আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন তামিম ইকবাল৷ প্রথম ওয়ানডে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে এ ঘোষণা দেন তিনি৷ কথা বলতে গিয়ে আবেগ আক্রান্ত হয়ে পড়েন তামিম৷
বিজ্ঞাপন
তিনি গত মধ্য রাতে ব্যক্তিগতভাবে সাংবাদিকদের কাছে বার্তা পাঠান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় (পরে তার পক্ষ থেকে জানানো হয় দুপুর দেড়টায় একটি হোটেলে কথা বলবেন তিনি) কথা বলবেন তিনি৷
আজ চট্টগ্রামের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে তামিম বিদায় জানিয়ে দিলেন সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে। গত বছর ১৬ জুলাই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন ৩৪ বছর বয়সি তামিম। এবার ওয়ানডে ও টেস্ট থেকেও অবসরের ঘোষণা দিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ওপেনার।
সুমনের চোখে বাংলাদেশের সেরা টেস্ট একাদশ
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ গত ১০ নভেম্বর উনিশ বছর পূর্ণ করে বিশে পা রেখেছে৷ সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনের গড়া বাংলাদেশের সেরা টেস্ট একাদশে কারা এবং কেন স্থান পেয়েছেন তা জানতে দেখুন আমাদের এই ছবিঘর৷
ছবি: AP
মাশরাফি
সেরা একাদশের নেতৃত্ব নির্দ্বিধায় মাশরাফি বিন মর্তুজার হাতে তুলে দিয়ে সুমন বলেছেন, ‘‘এত জোরে বল করতে আমি দেশের খুব কম বোলারকেই দেখেছি৷ সুইংও ছিল৷ অত্যন্ত বুদ্ধিমান বোলার৷’’
ছবি: AP
তামিম
‘সেরা পারফর্মার‘ হিসেবেই ওপেনিংয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তামিম ইকবাল৷ লর্ডসে সেঞ্চুরি করা এই খেলোয়াড়কে একাদশে রাখার পেছনে দেশ ও দেশের বাইরে পারফর্ম্যান্সকেই বড় করে দেখেছেন হাবিবুল বাশার৷ তিনি বলেন, ‘‘পেস ও স্পিন সমান ভালো খেলে৷ সবচেয়ে বড় কথা, ওর ব্যাটিং অন্য ব্যাটসম্যানদেরও আত্মবিশ্বাস দেয়৷ ওকে এক নম্বরে রাখতে তাই একদমই সময় লাগেনি৷’’
ছবি: picture-alliance/A. Salahuddin
জাভেদ ওমর
৪০টি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা এবং টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের হাবুডুবু খাওয়ার সময়ে উইকেট আঁকড়ে পড়ে থাকার মানসিকতাকে গুরুত্ব দিয়ে জাভেভ ওমরকে দলে রেখেছেন সুমন৷
ছবি: Shamsul Hoque Tanku
মুমিনুল
তিন নম্বর পজিশনে স্থান পেয়েছেন তিনি৷ সুমন বলছেন, মুমিনুলকে বাছতে কষ্ট হয়নি তার৷ তবে এই পজিশনে মুমিনুলকে বাদ দিলে নিজেকে জায়গা দিতেন তিনি৷ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মুমিনুলকে একাদশে রাখার ব্যাখ্যায় সুমন বলছেন, ‘‘রান করার দক্ষতা অনেক এবং ব্যাকফুটে শক্তিশালী৷’’
ছবি: Getty Images/AFP/M. U. Zaman
বুলবুল
বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে একাদশে রেখে সুমন বলছেন, ‘‘বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আরো অনেক কিছুই দেওয়ার ছিল তাঁর৷’’ মাত্র ১৩ টেস্ট ক্যারিয়ারেও বুলবুল সর্বকালের সেরা একাদশে থাকার মতো ঝলক দেখিয়েছিলেন বলে বিশ্বাস করেন হাবিবুল বাশার সুমন৷
ছবি: Shamsul Hoque Tanku
আকরাম খান
১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফিজয়ী অধিনায়ক আকরাম খানকে সেরা একাদশে জায়গা দিয়ে সুমন বলছেন, ‘‘যে-কোনো বোলিং আক্রমণকে ছিঁড়ে-খুঁড়ে ফেলার ক্ষমতা ছিল উনার৷ পেস ও স্পিন খেলার সামর্থ্যের দিক থেকে অত্যন্ত উঁচু দরের ব্যাটসম্যান তিনি৷’’
ছবি: DW/Z. Chowdhury
সাকিব
অলরাউন্ডার হিসেবে একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান৷ সব ফরম্যাটে বাংলাদেশের সেরা খেলোয়াড়ও তিনি৷
ছবি: Munir uz Zaman/AFP/Getty Images
মুশফিক
সুমন বলছেন, মুশফিক অলরাউন্ডার, কারণ, তিনি উইকেটের পেছনেও দাঁড়াবেন৷ বিশেষজ্ঞ উইকেটরক্ষক হিসেবে খালেদ মাসুদ অপ্রতিদ্বন্দ্বী হলেও মুশফিককে দিয়ে কিপিং করালে বাড়তি একজন ব্যাটসম্যান খেলাতে পারার চিন্তা থেকেই তাঁর ওপর আস্থা রেখেছেন সুমন৷
ছবি: Getty Images/AFP/I. S. Kodikara
রফিক
এই সি্পন বোলারকে একাদশে রেখে সুমন বলছেন, ‘‘রফিক আমার দলে সব সময়ই থাকবে৷ আমি অধিনায়ক থাকাকালে সে আমাকে খুব কমই বঞ্চিত করেছে৷ রান আটকানোর পাশাপাশি উইকেট তুলে নেওয়ায় ওর চেয়ে ভালো আর কেউ নয়৷’’
