ইউক্রেনকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেন তা নাকচ করে দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার রাশিয়ার সময় সকাল দশটা থেকে ইউক্রেনের মারিউপলের প্রশাসনকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছিল রাশিয়া। কিন্তু ইউক্রেনের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী পত্রপাঠ তা নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনের মানুষ লড়াই চালিয়ে যাবেন।
এর আগে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, মারিউপলে এবার সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। শহরের যা পরিস্থিতি, তাতে সেখানে আর এক মুহূর্তও কারও পক্ষে বাস করা সম্ভব নয়। ইউক্রেন রাজি হলে রাশিয়া কূটনৈতিক করিডোর খুলে দেবে বলে জানানো হয়। কিন্তু ইউক্রেন তা মানতে রাজি হয়নি। তারা জানিয়েছে, কোনোভাবেই রাশিয়ার এই আহ্বানে তারা সায় দেবে না। লড়াই জারি থাকবে।
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
সোভিয়েত রাশিয়ার হুমকির প্রেক্ষিতে জন্ম হলেও নিজেদের উদ্দেশ্য থেকে পরে অনেকটা সরে এসেছে ন্যাটো৷ শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য গঠিত হলেও যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Nietfeld
ন্যাটোর জন্ম
১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে যাত্রা শুরু করে ন্যাটো৷ চুক্তির পঞ্চম ধারা অনুযায়ী, ‘‘এক বা একাধিক সদস্যের উপর সশস্ত্র হামলা সবার উপর হামলা হিসেবে বিবেচিত হবে৷’’ জন্মলগ্নে জোটের ঘোষিত উদ্দেশ্য ছিল তিনটি: সোভিয়েত সম্প্রসারণ ঠেকানো, উত্তর অ্যামেরিকার শক্তিশালী উপস্থিতির মাধ্যমে ইউরোপের সামরিকায়ন নিষিদ্ধ করা এবং ইউরোপে রাজনৈতিক সংহতিকে উৎসাহ দেয়া৷
ছবি: Getty Images/Keystone
কারা সদস্য
শুরুতে ১২ সদস্য নিয়ে যাত্রা করে ন্যাটো৷ ১৯৫২ সালে যোগ দেয় গ্রিস ও তুরস্ক৷ পশ্চিম জার্মানি যোগ দেয় ১৯৫৫ সালে আর ১৯৮২ সালে স্পেন৷ ১৯৯৯ সালে পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক ও হাঙ্গেরি৷ বর্তমানে জোটের সদস্য সংখ্যা ৩০৷
ছবি: AP
নিজেদের বিরোধ
ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে বিভিন্ন সময় মতভেদ তৈরি হয়েছে৷ প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটে ১৯৫৬ সালে সুয়েজ সংকট নিয়ে৷ ১৯৬৬ সালে ন্যাটোর সামরিক কাঠামো থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দেয় ফ্রান্স এবং সে দেশ থেকে জোটের প্রধান কার্যালয় সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ জানায়৷ নতুন কার্যালয় বসে বেলজিয়ামে৷ তবে ফ্রান্স জোটের মধ্যেই থেকে যায় এবং সংকটকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও রাখে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Nietfeld
সামরিক উত্তেজনা
১৯৭৯ সালে আফগানিস্তানে সোভিয়েত রাশিয়ার হামলা এবং ইউরোপে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনকে কেন্দ্র করে নড়েচড়ে বসে ন্যাটো৷ পাল্টা জবাব হিসেবে পশ্চিম ইউরোপে ক্ষেপণাস্ত্র বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় জোট৷ ১৯৮৭ সালে এক চুক্তির মাধ্যমে দুই পক্ষ ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য মাঝারিপাল্লার সব ব্যালাস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সরিয়ে নিতে সম্মত হয়, যাকে ঠান্ডা লড়াই সমাপ্তির প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়৷
ছবি: AP
ঠান্ডা লড়াই পরবর্তী যুগ
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়া ও বার্লিন দেয়ালের পতনের পর ন্যাটোর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে৷ তবে সময়ের সাথে সাথে বরং উল্টো ন্যাটোর সম্প্র্রসারণ চলতে থাকে৷ এক দশক ধরে চলা যুগোস্লাভ যুদ্ধ ও কসভো-সার্বিয়া সংঘাতে হস্তক্ষেপ করে জোট৷ গড়ে ওঠে ন্যাটো-বহির্ভূত সমমনা দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক৷
ছবি: AP
নাইন-ইলেভেন: নতুন মোড়
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার পর ন্যাটো সদস্যসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র আফগানিস্তানে আল-কায়দার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেয়৷ ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাক যুদ্ধে সহায়তা কার্যক্রম চালায় ন্যাটো৷ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বাইরে অন্য রাষ্ট্রে সংঘাত, বিরোধেও নিজেদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে থাকে ন্যাটো৷ লিবিয়াসহ বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ভূমিকা রাখতে থাকে৷
ছবি: Chao Soi Cheong/AP/picture alliance
রাশিয়ার সঙ্গে নতুন বিরোধ
পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখে রাশিয়া৷ ইউক্রেন যাতে ন্যাটোতে যোগ না দেয় সবশেষ সেই নিশ্চয়তা দাবি করে ক্রেমলিন৷ এমন প্রেক্ষিতে ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে হামলা শুরু করেন প্রেসিডেন্ট পুটিন৷ পূর্ব ইউরোপে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়ালেও এই যুদ্ধে সরাসরি যুক্ত হবে না বলে জানিয়ে আসছে ন্যাটো৷ এই সংঘাত সামনে কোন দিকে মোড় নেবে তা সময়ই বলে দেবে৷
ছবি: Yasin Ozturk/AA/picture alliance
নিরাপত্তা পরিষদ
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তা পরিষদের মূল উদ্দেশ্য বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা৷ ১৫ সদস্যের মধ্যে স্থায়ী সদস্য পাঁচ পরমাণু শক্তিধর দেশ: চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র৷ তাদের সবার সম্মতি ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত পাস করা যায় না৷ বিপরীতভাবে কোনো সিদ্ধান্তে কেউ ভেটো দিলে তা বাতিল হয়ে যায়৷ বিভিন্ন সময়ে এই পাঁচ সদস্য তাদের স্বার্থ অনুযায়ী ভেটো ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়েছে৷
ছবি: Yorick Jansens/dpa/picture alliance
সবচেয়ে বেশি রাশিয়া
ভেটো ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োগ করেছে রাশিয়া৷ ২৬৫টির মধ্যে ১১৯ বার ভেটো দিয়েছে তারা৷ ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদে যত ভেটো দেয়া হয়েছে তার সবগুলোই ছিল সোভিয়েত রাশিয়ার পক্ষ থেকে৷ শীতল যুদ্ধের যুগ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো দিয়ে আসছে রাশিয়া৷ ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তোলা পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবেও ভেটো দেয় রাশিয়া৷
ছবি: Reuters
রাশিয়ার সহযোগী চীন
চীন মোট ১৬ বার ভেটো দিয়েছে, এর মধ্যে ১৩ বারই রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে আর তিনবার এককভাবে৷ ১৯৭১ সালের ২৫ আগস্ট চীন তার প্রথম ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছিল জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ প্রাপ্তির বিরুদ্ধে৷
ছবি: ASSOCIATED PRESS/picture alliance
ইসরায়েলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র
ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগে রাশিয়ার পরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ ৮২ বার তারা এই ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে৷ এর অনেকগুলোই ছিল ইসরায়েলকে নিয়ে৷ মধ্যপ্রাচ্য ও ফিলিস্তিনে সংঘাত ও হামলা নিয়ে দেশটির বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবে বরাবরই ভেটো দিয়ে এসেছে ওয়াশিংটন৷ তবে ২০১৬ সালে ওবামা ক্ষমতায় থাকাকালে ইসারেয়েলের বসতিস্থাপন বন্ধে আনা একটি প্রস্তাবে ভোট দানে বিরত থাকে তারা৷
ছবি: picture-alliance/Zumapress/A. Lohr-Jones
সহযোগী যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স
