তৈলচিত্র, সংগীত, চলচ্চিত্র যেমন শিল্পের রূপ, ইনস্টলেশন আর্টও বর্তমান যুগের শিল্প হিসেবে সমাদৃত হচ্ছে৷ শক্তিশালী এই সৃষ্টিকর্ম বিজ্ঞানের নানা জটিল বিষয়কেও মানুষের নাগালে নিয়ে আসতে পারে৷
বিজ্ঞাপন
কেন মারফি-র সৃষ্টির নাম ‘আকাশের ইতিহাস'৷ এক বছর ধরে তিনি প্রতি ১০ সেকেন্ড অন্তর ছবি তুলে গেছেন৷ সেই সব ফ্রেমের কল্যাণে পর্দায় দিন দ্রুত শেষ হচ্ছে৷ আবার ছন্দের পরিবর্তনের ফলে সময় সম্পর্কে আমাদের বোধশক্তিতে কীভাবে বিঘ্ন ঘটছে, তা স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেখাতে চান করিম ফারাহ৷
এই যেমন, একটি আপাত সাধারণ ভিডিও ইনস্টলেশন নিউটন-এর ‘থার্ড ল অফ মোশন' সূত্রকে ফুটিয়ে তোলে৷ প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে – এই তত্ত্বটি স্লো মোশন রিপ্লে-র সাহায্যে দৃশ্যমান করে তোলা হয়৷ তাতে বল বা শক্তির মাত্রা স্পষ্ট হয়ে যায়৷
ফটোকিনা: ফটোগ্রাফি এবং সিনেমাপ্রেমীদের স্বর্গ
ফটোগ্রাফি সংক্রান্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় মেলা ‘ফটোকিনা’ আবারও শুরু হয়েছে জার্মানির কোলন শহরে৷ ৬৬ বছর ধরে ফটোগ্রাফি এবং সিনেমাপ্রেমীদের কাছে এই মেলাটি অনেকটা স্বর্গের মতো৷ ফটোকিনা-২০১৬ আসর নিয়েই এই ছবিঘর...
ছবি: DW/A. Purwaningsih
যখন থেকে শুরু
‘ফটোকিনা’-র প্রথম আসরটি জার্মানির এই কোলন শহরেই হয়েছিল, ১৯৫০ সালে৷ ১৯৬৬ সাল থেকে দু’বছর পরপর নিয়মিতই অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ আসর৷
ছবি: DW/A. Purwaningsih
এবারের আকর্ষণ
সব আয়োজনেই বিশ্বের সেরা ক্যামেরাশিল্পী এবং ক্যামেরার সমাবেশ হয় এখানে৷ এবার এসেছে ফুজির এই এক্স-টি২ ক্যামেরা৷ ক্যামেরাটি ‘ওয়েদারপ্রুফ’, অর্থাৎ সব রকমের আবহাওয়ায়, যে কোনো জায়গায় এটি নিয়ে কাজ করা যাবে৷
ছবি: DW/A. Purwaningsih
নাইকনের অ্যাকশন ক্যামেরা
নাইকনের এই অ্যাকশন ক্যামেরাটিও ফটোকিনা-২০১৬-র অন্যতম আকর্ষণ৷
ছবি: DW/A. Purwaningsih
হাইস্পিড ক্যামেরা
সনির এই ডিএসএলআর হাইস্পিড ক্যামেরাটিও সবার নজর কাড়ছে৷
ছবি: DW/A. Purwaningsih
ক্যামেরাম্যান হওয়ার উপায়
সনির বুথে গিয়ে যে কেউ অতি আধুনিক মুভি ক্যামেরা চালিয়ে দেখতে পারেন৷ এভাবে অল্প সময়ে ক্যামেরাম্যান হওয়ার সুযোগটা অনেকেই লুফে নিচ্ছেন৷
ছবি: DW/A. Purwaningsih
অন্যরকম
ক্যাননের এই প্রদর্শনীটি হচ্ছে একটি কন্টেইনারে৷
ছবি: DW/A. Purwaningsih
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
ক্যাননের আয়োজনে ছিল বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ নেয়ার ব্যবস্থা৷ ক্যামেরা এবং ফটোগ্রাফির বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে নিজেকে আরো সমৃদ্ধ করার সুযোগটা অনেকেই ছাড়েননি৷
ছবি: DW/A. Purwaningsih
