1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আতঙ্কের মাঝেও উন্মাদনা

৯ জুলাই ২০১৪

ইরাকের রাজধানী বাগদাদ এখন আতঙ্কের শহর৷ কিন্তু এর মাঝেও কিছু মানুষ আতঙ্ক ভুলে থাকতে বেছে নিচ্ছেন বিশ্বকাপকে৷ বাগদাদের অনেক ক্যাফেতেই এখন এমন বহু মানুষদের ভিড়৷

Bildgalerie - Irak gewinnt U-22-Fußball-Asienmeisterschaft
(ফাইল ফটো)ছবি: Getty Images

এমনই একটি ক্যাফেতে শনিবার রাদ আব্দুল হুসেইনকে দেখা গিয়েছিল টিভি থেকে চোখ না সরাতে৷ অথচ ক্যাফের বাইরে চলছে গোলাগুলি, বোমা হামলা৷ কিন্তু তাঁর কাছে এ সবের চেয়ে ফুটবল ম্যাচ দেখাটাই বেশি আকর্ষণের৷ অর্থাৎ আতঙ্কের চেয়েও আনন্দের মাত্রাটা বেশি তাঁর জন্য৷ ফেসবুক ক্যাফেতে তাই প্রায়ই নিজ বন্ধুদের নিয়ে প্রতিটি ম্যাচ দেখেন রাদ৷

৩০ বছর বয়সি এই ট্যাক্সি চালক বলেন, ‘‘ফুটবল আমাদের একত্রিত করেছে৷ এই একটা মাত্র সময় যখন দুশ্চিতা মাথা থেকে ঝেরে ফেলে আমরা একটু আনন্দে সময় কাটাই৷ এই ক্যাফেতে যে কোনো মুহূর্তে বোমা হামলা হতে পারে, কেউ আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারে৷ কিন্তু তারপরও আমরা প্রতিটা ম্যাচ এখানে বসে দেখি৷''

ইরাক এখন একটা নিরাপত্তাহীন দেশ, যেখানে প্রতিনিয়তই চলছে সংঘর্ষ৷ এর মধ্যেও আব্দুল হুসেইনের মতো মানুষরা খেলা দেখার সুযোগ হাতছাড়া করছেন না৷ কেননা বিশ্বকাপ আসে চার বছর পরপর৷ আর ইরাক তো ফুটবলপাগল একটি দেশ৷

২০০৭ সালে এশিয়ান কাপ জিতে তার প্রমাণ দিয়েছেন ইরাকিরা৷ সেই জয়ের পর সুন্নি, শিয়া, কুর্দি – সব সম্প্রদায়ের মানুষই রাস্তায় নেমে এসেছিলেন৷ তাই তো চরম অস্থিরতা, অনিরাপত্তার মধ্যেও বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখছেন ইরাকের ফুটবলপাগল মানুষ৷

বাগদাদের ঐ ক্যাফের একজন কর্মকর্তা ওসামা সালেম বলেন, ‘‘বাড়ির চেয়ে ক্যাফেতে খেলা দেখা অনিরাপদ৷ কিন্তু বিশ্বকাপ আসে চার বছর পর৷ তাই ভয় পেয়ে ঘরে বসে খেলা দেখবো না তা কি হয়?'' সেই সঙ্গে সালেম আরো জানালেন যে, তিনি সব সময়ই বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের সমর্থক৷

ফেসবুক ক্যাফের ২১ বছর বয়সি কর্মী আলী হুসেনের মতে ফুটবল ইরাকিদের জীবন৷ আর ইরাক যদি এবার বিশ্বকাপে খেলতে পারত, তবে পুরো জাতি একজোট হতো, কোনো দ্বন্দ্ব সংঘাত হতো না৷ এমনই বক্তব্য তাঁর৷

এমন একটা সময় বিশ্বকাপ চলছে যখন ইরাকের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ৷ আইসিস-এর হামলা থেকে বাঁচতে ঘরছাড়া ইরাকিরা চরম বিপদগ্রস্ত৷ সুন্নিদের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইসিস) উত্তর ও দক্ষিণ ইরাকের কিছু অংশ দখল করে নিয়েছে৷ তাদের হামলা শুরুর পর থেকেই সে সব এলাকা থেকে পালাতে শুরু করে শিয়া মুসলমানরা৷

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