জার্মানির সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডি-র নেতা মার্টিন শুলৎস জার্মানির বাজেট সারপ্লাস দেশটির অভ্যন্তরে এবং ইইউভুক্ত অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন৷ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনের আগের দলের সমর্থন বাড়াতে এই আহ্বান জানালেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Gambarini
বিজ্ঞাপন
সেপ্টেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে চ্যান্সেলর পদে ম্যার্কেলের প্রতিদ্বন্দ্বী মার্টিন শুলৎস৷ ক্ষমতায় গেলে তিনি কী করবেন – সেই আভাস রবিবার দলীয় এক সম্মেলনে দিয়েছেন তিনি৷ ‘আধুনিক জার্মানির জন্য ভবিষ্যত পরিকল্পনা' শীর্ষক এক ঘোষণায় দশটি বিষয় উল্লেখ করেছেন তিনি, যার মধ্যে বাজেট সারপ্লাস দেশের মধ্যে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) বিনিয়োগের বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে৷
‘‘জার্মানি আরো করতে পারে'', বার্লিনে এসপিডি নেতাদের বলেন শুলৎস৷ তিনি বলেন, ‘‘কেউ কেউ আছেন যারা ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা করেন৷ আমরা ভবিষ্যত গড়তে চাই৷''
ম্যার্কেল এবং তাঁর অর্থমন্ত্রী ভল্ফগাং শয়েবলের বিরুদ্ধে অনেকে অভিযোগ করেন যে, তাঁরা বাজেট এবং ট্রেড সারপ্লাস ধরে রাখছেন ও দেশে বিনিয়োগ এবং খরচ খুব কম করছেন৷ পাশাপাশি ইইউ-র বৃদ্ধির পথেও বাধা সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে৷
জার্মানির জাতীয় নির্বাচন ২০১৭: কবে, কী হচ্ছে
তিনটি রাজ্যে নির্বাচনের পাশাপাশি জার্মানির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২০১৭ সালে৷ চলুন জেনে নেই জাতীয় নির্বাচনের টাইমলাইন৷
ছবি: picture-alliance/R. Goldmann
জার্মানির বড় নির্বাচনের বছর
জার্মানিতে চলতি বছর আয়োজন করা হচ্ছে একের পর এক নির্বাচন৷ একদিকে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল চতুর্থবারের মতো চ্যান্সেলর পদে লড়ছেন, অন্যদিকে পপুলিস্ট পার্টি অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) অভিবাসীবিরোধী অবস্থানের কারণে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে৷ বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এটা নিশ্চিত যে, ২০১৭ সালের শেষে জার্মানির রাজনৈতিক অবস্থা এখনকার মতো থাকবে না৷
ছবি: Getty Images
জুন ১৯: দলের মনোনয়ন জমা দেয়ার দিন ছিল
জার্মানির সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য আবেদনের শেষ দিন ছিল জুন ১৯৷ সেদিন সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে আগ্রহী দলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আবেদন জানাতে হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Burgi
জুলাই ৭: কোন কোন দল লড়ছে?
সংসদ নির্বাচনে কোন কোন দল অংশ নিতে পারবে তা ঘোষণা করা হবে এই দিনে৷ যদি কোন দল নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হয় তাহলে পরবর্তী চারদিনের মধ্যে জার্মানির সাংবিধানিক আদালতে নালিশ করতে পারবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/U. Deck
জুলাই ১৭: কারা কারা থাকছেন?
চলতি বছরের ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের কোন কোন প্রার্থী কোন কোন এলাকায় লড়বেন, তা চূড়ান্ত করতে হবে৷ জার্মানিতে একসঙ্গে দু’টি ভোট দেয়ার সুযোগ রয়েছে৷ প্রথমটি প্রার্থীকে, দ্বিতীয়টি দলকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg
জুলাই ২৭: ব্যালটে নাম উঠানোর লড়াই
যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিতে সাংবিধানিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে, তাদের বিষয়ে রায় ঘোষণা করা হবে এই দিনে৷ ২০১৩ সালে এই পন্থা চালু করা হয়েছিল৷ সেবছর এগারোটি দল আদালতের স্মরণাপন্ন হলেও কেউই মামলা জেতেনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Steinberg
আগস্ট ১৩: আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা
জার্মানিতে নির্বাচন শুরুর ছয় সপ্তাহ আগ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলো আনুষ্ঠানিক প্রচারণার পোস্টার বা টেলিভিশন বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারে না৷ চলতি বছরের জাতীয় নির্বাচনের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর তারিখ ১৩ আগস্ট৷ এই দিন থেকে দলগুলো তাদের প্রচারণায় কোনো ঘাটতি রাখবে না৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Balk
আগস্ট ২০: কে ভোট দিতে পারবেন?
নির্বাচনের মাসখানেক আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তালিকা চূড়ান্ত হবে৷ ভোটার লিস্ট ঘোষণা করবে নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ৷ জার্মানিতে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সি যে কোনো জার্মান নাগরিক ভোট দিতে পারবেন৷ সে হিসেবে চলতি বছর ভোটারের সংখ্যা সাড়ে ৬১ মিলিয়ন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K.-D. Gabbert
সেপ্টেম্বর ৩: তিন সপ্তাহ বাকি
এই সময়ের মধ্যে সকল ভোটার পোস্টে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে ভোট দেয়ার সার্টিফিকেট পাবেন৷ যারা তখন অবধি ভোটার লিস্টে নিজেদের নাম পাননি, তারা রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাবেন৷ আর যারা পোস্টের মাধ্যমে ভোট দিতে চান, তারা ব্যালট পেপার চাইতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/R. Goldmann
সেপ্টেম্বর ২৪: নির্বাচনের দিন
অবশেষে সেই মহেন্দ্রক্ষণ৷ জার্মানির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৪ সেপ্টেম্বর৷ সেদিন সকাল আটটায় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হবে, চলবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত৷ ভোটগণনা সেদিনই শেষ হবে এবং নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ রাতে প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সেপ্টেম্বর ২৫: বিজয়ী এবং বিজিত
সকল প্রতিনিধি এবং দলগত ভোট গণনা শেষে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা দেয়া হবে ২৫ সেপ্টেম্বর৷ যদি কোনো প্রার্থী তাঁর নির্বাচনী এলাকায় জিততে ব্যর্থ হন, তা সত্ত্বেও দলগত জয়ের কারণে তিনি সংসদে একটি আসন পেতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler
অক্টোবর ২৪: নতুন সাংসদরা সংসদে
নির্বাচন শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে নতুন সাংসদদের সংসদে মিলিত হওয়ার নিয়ম রয়েছে৷ এ বছর সেই দিনটি হচ্ছে অক্টোবর ২৪৷ সেদিন গোপন ব্যালটের মাধ্যমে জার্মানির পরবর্তী চ্যান্সেলর নির্বাচিত হবেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নভেম্বর ২৪: সবকিছু কি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয়েছে?
যদি কেউ জাতীয় নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চান, তাহলে তার হাতে সময় থাকে নির্বাচন পরবর্তী দুই মাস৷ ভোটাররাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যে কেউ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার রাখেন এই সময়ের মধ্যে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Dedert
12 ছবি1 | 12
ম্যার্কেলের জবাব
মার্টিন শুলৎসের বক্তব্যে থাকা বিনিয়োগে ঘাটতির জবাব বেশ দ্রুতই দিয়েছেন ম্যার্কেল৷ বিনিয়োগের প্রতি তাঁর উদাসীনতার যে অভিযোগ প্রতিদ্বন্দ্বী তুলেছেন তা প্রত্যাখ্যান করে ম্যার্কেল বলেছেন যে, সমস্যা আসলে অর্থ বরাদ্দে নয়, পরিকল্পনায়৷
‘‘আমরা বর্তমানে যে টাকা আছে তা খরচ করতে পারছি না'', বলেন বারো বছর ধরে চ্যান্সেলর পদে থাকা ম্যার্কেল, সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘নির্মাণ শিল্প এবং আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে ‘বোটলনেক' পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে৷''
মধ্যবর্তী বাজেট পরিকল্পনায় কেন্দ্র সরকার বিনিয়োগের জন্য বাড়তি অর্থবরাদ্দ রেখেছে বলেও জানিয়েছেন ম্যার্কেল৷ তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে, এক্ষেত্রে আরো অনেক কিছু করণীয় রয়েছে৷
প্রসঙ্গত, শিক্ষা, পরিচর্যা, হাসপাতাল এবং গৃহায়ন খাতে বিনিয়োগের জন্য জার্মানি শত শত কোটি ইউরো বরাদ্দ রাখলেও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত পরিকল্পনার অভাবে সেখান থেকে অল্পই খরচ করতে পেরেছে৷
যেসব বিষয়ে সমঝোতার পর জার্মানিতে জোট
বিভিন্ন ইস্যুতে মতপার্থক্যের কারণে এক মাস ধরে জার্মানির জোট সরকারের ব্যাপারে আলোচনা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল৷ ১৮ ঘণ্টা আলোচনার পর জোট গঠনে একমত হলেও কে কোন মন্ত্রণালয় পাচ্ছেন তা ঠিক হয়নি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বার্লিনে চুক্তি সম্পন্ন
অনেক বিষয়ে মতানৈক্য থাকায় কয়েক সপ্তাহ ধরে চেষ্টা চললেও জোট সরকার গঠনের প্রয়াস সাফল্যের মুখ দেখছিল না৷ বার্লিনে ১৮ ঘণ্টার বৈঠক শেষে বুধবার সকালে সে অপেক্ষার অবসান হয়েছে৷ ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জোট গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানির সবচেয়ে বড় দুটি দল খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী (সিডিইউ) ও সামাজিক গণতন্ত্রী (এসপিডি) দল৷ দলের প্রতিনিধিরা সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছেছে৷ মন্ত্রণালয় বণ্টনের ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি৷
ছবি: JOHN MACDOUGALL/AFP/Getty Images
সমঝোতার পথ
সেপ্টেম্বরে নির্বাচনের পর জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল-এর খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী পেয়েছিল অন্তত ৪২ ভাগ ভোট৷ অনেকেই সিগমার গাব্রিয়েলের নেতৃত্বাধীন সামাজিক গণতন্ত্রী দলকে ম্যার্কেলের দলের ভবিষ্যৎ অংশীদার হিসেবে দেখেছিলেন৷ যদিও দু দলের মধ্যে অনেক বিষয়েই মতপার্থক্য ছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ন্যূনতম মজুরি : নীতির লড়াই
জাতীয় ন্যূনতম মজুরি – এই একটি ইস্যুতে দুই দলের মধ্যে নীতিগত ব্যবধান অনেক বেশি৷ চূড়ান্ত চুক্তিতে প্রতি ঘণ্টার ন্যূনতম মজুরি সাড়ে আট ইউরো নির্ধারণ করা হয়েছে, যেমনটা এসপিডি দাবি করেছিল৷ কিন্তু ২০১৫ সালের আগে এটি কার্যকর হবে না৷ সিডিইউ-র আশঙ্কা এই সিদ্ধান্তের ফলে অনেক মানুষ চাকরি হারাবেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মহাসড়কে টোলের প্রস্তাব
জার্মানির মহাসড়কগুলোতে টোল দেয়ার বিষয়টিতে দুই দলই রাজি নয়৷ কিন্তু সিডিইউ’র বাভারিয়ান সহযোগী সিএসইউ’র প্রধান হর্স্ট জেহোফার তাঁর ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মহাসড়কে গাড়ি চলাচলের উপর টোল আরোপ করলেই কেবল তিনি কোনো জোটে যাবেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
কে বেশি পেনশন পাবে?
এসপিডি’র দাবি, যেসব কর্মী ৪৫ বছর ধরে চাকরি করছেন, তাদের পূর্ণ পেনশন দিতে হবে, যদি তাদের বয়স ৬৩ বছরও হয়৷ এমনকি ১৯৯২ সালের আগে যাদের সন্তান আছে সেসব মায়েদের পেনশন বোনাস দেয়ার পক্ষে সিডিইউ৷ চূড়ান্ত চুক্তিতে দুটি দাবিকে একসাথে করা হয়েছে, যার ফলে জার্মানির কয়েকশ’ কোটি ইউরো খরচ হবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শীর্ষ চাকরিগুলোতে বেশি নারী
বিএমডাব্লিউ’র বোর্ড সদস্যদের মধ্যে মাত্র ১২.৫ ভাগ নারী৷ দুই দলই বলেছে, এটা যথেষ্ট নয়৷ তারা দেখতে চায়, পাবলিক কোম্পানিগুলোর শীর্ষ পদে নারীদের নিযুক্ত করা হচ্ছে৷ তারা শীর্ষ পদগুলোতে নারীদের নিয়োগ ৩০ ভাগ বাড়ানোর পক্ষে একমত হয়েছে, যা বর্তমানের চেয়ে তিনগুন বেশি৷
ছবি: imago/Sven Simon
স্বাস্থ্যসেবা
স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে খুব দ্রুতই সমঝোতায় পৌঁছেছে দুই দল৷ বিমার পরিমাণ বাড়ানো হবে এবং জনস্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়াম শেষ করা হবে৷
ছবি: Waldbreitbacher Franziskanerinnen
পররাষ্ট্রনীতি
আশা করা হচ্ছে, সামাজিক গণতন্ত্রী দলের ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে পারেন৷ ফলে জার্মান পররাষ্ট্রনীতিতে অনেকটা পরিবর্তন আসতে পারে, বলে ধারণা করছেন অনেকে৷ তবে, সিডিইউ এর কাছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চেয়ে অর্থমন্ত্রী বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
জ্বালানি নীতিতে সমঝোতা
দুই দলই দেশের চাহিদা অনুযায়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৫৫ থেকে ৬০ ভাগ বাড়ানোর পরিকল্পনায় একমত হয়েছে৷ এসপিডি নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎখাতে ৭৫ ভাগ ব্যবহারের পক্ষে, অন্যদিকে সিডিইউ বলেছে, ৫০ থেকে ৫৫ ভাগই যথেষ্ট৷
ছবি: picture-alliance/dpa
তৃণমূল কর্মীদের অধিকার
জার্মানির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দলের সদস্যরা জোট সমর্থনের অধিকার পেয়েছে৷ ফলে এসপিডি তার তৃণমূল সমর্থকদের জিজ্ঞেস করবে তারা এই জোটে যাবে কিনা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
10 ছবি1 | 10
চাকুরি, শিক্ষা এবং পরিবার
শুলৎসের ঘোষিত দশটি বিষয়ের মধ্যে জার্মান অর্থনীতির ‘ডিজিটালাইজেশনের' বিষয়েও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে৷ এতে সরকারি সেবাসমূহকে অনলাইন করার কথা বলা হয়েছে যাতে দীর্ঘ আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এড়ানো সম্ভব হয়৷ যদিও ম্যার্কেলও এই সমস্যা নিরসনের কথা বলেছেন, তবে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমার কথা উল্লেখ করেননি৷ অন্যদিকে, শুলৎস পাঁচবছরের মধ্যে এটা সম্ভব মনে করছেন৷
এছাড়া ক্ষমতায় গেলে আরো ন্যায্য মজুরি, চাকুরি নিরাপত্তা বাড়ানো, মাস্টার্স লেভেল অবধি বিনা খরচায় শিক্ষা, পরিবারের জন্য আরো ট্যাক্স কমানো, বাড়ি কিনতে আগ্রহীদের আর্থিক সহায়তা এবং অবসর ভাতা রক্ষণাবেক্ষণের মতো বিষয়ও উঠে এসেছে সামাজিক গণতন্ত্রী দলের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থীর ঘোষণায়৷
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুর দিকে চ্যান্সেলর পদে শুলৎসের নাম ঘোষণার পর এসপিডি দলের প্রতি সমর্থন বেশ খানিকটা বেড়ে যায়৷ কিন্তু সেই সমর্থন আবারো পড়তির দিকে চলে যাচ্ছে, অন্যদিকে ম্যার্কেল কার্যত হয়ে উঠছেন অপ্রতিরোধ্য৷ নির্বাচনের আগে এই পরিস্থিরি বদলে যেতে পারে এমন আভাস দিতে পারছেন না পর্যবেক্ষকরা৷