ছবি: Getty Images/AFP/F. K. Godhuly
শাহাদাত
ভীতিকর পেসার হিসেবে একাদশে শাহাদাত হোসেনকে রেখে সুমন বলছেন, ‘‘টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়ক যে রকম আক্রমণাত্মক বোলার চায়, শাহাদাত সে রকমই একজন৷ সত্যিকারের টেস্ট বোলার৷’’
ছবি: AP
মুস্তাফিজ
টেস্ট ক্যারিয়ারে এখনো বলার মতো কিছু না করলেও মুস্তাফিজকে যে-কোনো উইকেটে উইকেট নেওয়ার মতো বোলার বলেই মনে করেন সুমন৷ এজন্য তাঁর সেরা টেস্ট একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন তরুণ এই বোলার৷
ছবি: Getty Images/AFP/I. S. Kodikara
11 ছবি1 | 11
সংবাদ সম্মেলনে অশ্রুসজল চোখে তামিম বলেছেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে গতকালের ম্যাচটিই আমার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। এই মুহূর্ত থেকে আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছি। সিদ্ধান্তটি হুট করে নেওয়া নয়। অনেকদিন ধরেই আমি এটা নিয়ে ভাবছি। পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছি এটা নিয়ে।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ১৬ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের জন্য তামিম ধন্যবাদ দিয়েছেন সতীর্থ, কোচ, বিসিবি, পরিবার ও সমর্থকদের, ‘ক্যারিয়ারের এই দীর্ঘ পথচলায় আমার সব সতীর্থ, সব কোচ, বিসিবির কর্মকর্তাগণ, আমার পরিবার ও যাঁরা আমার পাশে ছিলেন, নানাভাবে সহায়তা করেছেন, ভরসা রেখেছেন এবং আমার ভক্ত-সমর্থক, বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনুসারী, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনাদের সবার অবদান ও ভালোবাসায় আমি চেষ্টা করেছি সব সময় দেশের জন্য নিজের সবটুকু উজাড় করে দিতে।’
পাঠকের চোখে ক্রিকেটের সেরা একাদশ
বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের জন্য খেলোয়াড় বাছাই করতে বলা হয়েছিল ডয়চে ভেলের পাঠকদের৷ ছিল পুরস্কার৷ পাঠক, মেহেদী হাসানের দেয়া তালিকা আমাদের পছন্দ হয়েছে৷ চলুন দেখে নেই তাঁর টিম৷
ছবি: Reuters
তামিম ইকবাল
ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় জমা পড়া নামের তালিকায় সবাই যাকে রেখেছেন, তিনি হচ্ছেন ওপেনার তামিম ইকবাল৷ চট্টগ্রামের এই বাহাতি ব্যাটসম্যান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করছেন৷ ডয়চে ভেলের পাঠক মেহেদী হাসানের মতে, টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে, টেস্ট – সব দলেই মানানসই তামিম৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
সৌম্য সরকার
সাতক্ষীরার ছেলে সৌম্য সরকার জাতীয় দলের সঙ্গে যাত্রা শুরু করেন ২০১৪ সালে৷ বাহাতি এই ব্যাটসম্যানের ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ স্কোর ১০৭৷ আমাদের পাঠকদের কেউ কেউ অবশ্য তাঁকে আপাতত দলের বাইরে রাখার পক্ষে৷ আর মেহেদী হাসানের মতে, টেস্টে তামিমের সঙ্গে থাকা উচিত ইমরুল কায়েসের৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
সাব্বির রহমান
জাতীয় দলের তৃতীয় ব্যাটসম্যানের জায়গা নিয়ে একটু বিভ্রান্তি রয়েছে৷ আমাদের পাঠকদের অনেকে এই জায়গায় সাব্বির রহমানকে রাখতে চান৷ তবে কেউ কেউ এখানে খেলার ধরনের ভিত্তিতে ইমরুল কায়েস বা লিটন দাসকেও রাখতে আগ্রহী৷
ছবি: Getty Images/AFP/K. Manjunath
সাকিব আল হাসান
সাবিক আল হাসানের খ্যাতি বিশ্বজোড়া৷ মাগুরার এই অলরাউন্ডারকে সবাই দলে চান৷ ২০১৫ সালে সাকিব বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসি-র সব ব়্যাংকে প্রথম অবস্থান অর্জন করেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
মুশফিকুর রহিম
মাঠে উইকেটের পেছনে এক বিশ্বস্ত নাম মুশফিকুর রহিম৷ আমাদের প্রায় সব পাঠক তাঁকে দলে রেখেছেন৷ তবে টি-টোয়েন্টিতে তাঁকে কিপিংয়ে রাখতে রাজি নন পাঠক মেহেদী হাসান৷
ছবি: Getty Images/R. Pierse
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে দলে রাখা নিয়ে আমাদের পাঠকদের কারো আপত্তি নেই৷ তবে তাঁর কোন অবস্থানে ব্যাট করা উচিত, সেটা নিয়ে মতামত ভিন্ন৷ মেহেদী হাসানের মতে, টি-টোয়েন্টি এবং টেস্টে ষষ্ঠ আর ওয়ানডে তৃতীয় অবস্থানে খেলা উচিত তাঁর৷