যুক্তরাজ্য ২৯ বার ও ফ্রান্স ১৬ বার ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে বিভিন্ন প্রস্তাব নাকচ করেছে তারা৷ তবে ১৯৮৯ সালের পর ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য আর ভেটো ক্ষমতার ব্যবহার করেনি৷ সেবার পানামায় যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল দেশ তিনটি৷
ছবি: Reuters/C. Allegri
সবশেষ
নিরাপত্তা কাউন্সিলে তোলা প্রস্তাবে সবশেষ ভেটোর ঘটনাটি ঘটে চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি৷ ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা বন্ধ ও নিন্দা জ্ঞাপনের প্রস্তাব আনে কয়েক ডজন দেশ৷ তবে রাশিয়ার একার ভেটোতে তা বাতিল হয়ে যায়৷
ছবি: picture-alliance/Zuma Press
13 ছবি1 | 13
এদিকে, এরই মধ্যে ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রোববার মারিউপলের একটি আর্ট স্কুলে হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার সেনা। স্কুলটিতে বোমা মারা হয়েছে। প্রায় ৪০০ মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে স্থানীয় প্রশাসন দাবি করেছে। স্কুলটিতে আদৌ কেউ বেঁচে আছেন কি না, এখনো পর্যন্ত তা জানা যায়নি। ঘটনাস্থলের কাছে রাশিয়া লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।
বস্তুত রাশিয়ার কর্নেল জেনারেল মিখাইল মিজিনটসেভ বলেছেন, ''মারিউপলে বহু সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সেখানকার মানুষ আত্মসমর্পণ করুন। তারা অস্ত্র নামিয়ে রাখুন।'' লড়াইয়ের মধ্যেই তিন হাজার ৯৮৫ জনকে মারিউপল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে সারোগেট শিশুদের জীবন
আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় ‘সারোগেসি’তে সন্তান পেতে পারেন সন্তানহীনরা৷ ইউক্রেনে সারোগেট শিশুদের কী অবস্থা? ছবিঘরে দেখুন
ছবি: Gleb Garanich/REUTERS
বেসমেন্টে শিশু
সারোগেসির মাধ্যমে জন্ম নিয়েছিল ফুটফুটে এই শিশুটি৷ ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে একটু দূরের এক আবাসনের বেসমেন্টের বিশেষ আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে সে৷ অবাক চোখে পৃথিবী দেখার এই তো সবে শুরু৷
ছবি: Gleb Garanich/REUTERS
আগ্রাসনের মাঝেও
ইউক্রেনে রুশ হামলা চলাকালীন বায়োটেক্সকম ক্লিনিকের আশ্রয়কেন্দ্রে একাধিক সারোগেট শিশুকে রাখা হয়েছে৷ প্রয়োজনীয় খাবার, জামাকাপড়, পরিচ্ছন্ন তোয়ালের ব্যবস্থাও রয়েছে তাদের জন্য৷
ছবি: Gleb Garanich/REUTERS
‘অবাক পৃথিবী’
চারটি সারোগেট শিশুকে দেখুন একবার৷ কেমন অবাক চোখে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে রয়েছে, একজন যদিও ঘুমাচ্ছে৷ প্রবল ঠান্ডার ফলে ঘর গরম রাখার ব্যবস্থা রয়েছে তাদের জন্য৷
ছবি: Gleb Garanich/REUTERS
নার্সের যত্ন
বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত নার্সরা সারোগেট শিশুগুলির দেখভাল করছেন, তাদের খাওয়াচ্ছেন৷ যুদ্ধ, বোমা, গুলি থেকে শিশুগুলিকে আগলে রাখতে চাইছেন নার্সরা৷
ছবি: Gleb Garanich/REUTERS
নিশ্চিন্ত শিশুমন
বায়োটেক্সকম ক্লিনিকের এক পুরুষ সদস্য এই সারোগেট শিশুদের দেখভাল করছেন৷যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে লাখ লাখ নারী ও শিশু অন্য দেশে আশ্রয় নিলেও সদ্য জন্মানো খুদেরা রয়ে গিয়েছে নিজের দেশে৷ প্র্যামগুলিতে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে তারা৷
ছবি: Gleb Garanich/REUTERS
মেঝেতেও থাকতে হচ্ছে তাদের
মাথায় শাওয়ার ক্যাপ, মুখে মাস্ক, মহামারির সময়ে এই সুরক্ষাবিধি মেনেই শিশুগুলির দেখভাল করছেন নার্সরা৷ কয়েকটি শিশুর জন্য মেঝেতে গদি পেতে পিছানা করা হয়েছে, কেউ রয়েছে উপরের খাটে৷
ছবি: Gleb Garanich/REUTERS
চিন্তিত নার্স
শিশুগুলি কেউ প্র্যামে, কেউ বা ছোট কাঠের খাটে নিশ্চিন্তে শুয়ে রয়েছে৷ কেউ কেউ আবার জেগে রয়েছে৷ আন্তোনিয়া ইয়েফিমোভিচ নামের এই নার্স এক শিশুকে দুধ খাওয়াচ্ছেন পরম যত্ন নিয়ে৷ তার চোখেমুখে চিন্তার ছাপ বোঝা যাচ্ছে ছবিটি দেখে৷
ছবি: Gleb Garanich/REUTERS
মায়ের মতো..
