানান,‘‘চীন থেকে আসা যাত্রীদের আমরা ২১ জানুয়ারি রাত থেকে স্ক্যানিং করছি৷ এ পর্যন্ত আমরা তিন হাজার ৭৫৪ জনকে স্ক্যানিং করেছি৷ আমাদের গাইডলাইন হলো চীন থেকে কোনো যাত্রী আসলেই তাকে স্ক্যানিং করতে হবে৷ তার জ্বর বা সর্দি কাশি থাকলেই তাকে অবজারভেশনে রাখতে হবে৷ চায়না থেকে আসা ওই বাংলাদেশির জ্বর ছাড়াও সর্দি- কাশি আছে৷''

ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা

This browser does not support the audio element.

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) করোনা ভাইরাসের পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করছে৷ আইইডিসিআর জানায়, চারটি হটলাইনের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে৷ বিমানবন্দরে চীন থেকে আসা যাত্রীদের একটি কার্ড দেয়া হচ্ছে৷ সেই কার্ডে তাদের করণীয় এবং যোগাযোগের ফোন নাম্বার আছে৷
চীন থেকে আসা নিবন্ধিতদের মধ্যে এপর্যন্ত ১০০ জন আইইডিসিআর-এর হটলাইনে লক্ষণ দেখে যোগাযোগ করেছেন৷ তবে তারা কেউই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন ৷ প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান,‘‘বুধবার ৫৪টি কল এসেছে৷ এরমধ্যে নয়টি কল ছিলো করোনা সম্পর্কিত৷ কিন্তু তাদের কারুরই করোনা পজিটিভ নয়৷করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের লক্ষণ পুরোপুরি স্পষ্ট হতে সর্বোচ্চ ১৪ দিন লাগে৷ আমরা এখন পর্যন্ত কোনো আক্রান্ত রোগী পাইনি৷''
এদিকে বিমানবন্দর ও স্থলবন্দর ছাড়াও সারাদেশের জেলা প্রশাসকদের চীন থেকে আসা ব্যক্তিদের তালিকা করতে বলা হয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