ফটোগ্রাফি নিয়ে বক্তৃতা
ফটোকিনাতে বিশ্বখ্যাত ফটোগ্রাফাররা এসে ফটোগ্রাফি নিয়ে মন খুলে কথা বলেন৷ তা শুনে অনেক কিছু শেখাও যায়৷
ছবি: DW/A. Purwaningsih
শিক্ষানবিশ
মেলায় এসে একজন খুব মন দিয়ে ক্যামেরা চালানো শিখছেন৷
ছবি: DW/A. Purwaningsih
বড় দিনের উপহার
মেলা শেষে সব কোম্পানিই নতুন নতুন মডেলের ক্যামেরাগুলো বাজারে ছাড়বে৷ বড় দিনের উৎসবের আর বেশি বাকি নেই৷ বড় দিনের উপহার হিসেবে অনেকের কাছে ক্যামেরাই হয়ে উঠবে বড় আকর্ষণ৷
ছবি: DW/A. Purwaningsih
10 ছবি1 | 10
ভিডিও শিল্পী নেনাড পপফ-এর বিশেষ ল্যাবেএকটি জীব নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং খেতে চাইছে৷ আর ভিডিও প্রোজেকশন দেখিয়ে দিচ্ছে, সেটি কীভাবে আকারে-আয়তনে বেড়ে চলেছে৷ তাঁর কথায়, ‘‘জীবন্ত প্রাণীর মধ্যে যে পরিবর্তন হচ্ছে, এই ইনস্টলেশনে তা সঙ্গে সঙ্গে চিহ্নিত করা যায়৷ ছবি অথবা শব্দের মাধ্যমে আমরা তা টের পাই৷''
বলা বাহুল্য প্রাণীটি খাবার হজম করে, বেড়ে ওঠে৷ সেন্সর সেই পরিবর্তন পরিমাপ করে তা সাউন্ডে পরিণত করে৷ নেনাড জানান, ‘‘এই জীবের নাম ফিসারাম পলিসেফালাম৷ এটা ছত্রাক ও অ্যামিবার মাঝামাঝি এক রূপ৷''
আলো আর বরফ মিলিয়ে এক আশ্চর্য উৎসব
প্রতিবছর শীতে হাজার হাজার পর্যটক আসেন উত্তর চীনের হার্বিনে, বরফ কেটে গড়া শিল্পকলা দেখতে৷ এ বছর ছিল ৩২তম ‘আইস ফেস্টিভাল’৷
ছবি: picture alliance/Kyodo
বরফে তৈরি ক্রেমলিনের ওপর আতসবাজি
আইস ফেস্টিভালে প্রতিবছরই নানা বিশ্বখ্যাত ভবন, স্থাপত্য বা ভাস্কর্যের ‘তুষার সংস্করণ’ দেখতে পাওয়া যায়৷ এ বছরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাউই উড়েছে এক বরফের ক্রেমলিনের চূড়ার ওপর৷
ছবি: Reuters/A. Song
সবে মিলে করি কাজ
সুবিশাল ‘তুষার স্থাপত্য’-গুলির জন্য একা নয়, অনেক শিল্পীকে একসঙ্গে কাজ করতে হয়৷ কে কোন খুঁটিনাটি নিয়ে কাজ করবেন, তা আগে থেকেই ঠিক করা থাকে৷ যা-তে সব কিছু ঠিকঠাক চলে, সেজন্য ‘তুষার ভাস্কর’-দের অনেকে এক বছর ধরে অনুশীলন করেছেন৷
ছবি: Reuters/China Daily
লম্বা লাইন
হার্বিনের আইস ফেস্টিভাল শুধু চীনেই নয়, বিশ্ববিখ্যাত৷ কাজেই অতিথি-দর্শকদের লাইন পড়ে দিগন্ত অবধি৷ তাপমাত্রা যে শূন্যের কতটা নীচে, তা কেউ তোয়াক্কা করেন না৷
ছবি: Getty Images/AFP/W. Zhao
ওলাফ
ওয়াল্ট ডিজনি-র কার্টুনচিত্র ‘ফ্রোজেন’-এর চরিত্র ওলাফ শুধু চীন নয়, হার্বিনেও পৌঁছে গেছে৷
ছবি: picture-alliance/epa/W. Hong
শিল্পকলা তো শুধু নয়, খেলাধুলোও আছে
আইস ফেস্টিভালের গোটা নাম হলো ‘আইস অ্যান্ড স্নো ফেস্টিভাল’ – অকারণে নয়৷ তুষার ভাস্কর্যের সাথে সাথে ছোটদের বা বড়দের সময় কাটানোর জন্য নানারকম ব্যবস্থা আছে: যেমন স্লেজে চড়া৷ বরফ আছে কি করতে!
ছবি: Getty Images/AFP/W. Zhao
আর খিদে পেলে?
আছে নানা ধরনের খাবারদাবার৷ খেয়াল করবেন, ঠেলাগাড়িটা চলেছে কিন্তু স্লেজের ওপর, ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে ট্র্যাক্টর৷
ছবি: Getty Images/AFP/W. Zhao
রাতের বেলা
হার্বিনের চেহারা মায়াময়, কেননা বরফের প্রাসাদ আর ভাস্কর্যগুলো সাজানো হয় মোমবাতি আর রঙিন বাতি দিয়ে৷
ছবি: Getty Images/AFP/W. Zhao
7 ছবি1 | 7
অন্যদিকে ‘ওয়াচফুলনেস – লাইফ ইন দ্য মোমেন্ট' নামের ইনস্টলেশন আর্টটি আসলে জীবনেরই প্রতিফলন৷ কোনো বাধ্যবাধকতা ছাড়াই মুক্তির স্বাদ তুলে ধরাই এর উদ্দেশ্য৷ এর সেন্সর ধ্যানের সময় মস্তিষ্কের তরঙ্গ পরিমাপ করে এবং মনিটারের পর্দায় পরিবর্তনগুলি ফুটিয়ে তোলে৷ শরীর থেকে এই ‘ভিশুয়াল ফিডব্যাক' শরীর-মন শিথিল করতে কয়েক গুণ সাহায্য করে৷ স্ট্রেস সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বার্লিনের ‘শারিটে' হাসপাতালের স্নায়ু-মনস্তত্ববিদরা মেডিটেশনের এই পদ্ধতির কদর করেন৷
বার্লিন আইসেক্ট প্রকল্প মানুষের বোধশক্তির সীমা নিয়ে গবেষণা করছে৷ প্রযুক্তি আমাদের স্বতঃস্ফূর্ত মুহূর্তের প্রতি আস্থা নষ্ট করে দিচ্ছে৷ দিব্যচক্ষুর গুরুত্ব বাড়ছে৷ এটা এক শেখার প্রক্রিয়া৷ আজকাল তো নর্তকীরাও ওরিয়েন্টেশন খুঁজছে৷ প্রশ্ন হলো, আমরা কীভাবে বিজ্ঞানীদের কাজের ফলের মূল্যায়ন করবো – যখন টাইম ও স্পেস-এর মধ্যে বিভাজন আসলে এক মরীচিকা?
সহজ জীবনযাপনের শিল্প
প্রতি বছরের মতো এবারও জার্মানির কোলন শহরে বসেছে ইন্টারনাৎসোনালে ম্যোবেল মেসে (আইএমএম) বা আন্তর্জাতিক ফার্নিচার মেলা৷ ছবিঘরে দেখে নিন এই মেলায় প্রদর্শিত কিছু অভিনব ডিজাইন৷
ছবি: DW/B. Görtz
গল্প বলা তাঁবু
দূরের কোনো দেশের কথা মনে করিয়ে দেয়া, কোনো ইচ্ছে পূরণের প্রতীক, কোনো স্বপ্ন, কোনো সংস্কৃতিকে তুলে ধরে – এমন তাঁবুতে বাস করা মন্দ কী! আলেকসান্ডার সাইফ্রাইড অসম্ভব সুন্দর এই ‘কারগাহ তাঁবু’ তৈরি করেছেন উত্তর আফগানিস্তানের এক ধরণের ঘরের আদলে৷ জার্মান কোম্পানি রিচার্ড লাম্প্যার্টের জন্য নির্মাণ করা এই অভিনব ঘরটির পেছনের ভাবনাটা হলো, যেখানে তাঁবু ফেলা যায়, সেখানেই বাস করতে পারেন আপনি৷
ছবি: DW/B. Görtz
যেন স্বপ্ন দেখছি...
জেন ভরথিংটন ডাচ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান লেওলুক্সের জন্য তৈরি করেছেন সোফার মতো এই দোলনাটি৷ তাঁর এই ডিজাইন কোলনের আন্তর্জাতিক ফার্নিচার মেলায় ‘ইন্টেরিয়র ইনোভেশন’ অ্যাওয়ার্ড জিতেছে৷ মেলায় পুরো জানুয়ারি মাস জেনের এই স্বপ্নের ঘোর লাগানো সোফা প্রদর্শিত হবে৷
ছবি: DW/B. Görtz
সময় পেরিয়ে...
