আধুনিক প্রযুক্তির দৌলতে আমাদের জীবনযাত্রা অনেক আরামদায়ক হয়ে উঠছে বটে, কিন্তু আমরা অনেক সহজাত জ্ঞান হারিয়ে ফেলছি৷ আফ্রিকায় এক উদ্যোগের আওতায় আদিবাসীদের প্রাচীন জ্ঞান বৃহত্তর সমাজের কাছে নিয়ে আসা হচ্ছে৷
বিজ্ঞাপন
আফ্রিকার দক্ষিণের দেশ বৎসোয়ানা'র মধ্যভাগে কালাহারি মরুভূমি৷ স্যান উপজাতির মানুষ তাদের প্রাচীন ঐতিহ্য ও বিশেষ ক্ষমতা নিয়ে গর্ব করে৷ আগুন জ্বালাতে শুধু ধৈর্য লাগে না, আশেপাশের ঝোপঝাড় সম্পর্কে গভীর জ্ঞান ও দক্ষতাও থাকতে হবে৷ সামাজিক শিল্পপতি তাবিসো মাশাবা মনে করেন, এই জ্ঞান গ্রাম্য সমাজের জন্য অভিনব সুযোগ এনে দিতে পারে৷ তিনি বলেন, ‘‘একভাবে দেখতে গেলে আমরা জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির দিকে এগোচ্ছি৷ আমার মনে হয়, দেশজ জ্ঞানের ভিত্তি হলো মানুষের জ্ঞান, হাতেনাতে পাওয়া শিক্ষা, হাতের কাজ– এই সব৷ সেটি বৎসোয়ানার অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে পারে৷ কারণ, এই মুহূর্তে মানুষের মধ্যে কিছু একটা করার তাগিদ জাগাতে হবে, যাতে তারা টেকসই ব্যবসার পথে যেতে পারে৷''
স্যান উপজাতি কয়েকশ' বছর ধরে এমন শুষ্ক পরিবেশে টিকে রয়েছে৷ বর্তমানে বেকারত্ব ও দারিদ্রের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম করতে হচ্ছে৷ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের সামনে দূরে চলে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই বললেই চলে৷
গর্বিত প্রতিবন্ধীদের অন্যরকম শোভাযাত্রা
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে হয়ে গেল অন্যরকম এক প্যারেড বা শোভাযাত্রা৷ প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রথম এ শোভাযাত্রার নামই ছিল, ‘প্রতিবন্ধীদের গর্বের প্যারেড’৷ দেখুন তিন হাজারেরও বেশি মানুষের অংশ নেয়া সেই শোভাযাত্রার কিছু ছবি৷
ছবি: Reuters/E. Munoz
কেউ হুইল চেয়ারে, কেউবা ওয়াকারে...
তাঁরা হাঁটতে পারেন না৷ তাই ম্যানহাটানের রাস্তায় প্রায় সবাই এসেছিলে হুইল চেয়ার বা ওয়াকারে৷ চাকা লাগানো চেয়ারে চড়ে এবং হাঁটার জন্য তৈরি যন্ত্রের সহায়তায় হাসিমুখেই প্যারেডে অংশ নিয়েছেন সবাই৷
ছবি: Reuters/E. Munoz
‘আমি শক্তিশালী’
জেরার্ড মিলস নামের এই ভদ্রলোক সবার নজর কেড়েছিলেন সঙ্গের এই প্ল্যাকার্ডের কারণে৷ হুইল চেয়ারে বসে থাকলে কী হবে, প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে নিজেকে কিন্তু শক্তিশালী হিসেবেই উপস্থাপন করেছেন মিলস, দুর্বল বা অক্ষম হিসেবে নয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/AP Photo/S. Wenig
প্রধানত খুশি
১৪ বছর বয়সি এই মেয়েটি ‘ডাউন সিনড্রোম’-এ আক্রান্ত৷ ওর নাম রক্সানে ফার্নান্দেজ৷ নিজেকে মোটেই প্রতিবন্ধী মনে করেনা সে৷ মায়ের দেয়া মুকুটটি মাথায় পরে এসে সে জানিয়েছে, ‘‘আমি প্রধানত খুশি৷’’ জীবনে দুঃখ-কষ্ট থাকেই৷ তারপরও খুশির সময় উপভোগ করতে হয়৷ খুশি থাকতে হয়৷ রক্সানের হাসি দেখেই বোঝা যাচ্ছে ‘ডাউন সিনড্রোম’ তার খুশি একটুও কাড়তে পারেনি৷
