1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘‘আন্তধর্ম শান্তি ছাড়া বিশ্বশান্তি অসম্ভব’’

৯ নভেম্বর ২০২০

মানবজাতির ভবিষ্যত নিয়ে নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ধর্মকে বাদ দিলে চলবে না৷ বরং ধর্মকে বাদ দিয়ে, ধর্মে নারীর ভূমিকা বাদ দিয়ে সমাধান খুঁজতে চাইলে তা ইউরোপকে দুর্বল করবে বলে মনে করেন আনেটে শাফান৷

ছবি: picture-alliance/dpa/C. Gißibl

আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ও সংগঠনগুলোর গুরুত্ব দিন দিন বেড়ে চলেছে৷ ভবিষ্যতের মহাসংকটগুলোর সমাধান বৈশ্বিক নয় বরং জাতীয়ভাবেই সমাধান সম্ভব, এমন চিন্তাকে ভুল প্রমাণ করছে এসব সংগঠন৷ বর্তমান মহামারি আমাদের শিক্ষা দিয়েছে যে যখন সবাই আক্রান্ত, তখন সবাইকেই একে অপরের ওপর নির্ভর করতে হয়৷

একইভাবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং বৈশ্বিক শান্তির জন্যও জাতীয় সীমান্ত ও স্বার্থের উর্ধ্বে উঠেই কাজ করতে হবে৷

গত প্রায় ৫০ বছর ধরে আন্তর্জাতিক সংগঠন রিলিজিওন ফর পিস বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে আস্থা স্থাপনের চেষ্টায় কাজ করে চলেছে৷ তাদের লক্ষ্য একটি সবার জন্য একটি সাধারণ শান্তির বার্তা ও নৈতিক অবস্থানের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা৷ 

আন্তধর্ম শান্তি ছাড়া শান্তি সম্ভব নয়

একই ধরনের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে ওয়ার্ল্ড পার্লামেন্ট অফ রিলিজিওনস এর বৈঠকে একটি বৈশ্বিক নীতি ঘোষণা দেয়া হয়৷ তখনকার মূল বক্তব্যটি এখনকার জন্যও কার্যকর- ‘‘আন্তধর্ম শান্তি ছাড়া আন্তজাতি শান্তি সম্ভব নয়৷ আন্তধর্ম আলোচনা ছাড়া আন্তধর্ম শান্তি সম্ভব নয়৷ সাধারণ নৈতিকতা ও মূল্যবোধ ছাড়া আন্তধর্ম আলোচনা সম্ভব নয়৷’’

জার্মানির ট্যুবিঙ্গেনে ধর্মতত্ত্ববিদ হান্স ক্যুং অনেক বছর ধরে বৈশ্বিক নৈতিকতা নিয়ে কাজ করে চলেছেন৷ এ লক্ষ্যে তিনি একটি ফাউন্ডেশনও গড়ে তুলেছেন৷ কিন্তু তার এসব কাজ গির্জার নজরে এলেও কখনও এ নিয়ে তারা বেশিদূর আগায়নি৷

২০১৯ সালে ওয়ার্ল্ড অ্যাসেম্বলি অফ রিলিজিওনস ফর পিস এর দশম বৈঠক বসে জার্মানির লিন্ডাউয়ে৷ এ মাসে নারী, বিশ্বাস ও কূটনীতি নিয়ে সেখানে আরেকটি আন্তর্জাতিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে৷ তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে মহামারির কারণে এবার সেখানে সবাই অনলাইনে যুক্ত হবেন৷

আনেটে শাফান, জার্মানির সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও বর্তমানে রিং ফর পিস ফাউন্ডেশন কাউন্সিলের চেয়ারওম্যানছবি: picture alliance/dpa/J. Carstensen

ধর্মের প্রতি নতুন আগ্রহ

এই দুই আয়োজন দিয়েই ইউরোপে বিভিন্ন ধর্মের সম্ভাবনা নিয়ে আগ্রহের বিষয়টি বোঝা যায়৷ গত কয়েক দশক ধরে ইউরোপের বড় অংশে ধর্মকে উপেক্ষা করে আসা হয়েছে৷ সেক্যুলার সমাজে পাবলিক লাইফে ধর্মের গুরুত্ব নেই বলে শোনা যেত৷

কিন্তু বাস্তবতা অন্যরকম প্রমাণিত হয়েছে৷ আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ধর্ম এখনও উপস্থিত৷ এটা উপেক্ষা করা মানে ইউরোপকে দুর্বল করা৷ ফলে ইউরোপে রিলিজিওন ফর পিস এর কর্মকাণ্ডে গতি পাওয়াটাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখা উচিত৷ ভবিষ্যতের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে ধর্মের গুরুত্ব নিয়েও ইউরোপীয়রা চিন্তা ভাবনা করছে, এটিও ইতিবাচক৷

নারীর বোঝাপড়ায় কূটনীতি

বিশ্বাসী নারী এবং শান্তি স্থাপনে তাদের কাজ লিন্ডাউয়ের আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে৷ নেতৃস্থানীয় ভূমিকা নেয়া, নেতৃত্বের সংস্কৃতি বদলে দেয়া এবং কূটনীতির এক নতুন ধারা তৈরি করা নিয়ে আলোচনা চলছে৷ নতুন জ্ঞান, নতুন যোগাযোগ এবং সম্পর্ক কিভাবে নতুন ধরনের কূটনীতি ও শান্তি প্রক্রিয়ায় কাজে লাগতে পারে, তা নিয়ে হবে বিশেষ আলোচনা৷

মহামারির সময় আমরা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করছি, অনেকেই আশা করছেন আমরা যেন তা দ্রুত ভুলে না যাই৷ আমরা যেন এই সংকট থেকে শিক্ষা নেই, ফলে এ থেকে সব ধর্মের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নতুন সুযোগ তৈরি হবে৷ সকল মানুষের প্রতি সম্মান ও সংহতি ছাড়া মানবজাতির বড় সংকটগুলোর কোনো গ্রহণযোগ্য সমাধান সম্ভব নয়৷

(আনেটে শাফান ২৫ বছর ধরে রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিবিদ হিসেবে কাজ করেছেন৷ ২০০৫-২০১৩ সাল পর্যন্ত জার্মানির ফেডারেল শিক্ষামন্ত্রী, ২০১৪-২০১৮ ভ্যাটিকানে জার্মান রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি৷ বর্তমানে রিং ফর পিস ফাউন্ডেশন কাউন্সিলের চেয়ারওম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি৷)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