1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আদালতে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট

১৫ নভেম্বর ২০১৩

দুর্নীতির অভিযোগে বৃহস্পতিবার হানোফার শহরে আদালতে হাজির হতে হলো জার্মানির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফকে৷ তিনি অবশ্য এখনো অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন৷

GettyImages 187960413 HANOVER, GERMANY - NOVEMBER 14: Former German President Christian Wulff waits at the Landgericht Hannover courthouse for the first day of his trial on November 14, 2013 in Hanover, Germany. Wulff is accused of accepting favors while he was governor of Lower Saxony, a charge that prompted him to resign last year from his office as president. Wulff is the first post-World War II German president to face a court trial. (Photo by Nigel Treblin/Getty Images)
ছবি: Nigel Treblin/Getty Images

বাংলাদেশ ও ভারতের মতো জার্মানির প্রেসিডেন্টের ভূমিকা সাংবিধানিক আনুষ্ঠানিকতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ৷ রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তিনি বিদেশেও দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন৷ অর্থাৎ দলীয় রাজনীতির সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না৷ তবে অতীত তো আর মুছে ফেলা যায় না৷ এমনই এক অভিযোগের জের ধরে জার্মান প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিদায় নিতে হয়েছিল ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফকে৷ লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ২০০৮ সালে তিনি দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছিলেন – এই অভিযোগে তাঁকে শেষ পর্যন্ত ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পদত্যাগ করতে হয়৷

এবার সেই অভিযোগ মামলার আকারে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে৷ বৃহস্পতিবার ছিল মামলার প্রথম দিন৷ বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ২০টি শুনানি হবে৷ মামলায় প্রায় ৪৫ জন সাক্ষীর বয়ান নথিভুক্ত হবার কথা৷ তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বেটিনা ভুল্ফ-ও৷ স্বামী-স্ত্রী বেশ কিছুকাল একসঙ্গে থাকেন না৷

ভুল্ফ এখনো নিজেকে নির্দোষ দাবি করে চলেছেন৷ আদালতেই এই সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে – এ বিষয়ে তিনি নিশ্চিত৷ কারণ ক্ষমতায় থাকতে তিনি সব সময়ে সঠিক আচরণ করে এসেছেন, বলেন ভুল্ফ৷

জার্মানির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফছবি: Getty Images

দুর্নীতির অভিযোগ শুনলেই মনে হয় কোটি কোটি টাকার অনিয়মের কথা৷ ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ-এর ক্ষেত্রে অর্থের অঙ্ক মোটেই সেরকম নয়৷ এমনকি তিনি সরাসরি কোনো অর্থও গ্রহণ করেন নি৷ ২০০৮ সালে তিনি যখন সপরিবারে মিউনিখের ‘অক্টোবারফেস্ট' উৎসব দেখতে গিয়েছিলেন, তখন হোটেলে থাকার ও বাচ্চার দেখাশোনার খরচ পড়েছিল ৫১০ ইউরো৷ রেস্তোরাঁয় সান্ধ্যভোজনের খরচ পড়েছিল ২১০ ইউরোর মতো৷ ডাভিড গ্র্যোনেভল্ড নামের এক চলচ্চিত্র প্রযোজক নিজের পকেট থেকেই নাকি সেই বিল মিটিয়ে দিয়েছিলেন৷ নিছক সৌজন্যের বশে নয়, এর বদলে গ্র্যোনেভল্ড নিজের একটি চলচ্চিত্রের বিপণনের ক্ষেত্রে ভুল্ফ-এর সক্রিয় ভূমিকা দেখতে চেয়েছিলেন৷ ভুল্ফ তাঁকে হতাশ করেন নি৷ এই চলচ্চিত্রের প্রশংসা করে তিনি ডিসেম্বর মাসে সিমেন্স কোম্পানির প্রধানকে একটি চিঠি লেখেন৷

টাকার অঙ্ক খুব বেশি নয়, এমন অভিযোগের অকাট্য প্রমাণ কতটা সহজ হবে, তা বলা কঠিন৷ কিন্তু দুর্নীতি দুর্নীতিই৷ তাছাড়া ভুল্ফ-এর বিরুদ্ধে এটাই একমাত্র অভিযোগ নয়৷ অবিশ্বাস্য সহজ শর্তে গৃহঋণ থেকে শুরু করে শিল্পপতি বন্ধুদের খরচায় ছুটি কাটানোর মতো আরও কিছু অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে৷

তাহলে কি দুর্নীতির প্রশ্নে জার্মান মানদণ্ড সত্যি বেশ কড়া? নাকি শুধু রাজনীতিকদের ক্ষেত্রেই উচ্চ প্রত্যাশা রয়েছে৷ বায়ার্ন মিউনিখ ফুটবল ক্লাবের প্রেসিডেন্ট উলি হ্যোনেস-এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের প্রশ্নে ক্লাবের সদস্যরা কিন্তু অনেক উদার৷ বুধবার কান্নাভরা কণ্ঠে হ্যোনেস যখন তাঁর বিরুদ্ধে আনা কর ফাঁকির অভিযোগের কথা বলছিলেন, তখন গোটা হল করতালিতে ফেটে পড়ে৷ গত ৭ মাস ধরে তিনি শাস্তি ভোগ করছেন৷ তাঁর প্রতি প্রায় নিঃশর্ত সমর্থন নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে৷ এমন একটি দৃষ্টান্ত সারা দেশে আইন সম্পর্কে নৈতিক অবস্থানের ক্ষেত্রে মোটেই ভালো নয় বলে মনে করছে অনেক মহল৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