ছবি: Getty Images/S. Keith
একজন ডোনাল্ড লি
দুর্ঘটনায় দুটি পা-ই হারিয়েছেন ডোনাল্ড লি৷ তাই বলে থেমে থাকেননি৷ নকল পা লাগিয়ে দিব্যি চলাফেরা করেন৷ প্যারেডেও অংশ নিয়েছেন পূর্ণ উদ্যম নিয়ে৷
ছবি: Reuters/E. Munoz
গর্বের জুলাই
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবন্ধীদের জন্য জুলাই খুব উল্লেখযোগ্য মাস৷ ১৯৯০ সালে এ মাসেই প্রবর্তিত হয়েছিল প্রতিবন্ধী অধিকার আইন৷ সেই আইন প্রবর্তনের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে নিউইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্ল্যাসন জুলাই মাসের চমৎকার একটি নাম দিয়েছেন- ‘প্রতিবন্ধীদের গর্বের মাস’৷ ছবিতে যাঁদের পা দেখা যাচ্ছে, তাঁরা সবাই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী৷ ছড়ি হাতে তাঁরাও এসেছিলেন গর্বের মাসের বিশেষ প্যারেডে অংশ নিতে৷
ছবি: Reuters/E. Munoz
নিউইয়র্ক এখনো যেখানে পিছিয়ে
যাঁদের হুইল চেয়ার নিয়ে চলাফেরা করতে হয়, নিউইয়র্ক এখনো তাঁদের জন্য আদর্শ নগরী হয়ে ওঠেনি৷ বিশেষ করে দূরে কোথাও যেতে চাইলে এখনো মুশকিলে পড়তে হয় তাঁদের৷ নিউইয়র্কের মাত্র চার শতাংশ ‘ক্যাব’ হুইল চেয়ারসহ যাত্রী পরিবহণে সক্ষম৷ এক্ষেত্রে লন্ডন অনেক এগিয়ে৷ সেখানে সব ট্যাক্সিতেই সেই ব্যবস্থা আছে৷
ছবি: Reuters/E. Munoz
‘অ্যামেরিকার ছোট মানুষ’
এই দুজনকে শিশুর মতো দেখালেও আসলে তাঁরা পুরোপুরি মহিলা৷ শরীরের বৃদ্ধি স্বাভাবিক না হলেও সব কাজেই তাঁরা স্বাভাবিক৷ এই দুই নারী সেদিন প্যারেডে নিজেদের তুলে ধরেছিলেন, ‘‘অ্যামেরিকার ছোট মানুষ’’ হিসেবে৷
ছবি: Reuters/E. Munoz
7 ছবি1 | 7
তাবিসো মাশাবা মনে করেন, স্যান উপজাতি আধুনিক সমাজে অনেক অবদান রাখতে পারে৷ বিশেষ করে কম সম্পদ নিয়েও কীভাবে অনেক কিছু করা সম্ভব, সেই শিক্ষা অনেকের কাজে লাগতে পারে৷ মার্কিন এনজিও আইডিআইএন-এর সহায়তায় মাশাবা একটি গ্রামে ছোট এক ‘ইনোভেশন সেন্টর' গড়ে তুলেছেন৷ সেখানে ডিজাইন ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রছাত্রীরা স্থানীয় সমাজের মানুষের সঙ্গে কাজ করেন৷ তাঁরা এমন সব যন্ত্রপাতি তৈরি করতে চান, যা নতুন ছোট আকারের ব্যবসায় মুনাফা আনতে পারে৷ মাশাবা বলেন, ‘‘এটা হলো ‘মেকার স্পেস', যার ধারণা আমরা ২০১৫ সাল নাগাদ সৃষ্টি করেছিলাম৷ এখন এটি আসল প্রকল্পের রূপ নিয়েছে৷ স্যান সম্প্রদায়ের মানুষ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মৌলিক জ্ঞান আয়ত্ত করে ওয়ার্কশপে নানা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছে এবং নিজেদের জীবনযাত্রার নানা সমস্যার সমাধান খুঁজছে৷''
