আদালতে প্রথম আলোর শামস, সম্পাদক হুকুমের আসামি
৩০ মার্চ ২০২৩২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে প্রথম আলোতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের জন্য শামসকে বুধবার ভোররাতে তার সাভারের বাসা থেকে সিআইডি পরিচয়ে তুলে নেয়া হয়৷ তবে সেসময় সিআইডি এবং স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষ তাকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে৷
ওই প্রতিবেদনে ‘মিথ্যা ও মানহানিকর' তথ্য প্রচারের অভিযোগে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের নেতা মো. গোলাম কিবরিয়া। সেই মামলায় কেবল শামসকেই আসামি করা হয়েছিল।
এরপর স্বাধীনতা দিবসের এক সংবাদ প্রতিবেদনে ‘মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, জাতির জন্য মানহানিকর' তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ ও প্রচারের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ওই মামলা করেন আইনজীবী মশিউর মালেক।
বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টলার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, দ্বিতীয় মামলাটিতে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকে ‘হুকুমের আসামি' এবং নাম উল্লেখ না করে একজন ‘সহযোগী ক্যামেরাম্যানকে' আসামি করা হয়েছে।
পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই প্রতিবেদন ‘লাইক, শেয়ার, কমেন্টকারী আরও অজ্ঞাতদের' আসামি করেছেন মামলার বাদী।
মামলার বাদী আবদুল মালেকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছে প্রথম আলো। তিনি প্রথম আলোর কাছে নিজেকে হাইকোর্টের আইনজীবী পরিচয় দিয়ে বলেছেন, ‘মামলাটার আমি এজাহার দায়ের করেছি, হয়েছে (মামলা) কি না, জানি না। হয়েছে কি না, ওরা (পুলিশ) যোগাযোগ করেছে কোথায় কোথায়, পুলিশের ব্যাপার তো, বোঝেন না।'
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বৃহস্পতিবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, "আপাতত তাকে কোর্ট হাজতে রাখা হয়েছে। আইনজীবী মশিউর মালেকের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা, রিমান্ডের কোনো আবেদন করা হয়নি।”
শামসের পক্ষে আইনজীবী প্রশান্ত কর্মকার বলেছেন, তারা জামিন আবেদন প্রস্তুত করেছেন, আদালত বসলেই শুনানি হবে।
এডিকে/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, প্রথম আলো)