কেঁদে উঠেছিল এই শিশুটি৷ সঙ্গে সঙ্গে একজন নার্স তার কাছে গিয়ে তাকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন, দেখার চেষ্টা করছেন শিশুটির কোনো কষ্ট হচ্ছে কিনা৷ আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই মুহূর্তের ছবি৷
ছবি: Gleb Garanich/REUTERS
পর্যাপ্ত পুষ্টি
যত্ন নেয়ার পাশাপাশি সুষম খাদ্য, অর্থাৎ দুধটুকু তো চাই শিশুদের৷ নার্সই তাদের দুধ খাওয়াচ্ছেন, দেখভাল করছেন৷ জন্মদাত্রী মায়ের মতোই শিশুগুলিকে সামলাচ্ছেন তারা৷
ছবি: Gleb Garanich/REUTERS
ছেড়ে যাননি তারা
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে বেশিরভাগ নারী অন্যত্র চলে গিয়েছেন আশ্রয়ের সন্ধানে৷ কিন্তু এই নার্সরা দেশ ছেড়ে কোথাও যাননি৷ ছোট শিশুগুলির দেখভাল করে চলেছেন তারা একটানা৷
ছবি: Gleb Garanich/REUTERS
‘নবজাতকের কাছে দৃঢ় অঙ্গীকার’
যুদ্ধপীড়িত দেশে সারোগেট পদ্ধতিতে জন্ম নিয়েছে শিশুগুলি৷ এই পৃথিবী তাদের কাছে একেবারে অচেনা৷ যুদ্ধের আবহে তাদের বাঁচিয়ে রাখাও বড় এক সংগ্রাম৷
ছবি: Gleb Garanich/REUTERS
11 ছবি1 | 11
রাশিয়া অবশ্য পাল্টা অভিযোগ এনেছে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে। তাদের বক্তব্য, জোর করে মারিউপলের মানুষকে রাশিয়ায় পাঠানো হচ্ছে। সোমবার কিয়েভের প্রশাসন মারিউপলে ৫০টি বাস পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। তাতে করে কিছু সাধারণ মানুষকে অন্যত্র সরানোর কথা ভাবা হয়েছে। তবে ইউক্রেন অস্ত্র সমর্পণ না করলে রাশিয়া আক্রমণ থামাবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
এই মুহূর্তে মারিউপলে প্রায় চার লাখ ইউক্রেনবাসী আছেন। এছাড়া আছে বিপুল পরিমাণ রাশিয়ার সেনা।
মারিউপলের এই লড়াইয়ের মধ্যেই সেখানে বাস করছিলেন গ্রিসের কনসাল জেনারেল মানোলিস আন্দ্রৌলাকিস। রোববার তিনি দেশে ফিরেছেন। এথেন্সে নেমে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, মারিউপলের অবস্থা গোয়েরনিকার মতো। গ্রিসে কার্যত হিরোর মর্যাদা পেয়েছেন এই কূটনীতিবিদ। তিনি জানিয়েছেন, প্রায় সমস্ত গ্রিসের নাগরিককে উদ্ধার করে তারপরে তিনি ফিরেছেন। তার বক্তব্য, ''হিরো হলেন মারিউপলের সাধারণ মানুষ। সব শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও যারা মাটি কামড়ে পড়ে আছেন। আবার স্ক্র্যাচ থেকে সবকিছু তৈরি করতেও তারা প্রস্তুত।''