আদালতে রাজ্য়পালের মামলা, তৃণমূলের পাল্টা
১৭ জুলাই ২০২৪মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি কৃষ্ণ রাওয়ের এজলাসে রাজ্য়পালের মামলাটি ওঠে। ওই মামলায় রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্য়োপাধ্যায়, রেয়াত হোসেন সরকার এবং কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ করেছেন। মামলায় মূল অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হলেও বাকিদের তাতে যুক্ত করা হয়েছে।
শুনানির সময় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন বিচারপতি। তিনি জানিয়েছেন, মামলাকারী একটি সাংবিধানিক পদের অধিকারী। তার অভিযোগ, তার বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য করা হয়েছে। এমন মন্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত। এই মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ না দিলে, মামলাকারীর বিরুদ্ধে মন্তব্য় করার প্রবণতাটিকে উৎসাহ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। শুধু তা-ই নয়, বিচারপতি জানিয়েছেন, এই ঘটনা নিয়ে খবরের কাগজে যা প্রকাশিত হয়েছে, তা-ও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
আদালতের এই বক্তব্য়ের পর মঙ্গলবার রাত থেকে একাধিক তৃণমূল নেতা টুইট করতে শুরু করেন। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ পোস্টে লিখেছেন, রাজ্য়পালের বিরুদ্ধে নারীনির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। তার তদন্তের দাবি করা হয়েছে। এতে কোনো ভুল নেই।
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও কার্যত একই অভিযোগ করেছেন। তিনিও বলেছেন, রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী একজন নারী। রাজ্য়ের কোনো নারী নির্যাতিতা হলে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্য়বস্থা নিতেই হবে। সে কাজই করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে তৃণমূলের আইনজীবী সঞ্জয় বসু জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর যে বক্তব্য়গুলিকে মানহানিকর বলে অভিযোগ করা হয়েছে, সেই বক্তব্য়গুলি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি আদালত। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, মুখ্য়মন্ত্রী নিজে একজন নারী। রাজ্য়ের সমস্ত নারীর পাশে দাঁড়ানো তার অন্য়তম কর্তব্য। সেই কাজই করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বস্তুত, গত কয়েকবছরে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য়পাল-মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনেছে। সম্প্রতি রাজভবনের এক নারী কর্মী অভিযোগ করেছেন, রাজ্য়পাল তার শ্লীলতাহানি করেছেন। সে বিষয়ে একটি অভিযোগও তিনি জমা করেছেন কলকাতা পুলিশের কাছে। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে মামলা করেছেন রাজ্য়পাল। মানহানির মামলা করেছেন তিনি।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই)