বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ঈদকার্ড পাঠিয়েছেন রবিবার৷
বিজ্ঞাপন
তার আগে শনিবার খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান৷ তাঁদের এই ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় দেশের মানুষের মধ্যে আলোচিত হলেও আশার কোনো সঞ্চার করেনি৷ কারণ জনগণ শুভেচ্ছা বিনিময়ের সঙ্গে শুনেছেন ঈদের পরে মাঠের লড়াইয়ের কথা৷
এ কারণে এবার ঈদে গ্রামের বাড়ি যাননি ধানমণ্ডির সানোয়ার হোসেন৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ঈদের পর দেশের পরিস্থিতি কোন দিকে যায় বলা যায় না৷ তাই ঢাকায় থেকে গেছেন৷ ‘‘গত কয়েক বছর ধরেই প্রতি ঈদের পরই আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দেয়া হয়৷ আর ডাক আসে প্রতিরোধের৷ মানুষ খুশি মনে ঈদ না করে নতুন সংঘাতের আশঙ্কা নিয়ে ঈদ উদযাপন করেন,'' বলেন তিনি৷
‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’
সত্যিই তাই, ঈদের খুশি ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে৷ বাংলাদেশ, ভারত, জার্মানি কি গোটা বিশ্ব৷ ঈদের আনন্দে উচ্ছ্বসিত গোটা মুসলিম সম্প্রদায়৷ তাদের উৎসবে সঙ্গী অন্য ধর্মাবলম্বীরাও৷ এই বিষয়ে আমাদের ছবিঘর৷
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
ঈদ মুবারক
প্রায় এক মাস রোজা পালনের পর আসে ঈদ-উল-ফিতর৷ মুসলমানদের দুটি বাৎসরিক ঈদ উৎসবের একটি এটি৷ এই দিনটি তাই ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই ভালোভাবে উদযাপনের চেষ্টা করেন৷ ঢাকায় শুক্রবার ঈদের জামাতে অংশ নেয়া এক নারীর ছবি এটি৷
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
জাতীয় মসজিদে ঈদের জামাত
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার জাতীয় মসজিদে একাধিক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়৷ ৯ই আগস্ট ঈদের দিন তোলা এই ছবিটি জাতীয় মসজিদের৷ মুসল্লিদের সুবিধার্থে অধিকাংশ ক্ষেত্রে একাধিক ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
চাঁদ দেখে দিন নির্ধারণ
সাধারণত আরব এবং পশ্চিমা দেশগুলোতে ঈদ উদযাপনের একদিন পর বাংলাদেশ, ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ঈদ পালন করা হয়৷ এই ধর্মীয় উৎসবের দিন নির্ধারণ করা হয় চাঁদ দেখার ভিত্তিতে৷ ছবিতে ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লির ঐতিহাসিক জামা মসজিদে ঈদের নামাজ পড়ছেন মুসলমানরা৷
ছবি: Reuters
গান দেয় পূর্ণতা
পৃথিবীর বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চল, বিশেষ করে বাংলাদেশে ঈদের একটি গান অত্যন্ত জনপ্রিয়৷ ঈদের আগের রাত থেকে টেলিভিশন, রেডিও থেকে শুরু করে রাস্তার পাশের দোকান, মার্কেট সর্বত্র বাজতে শুরু করে, ‘‘...রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ৷’’ এই একটি গানই ঈদ-উল-ফিতরের জানান দিতে যথেষ্ট৷ ছবিতে কলকাতার ঈদ জামাতে অংশ নেওয়া মুসলিম নারীদের দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/AP
কবি নজরুলের কালজয়ী গান
উইকিপিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ‘‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় ও আনন্দের উৎসব ঈদ-উল-ফিতর নিয়ে বাঙালি কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত কালজয়ী গান৷ বাঙালি মুসলমানের ঈদ উৎসবের আবশ্যকীয় অংশ৷ কবির শিষ্য শিল্পী আব্বাস উদ্দিন আহমদ-এর অনুরোধে ১৯৩১ সালে কবি নজরুল এই গান রচনা ও সুরারোপ করেন৷’’
ছবি: Noah Seelam/AFP/Getty Images
সবার বাড়িতেই দাওয়াত
ঈদের দিন প্রতিবেশীর বাড়িতে বেড়াতে যেতে প্রয়োজন হয় না কোন দাওয়াতের৷ আধুনিক শহুরে জীবনে প্রতিবেশীদের মধ্যে তেমন সখ্যতা না থাকলেও ছোট শহর, মফস্বল আর গ্রামে ঈদের জামাতের পরই প্রতিবেশীদের বাড়িতে বেড়াতে যান ছেলে, বুড়ো সবাই৷ কারো বাড়িতে ঈদের পায়েস, কারো বাড়িতে মাংস-পরোটা কিংবা পোলাও – ঈদের দুপুরটা এভাবেই কেটে যায়৷ ছবিতে কলকাতায় ঈদের জামাত শেষে মিষ্টি কিনছেন মুসল্লিরা৷
ছবি: picture-alliance/AP
দিনের বেলা বিক্রি নয়
ঈদ-উল-ফিতর এর আগের একমাস বাংলাদেশে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে খাবার বিক্রি একরকম বন্ধই থাকে৷ রাস্তার পাশের খাবার হোটেলগুলো ঢেকে দেওয়া হয় কালো পর্দায়৷ তবে সূর্যাস্তের খানিক আগে থেকে শুরু হয় খাবার বিক্রি৷ ঢাকায় তোলা এই ছবির মতোই ইফতারির পসরা সাজিয়ে রাস্তার পাশে বসেন অসংখ্য দোকানি৷ বিক্রিও হয় প্রচুর৷ ঈদের দিন থেকে পরের এগারো মাস আর এই বাণিজ্য দেখা যায়না৷
ছবি: dapd
লম্বা প্রস্তুতি
রমজানের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে মূলত ঈদের প্রস্তুতি শুরু হয়৷ নতুন পোশাক কেনার জন্য মার্কেটে ভিড় করেন মুসলমানরা৷ এ সময় দোকানগুলোতে দেখা দেয় উপচে পড়া ভিড়৷ আফগানিস্তানসহ অনেক দেশে দোকানিরা ঈদ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন বিশেষ অফার দিয়ে থাকেন৷ মিষ্টি এবং শুকনো ফল ঈদ উপহার হিসেবে আফগানিস্তানে বেশ জনপ্রিয়৷
ছবি: DW/I. Spezalai
যানবাহনে ভিড়
রমজানের শেষ সপ্তাহে যানবাহনেও সৃষ্টি হয় ব্যাপক ভিড়৷ এ সময় পরিবার, পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে শিকড়ের টানে ঢাকা ছাড়েন অনেক মানুষ৷ ঈদের ছুটিও বেশ লম্বা হয়৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: dapd
পরিবারের সঙ্গে প্রার্থনা
জার্মানিতে ঈদের সকালে সাধারণত পুরো পরিবারই মসজিদে চলে যান৷ অধিকাংশ মসজিদে নারীর নামাজ আদায়ের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে৷ আর নামাজের পর সবাই মিলে মসজিদেই ঈদের খাবার খান৷ এরপর বাংলাদেশসহ অন্য অনেক দেশের মতো জার্মানিতেও কবরে পরিদর্শনে যান অনেক মুসলমান৷ ঈদের দিন পরিবারের মৃত সদস্যের কবর জিয়ারত করেন তারা৷
ছবি: Barbara Sax/AFP/Getty Images
উৎসব একই, নাম অনেক
জার্মানিতে ঈদ মূলত ‘বায়রাম’ অথবা ‘সুকারফেস্ট’ নামে পরিচিত৷ বায়রাম শব্দটি এসেছে তুরস্ক থেকে, এর অর্থ ছুটি৷ আর সুকারফেস্ট-এর বাংলা অর্থ হচ্ছে মিষ্টি উৎসব৷ তবে মুসলমানদের অন্যতম এই ধর্মীয় উৎসবটি বাংলাদেশ, ভারতসহ আন্তর্জাতিকভাবে ঈদ-উল-ফিতর হিসেবেই পরিচিত৷
ছবি: MUSTAFA OZER/AFP/Getty Images
11 ছবি1 | 11
ঢাকার কারওয়ান বাজারে কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে৷ ঈদের ছুটিতে ঢাকার ফাঁকা রাস্তায় তিনি মনের আনন্দে ঘুরছেন৷ তাঁর কথা, বছরে দুই ঈদেই এরকম নিরিবিলি ঢাকাকে পাওয়া যায়৷ কোনো যানজট নেই৷ নেই মাঠের রাজনীতির গরম বাতাস৷ তবে ঈদের পর কি হয় তা নিয়ে তাঁর মনে আতঙ্ক আছে৷ তিনি বললেন, ঈদে দুই নেত্রী পরস্পরকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷ তবে তা লোক মারফত কার্ডের মাধ্যমে৷ এটা টেলিফোনে বা সরাসরি হলে অনেক বড় খবর হতো, বলে মনে করেন তিনি৷ তাঁর কথা, নেত্রীরা শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন কিন্তু শুভ ইচ্ছা তাঁদের মধ্যে আছে বলে মনে হয় না৷ কারণ তাঁরা ঈদের পরই লড়াইয়ে নামার কথা বলছেন৷
অনেকে বেতন, বোনাস পাননি
ঢাকার তোবা গার্মেন্টস-এর শ্রমিকরা আন্দোলন, ঘেরাও করেও ঈদের বেতন-বোনাস আদায় করতে পারেননি৷ রবিবারও তাঁরা বিজিএমইএ ভবনের সামনে ঠাঁয় বসেছিলেন৷ শুধু তোবা নয়, আরো অনেক গার্মেন্টস মালিক কথা রাখেননি৷ প্রকাশ্যে মন্ত্রীর সামনে ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে বেতন, ভাতা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা ভুলে গেছেন৷ রবিবার বিজিএমইএ ভবনের সামনে তোবা গার্মেন্টস এর শ্রমিকদের কেউ কেউ তাদের সন্তানদেরও নিয়ে এসেছিলেন৷ কিন্তু খালি হাতেই ফিরে গেছেন৷ তাদের অনেককে কাঁদতেও দেখা যায়৷
নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা
ঈদ মানেই আনন্দ আর এই আনন্দ পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করে নিতেই বাড়ি ফেরেন মানুষ৷ সেজন্য অনেকেই সারারাত অপেক্ষা করেন ট্রেনের টিকেটের জন্য কিংবা লঞ্চে ওঠেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে৷ সেরকমই কিছু ছবি পাবেন এখানে৷
ছবি: DW/M. Mamun
টিকিটের জন্য অপেক্ষা
ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের আগাম টিকেট সংগ্রহের জন্য মানুষের ভিড়৷ আগের দিন রাত থেকে এসব মানুষ দাঁড়িয়েছিলেন টিকেটের জন্য৷ তবে যাত্রীর তুলনায় বাংলাদেশ রেলওয়ের আসন সংখ্যা কম হওয়ায় দিনভর অপেক্ষা শেষে অনেককেই ফিরতে হয় খালি হাতে৷
ছবি: DW/M. Mamun
ঘরমুখো মানুষ
ঢাকার বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় হাজারো ঘরমুখো মানুষ৷ ঈদের সময়ে যাত্রীর চাপের কারণে ট্রেনের সময়সূচি ঠিক রাখতে পারছে না রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ৷ তবে এ চিত্র আগের বছরের তুলনায় এ বছর অনেক ভালো৷
ছবি: DW/M. Mamun
আনন্দ ভাগাভাগি
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে উঠছে হাজারো ঘরমুখো মানুষ৷ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতেই এতো কষ্ট করে বাড়ি ফেরা৷
ছবি: DW/M. Mamun
নাড়ির টান
ঈদের ছুটিতে ট্রেনের ছাদে চড়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ৷ জীবনের ঝুঁকি আছে জেনেও ছাদে চেপে বসেছেন এসব মানুষ৷ ছাদে যাত্রী পরিবহণ নিষিদ্ধ হলেও প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে ব্যাকুল মানুষের কাছে সকল নিষেধাজ্ঞাই উপেক্ষিত৷
ছবি: DW/M. Mamun
মানুষের ভিড়
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের ভিড়৷ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম নৌপথ৷ অন্যান্য পথের মতো নদীপথেও তাই ঈদ উপলক্ষ্যে মানুষের ভিড় বেশি৷
ছবি: DW/M. Mamun
অন্যরকম আনন্দ
লঞ্চের ডেকে গাদাগাদি করে বসে বাড়ি ফিরছেন মানুষ৷ ঈদের সময় লঞ্চগুলোর ডেকে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণ করা হয়৷
ছবি: DW/M. Mamun
নারী ও শিশু
ঢাকার সদরঘাটে নৌকা থেকে লঞ্চে উঠছেন যাত্রীরা৷ এভাবে উঠতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হন যাত্রীরা৷ এরপরেও নারী ও শিশুদের নিয়ে এভাবেই লঞ্চে উঠতে দেখা যায় যাত্রীদের৷
ছবি: DW/M. Mamun
খোলা ছাদে
লঞ্চের ডেকে জায়গা না পেয়ে খোলা ছাদে উঠে পড়েছেন হাজারো মানুষ৷ অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের ফলে প্রতিবছরই ঈদ মৌসুমে দুর্ঘটনায় পড়ে অনেক নৌযান, প্রাণ হারান অনেকেই৷ তারপরেও থেমে থাকে না অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই৷
ছবি: DW/M. Mamun
ঝুঁকির মধ্যেও আনন্দ
পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছেন এসব মানুষ৷ ভুলে গেছেন সরকারের নিষেধাজ্ঞা, নিজ জীবনের নিরাপত্তা৷ ঈদের আগের দিন ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ছেড়ে যাওয়া লঞ্চগুলোর চিত্র ছিল একই৷ এ যেন ঝুঁকির মধ্যে আনন্দ যাত্রা!
ছবি: DW/M. Mamun
এই যানজটের শেষ কোথায়?
নৌ ও রেলপথের মতোই সড়ক পথেও যাত্রীর চাপ বেশি৷ অনেকেই তাই বাড়ি ফিরছেন বাসের ছাদে চড়ে৷ তবে এতো কষ্টের পরও কখন বাড়ি ফিরতে পারবেন যাত্রীরা এর কোনো নিশ্চয়তা নেই৷ বাংলাদেশের সড়কপথে ঈদের আগে যাত্রীদের জন্য সবচেয়ে বড় আতঙ্ক হয়ে দাঁড়ায় যানজট৷
ছবি: DW/M. Mamun
মূল লক্ষ্য একসাথে ঈদ করা
ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরতে ট্রাকে চড়ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ৷ এসব মানুষের বেশিরভাগই দিনমজুর৷ তবে টিকেট না পাওয়ায় অনেক মধ্যবিত্তকেও দেখা যায় ট্রাকে উঠতে৷ এভাবেই ট্রাকে চড়ে ৪০০-৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হবেন তাঁরা৷
ছবি: DW/M. Mamun
11 ছবি1 | 11
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. হেলাল উদ্দিন মনে করেন, ঠকানো যাদের মানসিকতা, তাদের কাছে ঈদের গুরুত্ব নেই৷ গুরুত্ব নেই বেতন, বোনাস না পাওয়া শ্রমিকের কান্নার৷
দারিদ্র্য নিয়ে ব্যবসা
এবার দারিদ্র্যকে নিয়ে উপহাস করেছে বাংলাদেশের একটি মোবাইল ফোন কোম্পানি৷ তারা গ্রাহকদের কাছ থেকে বঞ্চিত শিশুদের ঈদের জামা দেয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছে৷ পোশাকও দিয়েছে৷ তবে তাদের প্রতিষ্ঠানের লোগো আর রংয়ে৷ ঈদের পোশাক দেয়ার নামে তারা ২৫,০০০ দরিদ্র শিশুকে তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন বানিয়েছে৷ এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিন বলেন, ‘‘ঈদ সাম্য আর ভ্রাতৃত্বের কথা বললেও তা বাস্তবে দেখা যায় না৷ ঈদ অনেক সময় সামাজিক অসাম্যকেই আরো বড় করে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়৷ ত্যাগের মানসিকতা এখনো গড়ে ওঠেনি৷ ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক দল সবাই যার যার ফায়দা লুটছে৷''