উন্নাওয়ের ধর্ষিতার গায়ে আগুন
৫ ডিসেম্বর ২০১৯বৃহস্পতিবার ছিল তাঁর ধর্ষণের মামলার শুনানি৷ আদালতে যাওয়ার পথে গ্রামের বাইরে পা দেওয়ার পরেই পাঁচ দুষ্কৃতী ঘিরে ধরে ধর্ষিতাকে৷ তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় পাশের মাঠে৷ সেখানে তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়৷ পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ধর্ষিতার দেহের ৬০-৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে৷ ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় লখনউয়ের একটি হাসপাতালে৷ আরও ভালো চিকিৎসার জন্য তাঁকে দিল্লিতে উড়িয়ে আনার কথা ভাবা হচ্ছে৷ লখনউয়ের পুলিশ কর্মকর্তা এস কে ভগত বলেছেন, ‘‘পাঁচ দুষ্কৃতীর মধ্যে অভিযুক্ত দুই ধর্ষকও আছে৷ তাদের একজন ৩০ নভেম্বর জামিন পেয়েছে৷ ওই দুই ধর্ষক প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই এ কাজ করেছে৷’’
এই ঘটনার পর আবার উত্তর প্রদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ উত্তর প্রদেশের দায়িত্বে থাকা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী টুইট করে বলেছেন, ‘‘উত্তর প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকালই দাবি করেছিলেন, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুব ভালো। কিন্তু বাস্তব অবস্থা আসলে কী, তা এই ঘটনা দেখিয়ে দিল৷’’
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সম্প্রতি আবার একের পর এক ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটছে৷ হায়দরাবাদ, দিল্লি, জয়পুর, রাঁচিতে ধর্ষণ ও হত্যার পর এবার উন্নাওতেও ধর্ষিতাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা হলো, যদিও উত্তরপ্রদেশ সরকার এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি৷
গত মার্চে এই ধর্ষিতা তাঁরই গ্রামের দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন৷ স্থানীয় আদালতের নির্দেশের পর পুলিশ এফআইআর করে৷ তারপর পুলিশ একজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে৷ আরেকজন পলাতক ছিল৷
উত্তর প্রদেশের ডিরেক্টর জেনারেল ও পি সিং বলেছেন, ‘‘আমাদের এখন প্রথম কাজ হলো, মহিলাকে বাঁচানো৷’’
এসজি/এসিবি (পিটিআই, এনডিটিভি)