এই মুহূর্তে একদল মার্কিন ছাত্রছাত্রী ‘ইনোভেশন সেন্টার'-এ থাকতে এসেছেন৷ স্থানীয় মানুষের সঙ্গে মিলে বস্টন শহরের বাসিন্দা শ্যানন ম্যাককয় সস্তার হুইলচেয়ার তৈরি করছেন, যা সেখানকার রুক্ষ পরিবেশের উপযোগী৷ সেই অঞ্চলের বয়স্ক মানুষের জন্য এই উদ্ভাবন উপকার বয়ে আনবে৷ এমআইটির ছাত্রী শ্যানন ম্যাককয় বলেন, ‘‘এই ডিজাইন বালুর উপরে হুইলচেয়ার চালাতে সহায়ক হবে৷ তাই আমরা তার শক্তি বাড়াতে চেন ও গিয়ার লাগিয়ে সেটিকে আমরা হ্যান্ড সাইকেলে পরিণত করেছি৷ দুটি করে চাকা লাগিয়ে বালুর উপর চালানো সহজ করার চেষ্টা করেছি৷''
বাংলাদেশের আদিবাসীদের দৈনন্দিন জীবনযাপন
বাংলাদেশে আদিবাসী বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের মধ্যে প্রত্যেকের জীবনযাপন ও ধর্মীয় উৎসবে রয়েছে ভিন্নতা৷ ছবিঘরে রয়েছে আদিবাসী বিভিন্ন গোষ্ঠীর জীবনযাপন ও তাদের উপর নির্যাতনের কথা৷ অধিকাংশ ছবি পাঠিয়েছেন সঞ্চয় চাকমা৷
ছবি: Sanchay Chakma
ধান চাষ
চাকমাদের জীবিকা প্রধানত কৃষি কাজ৷ পার্বত্য চট্টগ্রামের সমতল অংশে স্বাভাবিক সেচ পদ্ধতিতে মৌসুমী কৃষি কাজ, এবং পাহাড়ি অঞ্চলে জুম চাষের মাধ্যমে চাকমা জনগোষ্ঠী বিভিন্ন খাদ্যশস্য ও রবিশস্য উৎপাদন করে থাকে৷
ছবি: Sanchay Chakma
পুরুষ-নারী সমানে সমান
আদিবাসী নারীরা পুরুষদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে৷ এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে নারী পুরুষ একসাথে ধানের জমিতে কাজ করছে৷
ছবি: Sanchay Chakma
বাঁশের অঙ্কুর সংগ্রহ
তিন চাকমা নারী বাঁশের অঙ্কুর নিয়ে নৌকায় করে যাচ্ছেন৷
ছবি: Sanchay Chakma
হলুদ সংগ্রহ
এক চাকমা পুরুষ হলুদ সংগ্রহ করে ঝর্ণার পানিতে সেগুলো ধুয়ে নিচ্ছেন৷
ছবি: Sanchay Chakma
স্কুলে যাওয়া
একটি আদিবাসী কিশোরী স্কুলে যাচ্ছে৷
ছবি: Sanchay Chakma
চিংড়ি মাছ সংগ্রহ
দুইটি আদিবাসী বালক-বালিকা ঝিরি (ছোট ঝর্ণা) থেকে চিংড়ি মাছ সংগ্রহ করছে৷
ছবি: Sanchay Chakma
ঐতিহ্যবাহী কম্বল বোনা
এক চাকমা নারী তাদের ঐতিহ্যবাহী কম্বল বুনছেন৷
ছবি: Sanchay Chakma
জাল দিয়ে মাছ ধরা
জাল দিয়ে নদীতে মাছ ধরছেন আদিবাসী নারী-পুরুষ৷
ছবি: Sanchay Chakma
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
বৈসাবি উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনা৷
ছবি: Sanchay Chakma
ধর্ষণের শিকার
২১ আগস্ট ২০১২ সালে মাত্র ১১ বছর বয়সি এই ত্রিপুরা মেয়েটি খাগড়াছড়িতে এক পুলিশ কনস্টেবলের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল৷ (ছবি: সুমিত চাকমা)
ছবি: Sumit Chakma
পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ
২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে রাঙামাটিতে পাহাড়িদের উপর জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বাঙালিদের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ৷ (ছবি: পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ)
ছবি: Sumaiya Sayed
ধর্ষণের প্রতিবাদ
২০১২ সালে রাঙামাটির সুজাতা নামে এক ১২ বছরের চাকমা কিশোরীকে ধর্ষণ করে হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছিল আদিবাসী শিক্ষার্থীরা৷ (ছবি: সুমাইয়া সাঈদ)
