1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আত্মহত্যা নয়, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ফান গখ-এর

১৮ অক্টোবর ২০১১

১৮৯০ সালে, মাত্র ৩৭ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন বিশ্ব বিখ্যাত চিত্রশিল্পী ভিনসেন্ট ফান গখ৷ এতোদিন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছিল, পেটে গুলি করে আত্মহত্যা করেছিলেন তিনি৷ কিন্তু, ‘ফান গখ: দ্য লাইফ' বইটি পাল্টে দিল সেই ধারণা...

ফান গখ-এর মৃত্যু রহস্য নিয়ে চালু আছে নানা কাহিনীছবি: AP

সম্প্রতি প্রকাশিত এই বইটির লেখক স্টিভেন নাইফে এবং গ্রেগরি হোয়াইট স্মিথ৷ তাঁদের দাবি, আত্মহত্যা নয়, পরিচিত দুই বালকের গুলিতেই মৃত্যু হয় ফান গখ-এর৷ ২০ জন অনুবাদকের সাহায্য নিয়ে প্রায় ১০ বছরের গবেষণা ও ফান গখ-এর লেখা হাজার খানেক চিঠি তুলে ধরে এই দুই লেখক জানান, আদতে বিখ্যাত এই ওলন্দাজ চিত্রকরের মৃত্যু ছিল একটা দুর্ঘটনা৷

নেদারল্যান্ডস’এর ফান গখ মিউজিয়াম'-এর কিউরেটর লেও ইয়ানসেন এ ঘটনাকে একাধারে মনোজ্ঞ এবং নাটকীয় বলে উল্লেখ করলেও, নাইফে ও স্মিথ জানান, সে সময় প্যারিস থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দূরে ওভ্যার-সুর-ওয়িস নামের একটি গ্রামে জীবনযাপন করছিলেন ফান গখ৷ বাস করছিলেন ওব্যার্জ রাভো নামের একটি বাড়িতে৷ শোনা যায়, প্রায়শই বাড়িটির অদূরে গম ক্ষেতে হাঁটতে যেতেন ফান গখ৷ আঁকতেন তাঁর সেই বিখ্যাত ‘ব্রাশ-স্ট্রোক'-এর অনবদ্য সব ছবি৷

‘ফান গখ: দ্য লাইফ' নতুন তত্ত্ব তুলে ধরেছেছবি: picture alliance/ZUMAPRESS

ফান গখ যে দিন মারা যান, তার ঠিক আগের দিনটা ছিল সে রকমই একটা ঝকঝকে দিন৷ সেদিনও গম ক্ষেতে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন চিত্রকর৷ কাছেই ১৬ বছরের কিশোর রেনে সেক্রেটান ও তার বন্ধুরা ‘কাউবয়' সেজে নিজেদের মধ্যে খেলা করছিল৷ তাদের সঙ্গে ছিল একটি ত্রুটিপূর্ণ বন্দুক৷ হঠাৎ করে খেলার ছলেই গুলি বেরিয়ে যায় এবং একটা গুলি গিয়ে লাগে ফান গখ-এর পেটে৷ আহত হন তিনি৷ এবং পরের দিন মৃত্যুবরণ করেন৷ নাইফে জানান, ‘‘সেক্রেটান সচেতনভাবে শিল্পীকে গুলি করে নি৷ সে সময় ফান গখসহ সকলেই মাতাল ছিল৷ তাছাড়া, আমরা নিশ্চিৎ যে নিজেকে গুলি করার পরিকল্পনা নিয়ে ফান গখ গম ক্ষেতে যান নি৷ আত্মহত্যা করার কোনো বাসনাই তাঁর ছিল না৷''

আহত ফান গখ বাড়ি ফিরে গিয়ে ঘটনাটির দায়িত্ব নিজের ওপর টেনে নেন৷ নিজেকে নিজেই গুলি করেছেন বলে ঘোষণা করেন৷ গ্রেগরি স্মিথ জানান, ‘‘ফান গখ মৃত্যু চেয়েছিলেন এমন নয়৷ তবে মৃত্যু যখন তাঁর সামনে এসে হাজির হল, তখন তিনি তাকে স্বাগত জানান৷ আসলে সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছিল নব্য-ধারার শিল্পীর৷ কোনো ছবিই বিক্রি হচ্ছিল না৷ ফান গখ-এর সমস্ত দায়িত্ব নিতে হয়েছিল ছোটভাই থেও-র ওপর৷ তাই সম্ভবত, ভাইয়ের প্রতি ভালবাসা ও নিজের খরচ বহনের চাপ থেকে তাঁকে মুক্তি দিতেই একা ঘরে মৃত্যুবরণ করেন ফান গখ৷''

দুঃখের বিষয়, ফান গখ-এর যে সব ছবি তাঁর জীবদ্দশায় বিক্রি হয়নি, মৃত্যুর পর সে সব ছবিই বিশ্বের সবচেয়ে মহার্ঘ শিল্পকীর্তি হিসেবে সমাদৃত হয়৷ তাঁর আঁকা ‘সূর্যমুখী' চিত্রকর্মের জগতে এক অনন্য কীর্তি বলেই বিবেচিত৷ আর ভিনসেন্ট ফান গখ নিজে সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পী হিসেবে স্বীকৃত হয়েছেন৷

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