1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আতঙ্কিত সমকামীরা দেশ ছাড়ছেন

৫ ডিসেম্বর ২০১৬

আল-কায়েদা সমর্থিত জঙ্গিদের হাতে বাংলাদেশে দুই সমকামী অ্যাক্টিভিস্ট হত্যার সাত মাস পেরিয়ে গেলেও দেশটির এলজিবিটি সম্প্রদায় এখনও আতঙ্কে আছে৷ এরইমধ্যে অনেকেই বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন৷

প্রতীকী ছবি
ছবি: picture-alliance/dpa/S.Ramany

থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এক নির্বাসিত সমকামী অ্যাকটিভিস্ট জানালেন, পুরো সম্প্রদায় পিছু হঠতে শুরু করেছে৷ নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ঐ মানুষটি নিজের নাম প্রকাশ করতেও ভীত ছিলেন৷ তিনি জানালেন, সমকামীরা এখন দেশে কোনো ধরনের কাজই করতে পারছেন না, নিজেদের অধিকার বা দাবি আদায়ের আন্দোলন তো দূরের কথা৷ বর্তমান পরিস্থিতি ভয়াবহ বলে জানালেন তিনি৷ পরিস্থিতি যে এতটা ভয়াবহ হবে তা কখনো কল্পনা করেননি বলে জানালেন নির্বাসিত ঐ সমকামী অ্যাকটিভিস্ট৷

বাংলাদেশে এলজিবিটি সম্প্রদায় বর্তমানে কোণঠাসা, কেননা এখানে সমকামিতা অবৈধ, এমনকি শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড৷

২০১৪ সালে প্রথম এলজিবিটি সম্প্রদায় ‘রূপবান' নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করে৷ যা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে৷ তখনই এই সম্প্রদায়ের উপর বিভিন্ন ধরনের হুমকি আসতে থাকে৷ কিন্তু এ বছরের ২৫ এপ্রিল ‘‘রূপবানের'' সম্পাদক জুলহাস মান্নান এবং তাঁর বন্ধু মাহবুব তনয় খুন হলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে৷ জুলহাস মান্নান এবং মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল৷ আল-কায়দার আঞ্চলিক গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করে৷

ব্যাংককে গত সপ্তাহে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে তিনি আরও বলেন, ‘‘গত দু'বছরে আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের পথে অনেকটাই অগ্রসর হয়েছিলাম৷ অনেক তরুণরা আমাদের এ পথে সহযাত্রী হয়েছিল, আমরা অনেক স্বেচ্ছাসেবীও পেয়েছিলাম৷ কিন্তু ঐ হত্যার ঘটনার পর পুরো স্তম্ভটা যেন ভেঙে পড়ল৷'' এ পর্যন্ত অন্তত ১৫ জন সমকামী দেশ ছেড়েছেন বলে জানালেন তিনি৷ আরও ১০ জন দেশ ছাড়তে চাচ্ছেন৷ তিনি বললেন, ‘‘দেশের মানুষরা তাদের সঙ্গে কথা বলতে চায় না৷ তাই পুরো সম্প্রদায় ভীষণ আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে৷ এসব সম্মেলনে অনেক দেশের মানুষ আসেন, কিন্তু বাংলাদেশ থেকে কেউ অংশ নেন না৷'' তাদের বিরুদ্ধে মানুষ যে নৃশংস আচরণ করছে এবং করেছে তার প্রতিবাদ হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি৷

ঐ অ্যাকটিভিস্ট মনে করেন, দেশ থেকে বাইরে বেরিয়ে নতুন জীবন পেয়েছেন৷ বলেন, তার কিছু দায়িত্ব আছে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য৷ তাই তিনি থামবেন না৷ তিনি আশা করেন এমন একদিন আসবে, যখন মানুষ তাদের স্বীকৃতি দেবে, সেটা পাঁচ বছর হতে পারে, ১০ বছর বা তারও বেশি৷ তবে তিনি অপেক্ষায় থাকবেন৷

এপিবি/ডিজি (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