ছবি: PCP
কল্পনা চাকমা
১৯৯৬ সালের ১২ জুন কল্পনা চাকমাকে তুলে নিয়ে যায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা৷ তার খোঁজ আজও মেলেনি৷ এই ছবিটি এঁকেছেন প্রজ্ঞান চাকমা৷
ছবি: Pragyan Chakma
চাকমাদের উপর বাঙালিদের হামলা
২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে রাঙামাটির বোগাচারিতে তিনটি আদিবাসী গ্রামে হামলা চালায় বাঙালিরা৷ (ছবি: হিমেল চাকমা)
ছবি: Himel Chakma
৫৭ টি বাড়ি পোড়ানো হয়
চাকমাদের ৫৭টি বাড়ি পুড়িয়ে ছাড়খার করে দেয়৷ নিঃস্ব হয়ে যায় অনেক পরিবার৷
ছবি: Himel Chakma
খাসিয়া উচ্ছেদ
২০১৬ সালের জুন মাসে সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের নাহার পুঞ্জিবাসী খাসিয়াদের উচ্ছেদের নোটিশ জারি করে জেলা প্রশাসন৷ (ছবি: খোকন সিং)
ছবি: DW/K. Singha
৭০০ মানুষ বাস্তুহারার আশঙ্কা
উচ্ছেদ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী আদিবাসী গ্রাম নাহার-১ পান পুঞ্জির ৭০০ মানুষকে অন্যত্র চলে যেতে বলা হয়েছে৷ বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়ার নোটিশ পাওয়া মানুষদের মধ্যে নারী, শিশু ও বৃদ্ধই বেশি৷
ছবি: Khukon Singha
সাঁওতালদের উপর হামলা
২০১৬ সালে ৬ নভেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে চিনিকলের বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ও সাঁওতালদের সংঘর্ষ থামাতে গুলি চালায় পুলিশ৷ এতে তিন সাঁওতাল নিহত হন, আহত হন অনেকে৷
ছবি: bdnews24.com
জমি অধিগ্রহণ নিয়ে বিরোধ
সাঁওতাল ও বাঙালিদের ১৮টি গ্রামের ১ হাজার ৮৪০ দশমিক ৩০ একর জমি ১৯৬২ সালে অধিগ্রহণ করে চিনিকল কর্তৃপক্ষ আখ চাষের জন্য সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার গড়ে তুলেছিল৷ চিনিকলের জন্য অধিগ্রহণ করা ওই জমিতে কয়েকশ’ ঘর তুলে সাঁওতালরা বসবাস করে আসছিল কয়েক বছর ধরে৷ চিনিকল কর্তৃপক্ষ ওই জমি উদ্ধার করতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে৷
ছবি: DW/K. Singha
19 ছবি1 | 19
এখনো এই প্রকল্প প্রোটোটাইপ স্তরে রয়েছে৷ চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো এমন এক ডিজাইন তৈরি করা, যার সাহায্যে স্থানীয় মিস্ত্রীরা হুইলচেয়ারকে সেখানকার পরিবেশের জন্য উপযুক্ত করে তোলার ব্যবসা শুরু করতে পারবেন৷ তাবিসো মাশাবা বলেন, ‘‘প্রান্তিক মানুষদের সাহায্যের উপর নির্ভরশীল না করে তুলে তাদের উদ্ভাবন ও ব্যবসার সম্ভাবনায় মদদ দেওয়া উচিত৷ সঠিক সহায়তা পেলে তারা বৎসোয়ানার অর্থনীতিকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারেন৷, যাতে ধাতুর উপর নির্ভর না করে জ্ঞানের ভিত্তিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়৷''
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন উদ্ভাবন নেটওয়ার্কের সঙ্গে মিলে মাশাবা বৎসোয়ানার অন্যান্য অঞ্চলেও এমন আরও ‘মেকার স্পেস' তৈরি করতে চান৷