আদালতে হাজির হলেন সাঈদী
৭ ডিসেম্বর ২০২০সোমবার কারাগার থেকে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সাঈদীকে পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের বিশেষ জজ আদালতে হাজির করা হয়৷
রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি রফিক উদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কারাগার থেকে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আদালতে হাজির করা হয়৷ মামলা দুটির শুনানি শেষে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কর ফাঁকির মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুনানি পিছিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি করা হয়েছে৷ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ আদেশ দেন৷
এ মামলায় সাঈদীর বিরুদ্ধে ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার ৮১২ টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে৷ ২০১১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর এ অভিযোগ গঠন করে আদালত৷ তবে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এখনো কোনো সাক্ষী হাজির করা হয়নি৷ ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট কর সার্কেল ৫১ কর অঞ্চলের তৎকালীন উপ-কর কমিশনার মাসুমা খাতুন বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন৷
সোমবার দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে জাকাতের অর্থ আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখও পিছিয়ে ২৮ ডিসেম্বর করা হয়৷ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১–এর বিচারক সৈয়দা হোসনে আরা শুনানি পেছানোর এ আদেশ দেন৷ ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী রবিউল ইসলাম জানান, আসামিপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতেই শুনানির তারিখ পিছিয়েছে আদালত৷
জাকাতের ১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অর্থ ও হিসাব বিভাগের সাবেক পরিচালক আইয়ুব আলী চৌধুরী৷ তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী৷ মামলার বাকি ছয় আসামি হলেন সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন শাহজাহান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মো. লুৎফুল হক, আবুল কালাম আজাদ, মিয়া মোহাম্মদ ইউনুস, তোফাজ্জল হোসেন ও আবদুল হক৷ সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোশাররফ মারা গেছেন, আবুল কালাম আজাদ পলাতক এবং অন্যরা জামিন পেয়েছেন৷জামিনপ্রাপ্ত চারজনও সোমবার আদালতে হাজির ছিলেন৷
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন আপিল বিভাগ৷
এসিবি/জেডএইচ (তথ্যসূত্র: দৈনিক প্রথম আলো)