ছবি: Getty Images/R. Pierse
নাসির হোসেন
সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কার্যত সাইড বেঞ্চে কাটিয়েছেন নাসির হোসেন৷ রংপুরের এই অলরাউন্ডারকে মূল একাদশে দেখতে আগ্রহী ডয়চে ভেলের পাঠকরা৷
ছবি: Getty Images/AFP/U. Zaman
মাশরাফি বিন মোর্তোজা
জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে দলে অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি বিন মোর্তোজাকেই চান পাঠক মেহেদী হাসান৷ আর টেস্টে তাঁর পছন্দের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Kiran
তাসকিন আহমেদ
ডানহাতি ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ ব্যাটিংয়ে আবার বামহাতি৷ বর্তমানে ‘অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের’ দায়ে আইসিসি-র নিষেধাজ্ঞায় আছেন তিনি৷ তবে আমাদের পাঠকরা তাঁকে ফেরত চান দ্রুত৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. U. Zaman
মুস্তাফিজুর রহমান
ক্রিকেটের বিস্ময় বালক মুস্তাফিজুর রহমানকে টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে এবং টেস্ট সবক্ষেত্রেই মূল দলে চান ডয়চে ভেলের পাঠকরা৷ ভারতের আইপিএল-এও খেলছেন মুস্তাফিজ৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
লিটন দাস/শুভাগত হোম/নুরুল হাসান
এই তিনজনই সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার৷ আসলে জাতীয় দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে খেলার ধরন, ভেন্যু, পরিবেশসহ অনেক কিছু বিবেচনায় আনতে হয়৷ তাই চূড়ান্ত একাদশ কী হবে তা নির্ধারণ সহজ নয়৷ আমাদের ক্রিকেটপাগল পাঠকদের মতামতের ভিত্তিতে তৈরি এই গ্যালারিটিতে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে মাত্র৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
11 ছবি1 | 11
অবসর–পরবর্তী জীবনের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তামিম, ‘জীবনের নতুন অধ্যায়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই। সবাইকে আবারও ধন্যবাদ।’
ওয়ানডে ক্রিকেট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তামিমের। ২০০৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি কেনিয়ার বিপক্ষে দেশের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেছিলেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজের ঘরের মাঠে এই সংস্করণেই তাঁর শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললেন তামিম। ২৪১ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩৬.৬২ গড়ে ৮৩১৩ রান করেছেন, সেঞ্চুরি ১৪টি, ফিফটি ৫৬টি।
টেস্টে ৭০ ম্যাচে ৩৮.৮৯ গড়ে তাঁর সংগ্রহ ৫১৩৪ রান। ৩১ ফিফটির সঙ্গে করেছেন ১০ সেঞ্চুরি। সবার আগে ছেড়ে দেওয়া টি-টোয়েন্টিতে ৭৮ ম্যাচে করেছেন ১৭৫৮ রান। দেশের একমাত্র সেঞ্চুরির সঙ্গে আছে ৭টি ফিফটিও।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচ জেতানো নায়কেরা
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জেতা ১৩টি ম্যাচে সেরার স্বীকৃতি টাইগাররা পেয়েছেন ১২ বার৷ বাকি একটি পুরস্কার যায় পরাজিত দলে৷ টাইগারদের মধ্যে দুইবার করে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হয়েছেন শুধু মোহাম্মদ আশরাফুল ও ইমরুল কায়েস৷
ছবি: Getty Images/R. Kinnaird
মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, ১৯৯৯
১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ অংশ নেয় ক্রিকেট বিশ্বকাপে৷ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যাত্রাটি শুরু হয় ছয় উইকেটের হার দিয়ে৷ বাংলাদেশ প্রথম জয় তুলে নেয় তৃতীয় ম্যাচে, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে৷ এই ম্যাচে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু৷ বাংলাদেশের ২২ রানে জেতা ম্যাচে ৬৮ রান (অপরাজিত) করেন তিনি৷ পাশাপাশি ৩ ওভার বল করে ১টি উইকেটও নিয়েছিলেন বিসিবির বর্তমান নির্বাচক৷
ছবি: M. Mohammad
খালেদ মাহমুদ সুজন, ১৯৯৯
