কোভিড প্রটোকল না মানায় তার ভিসা বাতিল করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আদালতে জোকোভিচ।
বিজ্ঞাপন
অস্ট্রেলিয়া ওপেন টেনিস প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছেছিলেন জোকোভিচ। কিন্তু মেলবোর্ন বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে নয় ঘণ্টা থাকার পর জোকোভিচ জানতে পারেন, তার ভিসা বাতিল করা হয়েছে। কারণ, তিনি কোভিড প্রটোকল মানেননি। তিনি করোনার টিকা নেননি। টিকা না নিলেও অস্ট্রেলিয়ায় ঢোকা যায়, সেক্ষেত্রে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দেখাতে হবে যে, শারীরিক কারণে তাকে টিকা দেয়া যাবে না।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, জোকোভিচ এরকম কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি। নিয়ম সকলের ক্ষেত্রে এক। তাই তাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন জানিয়েছেন জোকোভিচ। বৃহস্পতিবার তিনি হোটেলের একটি ঘরে ছিলেন। তিনি আদালতের রায়ের অপেক্ষা করছেন। ফেডারেল কোর্ট আগামী সোমবার তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাবে।
জোকোভিচ নয়বারের অস্ট্রেলিয়া ওপেন চ্যাম্পিয়ন। তার আইনজীবীরা সরকরের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ঠিক হয়েছে, সোমবার পর্যন্ত জোকোভিচ অস্ট্রেলিয়া থাকতে পারবেন। তবে অস্ট্রেলিয়া ওপেন শুরু হচ্ছে ১৭ জানুয়ারি। সেখানে তিনি খেলতে পারবেন কি না, তা এখনো বোঝা যাচ্ছে না।
চার ঘণ্টার লড়াই, ফ্রেঞ্চ ওপেন জোকোভিচের, হেরেও প্রশংসিত চিচিপাস
ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে অসাধারণ লড়াই। দুই সেটে পিছিয়ে গিয়েও পরের তিন সেট জিতে খেতাব জিতলেন জোকোভিচ।
ছবি: Gonzalo Fuentes/REUTERS
পরপর দুই বার
পরপর দুই বার ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতলেন নোভাক জোকোভিচ। ৫২ বছরে দ্বিতীয়বার এই ঘটনা ঘটল। ১৯ তম গ্র্যান্ড স্ল্যামও জয় করলেন তিনি।
ছবি: Gonzalo Fuentes/REUTERS
দুই সেটে পিছিয়ে
ফাইনালে জোকোভিচের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন গ্রিসের ২২ বছরের স্তেফানোস চিচিপাস। প্রথম দুই সেট অসাধারণ খেলে জিতে নিয়েছিলেন চিচিপাস। তাকে তখন অপ্রতিরোধ্য লাগছিল। সেখান থেকে খেলা ঘোরালেন জোকোভিচ। পরপর তিনটি সেট জিতলেন। জিতলেন ফ্রেঞ্চ ওপেন টুর্নামেন্টও। চার ঘণ্টা ধরে অসাধারণ লড়াই হলো।
ছবি: Gonzalo Fuentes/REUTERS
জেতার পর
এই অসাধারণ জয়ের পর একবারই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে জোকোভিচকে। ডান হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে হুঙ্কার।
ছবি: Benoit Tessier/REUTERS
শুধুই প্রশংসা
জোকোভিচ এরপর প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন চিচিপাসকে। তিনি বললেন, ‘‘আমি চিচিপাসকে নিয়ে কথা বলতে চাই। ওর মানসিক অবস্থা বুঝতে পারছি। আমিও এমন কঠিন অবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। জীবনের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে জয়ের এত কাছে পৌঁছে হেরে যাওয়া এবং সেই হারকে মেনে নেওয়া খুব কঠিন।’’
ছবি: Gonzalo Fuentes/REUTERS
হেরে গেলেও
হেরে গেলেও অসাধারণ খেলেছেন চিচিপাস। জীবনের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামের একেবারে কাছাকাছি এসে পৌঁছেছিলেন। জোকোভিচের মতো প্লেয়ারকে হারিয়ে দেয়ার জায়গায় চলে গিয়েছিলেন। নিজের প্রতিভা চিনিয়ে দিতে পেরেছেন স্তেফানোস। তবে শেষরক্ষা হয়নি। কারণ, পরে জোকোভিচ ছিলেন অপ্রতিরোধ্য।
ছবি: Gonzalo Fuentes/REUTERS
সেমিফাইনালের লড়াই
জোকোভিচ সেমিফাইনালে নাদালের বিরুদ্ধে জয়কেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছেন। সেখানেও প্রথম সেট হেরে নাদালের বিরুদ্ধে পরপর তিনটি সেট জিতেছেন তিনি।
ছবি: Sarah Meyssonnier/REUTERS
অবিস্মরণীয় ৪৮ ঘণ্টা
প্রথমে নাদাল, তারপর চিচিপাসের বিরুদ্ধে এই জয় অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন জোকোভিচ। এই ৪৮ ঘণ্টা তাকে অনেক কিছু দিয়েছে। স্মরণীয় জয়, ইতিহাস ছোঁয়ার সম্মান এবং টেনিসে দুইটি অবিস্মরণীয় ম্যাচ জেতার সুযোগ।
ছবি: Benoit Tessier/REUTERS
দেশের হয়ে
জোকোভিচ সার্বিয়ার প্লেয়ার। জেতার পর তিনি গ্রিসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন। তিনি বললেন, ''গ্রিসের ভাই-বোনদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। সার্বিয়ার সঙ্গে আপনাদের দেশের সম্পর্ক খুব ভালো। শুধু তাই নয়, আপনাদের দেশ থেকে চিসিপাস ও মারিয়া সাক্কারির মতো প্রতিভা উঠে আসছে। সেটা টেনিস বিশ্বের কাছে দারুণ খুশির খবর।''
ছবি: Gonzalo Fuentes/REUTERS
8 ছবি1 | 8
টেনিস প্লেয়ারদের প্রতিক্রিয়া
জোকোভিচ অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকতে না পারায় দুঃখিত রাফায়েল নাডাল। টেনিস কোর্টে জোকোভিচের প্রতিদ্বন্দ্বী নাদাল বলেছেন, ''দেখে মনে হচ্ছে, বেশ কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছেন জোকোভিচ।'' তবে নাদাল এটাও বলেছেন, ''জোকোভিচ জানেন, টিকা না নিলে তাকে এই সমস্যায় পড়তে হবে। চিকিৎসকরা যদি বলেন, ভ্যাকসিন নেয়া উচিত, তাহলে টিকা নেয়া উচিত।''
বিশ্বের সাত নম্বর টেনিস প্লেয়ার বেরেত্তিনি বলেছেন, জোকোভিচের প্রতি তার সহানুভূতি আছে। তিনি বুঝতে পারছেন না, কেন অস্ট্রেলিয়া সরকার এরকম করছে।