এমন চেয়ারের আদি ডিজাইনার চার্লস এমেস এবং তাঁর স্ত্রী রে৷ ডিজাইন কবে করা হয়েছিল ৬০ বছরেরও বেশি আগে! পরবর্তীতে অন্য ডিজাইনাররা নিজেদের কল্পনার তুলির আঁচড়ে চার্লস আর রে দম্পতির সৃষ্টিকে নতুন জীবন দিয়েছেন বহুবার৷ তার দিয়ে তৈরি ছবির এই চেয়ারগুলোও চার্লস-রে দম্পতির কাজ থেকে প্রেরণা নিয়েই করা৷ ফার্নিচার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ভিত্রা-র জন্য দেখতে সহজ অথচ চমৎকার ডিজাইনটি করেছেন ডিটার থীল৷
ছবি: DW/B. Görtz
ডেনিশ আকর্ষণ
মেলার গত আসরে তাঁরা ছিলেন না৷ সবাই খুব মিস করেছেন তাঁদের৷ তবে এবার স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ডিজাইন নিয়ে পূর্ণ মহিমায় ফিরে এসেছেন গুবি, মুটো, নরমান কোপেনহাগেনের মতো অনেকে৷ ওসব দেশের ফার্নিচারের বিশেষ একটা বিশেষত্ত হলো, সাধারণভাবে খুব সুন্দর আসবাবগুলো ছোট কোনো ঘরেও ব্যবহার করা যায়৷ এই সোফাগুলোই দেখুন, কাঠ আর অন্য কিছু প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা সোফাগুলোকে আকারে একেবারেই বড় বলা যাবে না৷
ছবি: DW/B. Görtz
আলোর মজা
ঘটনাক্রমে এই আসবাবপত্রের ডিজাইনারও ডেনিশ এবং এটিও খুব পুরোনো৷ ডিজাইনারের নাম ভ্যার্নার পান্টন৷ গত প্রায় ৫০ বছর ধরে কোলন আন্তর্জাতিক ফার্নিচার মেলায় বেশ নাম করেছেন তিনি৷ তাঁর ডিজাইন করা ‘ফান’ বা ‘মজা’ নামের ল্যাম্পটি আজও ‘বেস্ট সেলার’৷
ছবি: DW/B. Görtz
সবুজ বাস
লতানো গাছের আদলে বাতি৷ সবুজ লতা-পাতার পাশে সাদা ফুল, ফল হয়ে জ্বলন্ত এই বাতি এবারের আন্তর্জাতিক ফার্নিচার মেলার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে৷ আলোর সঙ্গে ক্যানাডিয়ান নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বোচির নামও ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র৷
ছবি: DW/B. Görtz
সবুজ নিদ্রা
ইটালিয়ান ডিজাইনার কাপো ডি’অপেরার ডিজাইন করা এই বিছানা দেখলে কি মনে হয়, প্রচুর টাকা খরচ করে চোখধাঁধানো কোনো শয্যা তৈরির কোনো মানে আছে? কাপো আসলে বুনো পরিবেশের ছিমছাম একটা শয্যাও যে মুগ্ধ করতে পারে, তা-ই দেখাতে চেয়েছেন৷ বিছানার চাদর এলোমেলো৷ দেখে মনে হয় এই বুঝি কেউ কয়েক মুহূর্তের জন্য বিছানা ছেড়ে গেলেন, এক্ষুনি আবার ফিরে আসবেন৷
ছবি: DW/B. Görtz
একই উৎস থেকে
সার্বিয়ার ডিজাইনাররা এলইডি প্রযুক্তিকে আরেকটু এগিয়ে নিয়ে এমন এক লাইট তৈরি করেছেন যার অভাব মেটাতে গেলে হয়ত একই ঘরে অনেকগুলো লাইট ব্যবহার করতে হবে৷ এই বাতির উৎস একটাই৷ এক জায়গা থেকেই বেরিয়েছে অনেকগুলো বাতি৷ দামও কিন্তু অনেক৷ ৫০ হাজার ইউরো!
ছবি: DW/B. Görtz
ভবিষ্যতে এমন হবে?
এবারও মেলায় এক তরুণ ডিজাইনারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল৷ তাঁর কাজ ছিল একটি পূর্ণাঙ্গ ঘরের ইন্টেরিয়র ডিজাইন করে দেখানো৷ ডেনিশ-ইংলিশ ডিজাইনার লুইস ক্যাম্পবেল দারুণ কাজ দেখিয়েছেন৷ আইডিয়াটা চমৎকার৷ একটই বিশাল ঘর৷ এক ঘরেই শোবার ঘর, খাবার ঘর, রান্নাঘর – সব৷ একেক ঘরের ডিজাইন এমনভাবে করা যাতে একই ঘর অন্য ঘরের মতোও ব্যবহার করা যায়৷ এই রান্নাঘরটাই দেখুন৷ দেখে কেমন ওয়ার্কশপ ওয়ার্কশপ মনে হয় না!