১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে আসরের দ্বিতীয় জয়টিও পেয়ে যায় বাংলাদেশ৷ ৬২ রানে জেতা সেই ম্যাচে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হন খালেদ মাহমুদ সুজন৷ ব্যাট হাতে ২৭ রান করার পর বোলিংয়ে ৩ উইকেটও নিয়েছিলেন তিনি৷
ছবি: Getty Images/R. Kinnaird
মাশরাফি বিন মোর্তজা, ২০০৭
১৯৯৯ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে দুই ম্যাচে জয় পেলেও বিশ্বকাপে পরের জয়ের জন্য ৮ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে বাংলাদেশকে৷ ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে সেই জয়ের দেখা পায় টাইগাররা৷ ৪ উইকেট নিয়ে সেবার ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হয়েছিলেন মাশরাফি বিন মোর্তজা৷
ছবি: Getty Images/C. Rose
মোহাম্মদ আশরাফুল, ২০০৭
২০০৭-এর আসরে বিশ্বকাপের তৃতীয় জয়টিও পেয়ে যায় বাংলাদেশ৷ গ্রুপ পর্যায়ের সেই ম্যাচে বারমুডাকে হারায় টাইগাররা৷ ব্যাট হাতে ৩২ বলে হার না মানা ২৯ রান করায় ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ নির্বাচিহ হন মোহাম্মদ আশরাফুল৷ ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছিল ৭ উইকেটে৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Singh
মোহাম্মদ আশরাফুল, ২০০৭
২০০৭ সালের সেই আসরেই প্রথম বারের মতো সুপার এইটে উঠে সাউথ আফ্রিকাকেও হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ৷ ৮৩ বলে ৮৭ রান করে আবার ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হন মোহাম্মদ আশরাফুল৷ ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছিল ৬৭ রানে৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Dennis
তামিম ইকবাল, ২০১১
২০১১ সালে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে তিনটি জয় পায় বাংলাদেশ৷ গ্রুপ পর্যায়ে প্রথমে আয়ারল্যান্ডকে হারায় ২৭ রানে৷ ওই ম্যাচে ৪৩ বলে ৪৪ রান তুলে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হন তামিম ইকবাল৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Zaman
ইমরুল কায়েস, ২০১১
২০১১ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্যায়ের আরেক ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ৷ সেই ম্যাচে ১০০ বলে ৬০ রান করে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হন ইমরুল কায়েস৷ বাংলাদেশ জয়ী হয়েছিল ২ উইকেটে৷
ছবি: Getty Images/M. Lewis
ইমরুল কায়েস, ২০১১
২০১১ সালের সেই বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে আরেকটি জয়ও পেয়ে যায় সহ-আয়োজক বাংলাদেশ৷ ওই ম্যাচে নেদারল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়েছিল টাইগাররা৷ চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে ১১৩ বলে ৭৩ রান করে ম্যাচ সেরা হন ইমরুল কায়েস৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Zaman
মুশফিকুর রহিম, ২০১৫
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে তিনটি ম্যাচে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ৷ তবে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলেও ম্যাচে ম্যান অব ম্যাচ হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের৷ তবে আফগানিস্তানকে ১০৫ রানে হারানোয় ৫৬ বলে ৭১ রানের অবদান রেখে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম৷
ছবি: Getty Images/C. Spencer
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, ২০১৫
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে টাইগাররা দ্বিতীয় জয়টি পায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে৷ ওই ম্যাচে ১৩৮ বলে ১০৩ রান তুলে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ৷ বাংলাদেশ ওই ম্যাচ জিতেছিল ১৫ রানে৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. Khan
সাকিব আল হাসান, ২০১৯
২০১৯ সালে বিশ্বকাপ মিশনের প্রথম ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় পায় বাংলাদেশ৷ ম্যাচে অলরাউন্ডার নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন সাকিব৷ ব্যাট হাতে করেছেন ৮৪ বলে ৭৫ রান আর বল হাতে ১০ ওভারে ৫০ রান দিয়ে নেন এক উইকেট৷ বাংলাদেশ জিতে যায় ২১ রানে৷