উদ্বাস্তু সংকটের মুখে অনড় আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ জার্মান চ্যান্সেলর এখনও সীমানা বন্ধ করার পরিবর্তে বিশ্ব রাজনীতিতে জার্মানির বৃহত্তর ভূমিকা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন – নির্বাচনি প্রচার সমাবেশে৷
বিজ্ঞাপন
মার্চ মাসের ১৩ তারিখে জার্মানির তিনটি অঙ্গরাজ্যে প্রাদেশিক নির্বাচন: পশ্চিমের বাডেন-ভ্যুর্টেমব্যার্গ ও রাইনল্যান্ড প্যালেটিনেট, এবং পুবের স্যাক্সনি আনহাল্ট রাজ্যে৷ চলতি উদ্বাস্তু সংকটে ম্যার্কেল যে অবস্থান নিয়েছেন, সে সম্পর্কে জার্মান ভোটারদের মনোভাব ব্যক্ত করার একটি সুবর্ণ সুযোগ৷ বিশেষ করে অভিবাসন-বিরোধী দল এএফডি বা ‘জার্মানির জন্য বিকল্প' পার্টি যেমন ম্যার্কেলের খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী সিডিইউ দল, তেমনই কেন্দ্রে তাঁর জোট সহযোগী সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দলের পক্ষে ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ কেননা জার্মান জনগণের একটা লক্ষণীয় অংশ যে দেশে উদ্বাস্তুদের এই হারে আগমনে উদ্বিগ্ন বা শঙ্কিত, তা স্পষ্ট৷ এখন সেই শঙ্কাকে রাজনৈতিক মূলধন করে এএফডি-র মতো একটি বস্তুত ভুঁইফোড় দল নির্বাচনে কতটা সাফল্য অর্জন করতে পারবে, তা বলা সম্ভব নয়৷ অনিশ্চয়তার শুরু সেখানেই৷
শুধু বিদেশে পণ্য রপ্তানি করে ক্ষান্ত থাকলেই চলবে না – বুধবার রাইনল্যান্ড প্যালেটিনেট রাজ্যের ভিটলিশ-এ সিডিইউ দলের একটি নির্বাচনি প্রচার সভায় বলেছেন ম্যার্কেল৷ ‘‘বরং একটি মুক্ত বিশ্বে ইউরোপের সীমানার বাইরে কি ঘটছে, সেজন্য আমাদের আরো বেশি দায়িত্ব নিতে হবে'', বলেন ম্যার্কেল৷ এক্ষেত্রে তিনি উন্নয়ন সাহায্য, জলবায়ু সুরক্ষার জন্য সাধারণ মান ও ফেয়ার ট্রেড-এর কথা বলেন – ‘‘একটি সীমাবদ্ধ সমাজে যতোটা অনুভব করা যায়, তার চেয়ে অনেক বেশি৷''
শরণার্থীদের প্রিয় জার্মানি, আরো প্রিয় ম্যার্কেল
শরণার্থীদের নিয়ে একটা ছবি সবারই নজর কেড়েছে৷ প্ল্যাকার্ড হাতে এক শিশু, প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘‘উই ওয়ান্ট জার্মানি’’৷ অনেকেই এসে পৌঁছেছেন তাঁদের কাঙ্খিত ঠিকানা জার্মানিতে৷ পছন্দের মানুষ ম্যার্কেলের দেশে এসে খুশি তাঁরা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Bernd von Jutrczenka
জার্মানিকে চাই...
সেই ছবি৷ বুদাপেস্টে তখন শরণার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে৷ অস্ট্রিয়া বা জার্মানির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করতে না পারায় তাঁরা ক্ষুব্ধ৷ সবাই ছুটছিলেন প্ল্যাটফর্মের দিকে৷ পুলিশ ফিরিয়ে দিলো৷ স্টেশনের বাইরে শুরু হলো বিক্ষোভ৷ কারো কারো হাতে তখন ট্রেনের টিকিট৷ কেউ ক্ষোভ জানালেন কোলের সন্তানকে নিয়ে৷ অনেক শিশুর হাতে দেখা গেল, ‘উই ওয়ান্ট জার্মানি’ লেখা কাগজ৷ ইউরোপে এত দেশ থাকতে কেন জার্মানি?
ছবি: Reuters/L. Foeger
আছে নব্য নাৎসি, পুড়েছে শরণার্থী শিবির, তবুও...
জার্মানির কোথাও কোথাও শরণার্থীবিরোধী বিক্ষোভ দেখা গেছে৷ অনেক জায়গায় রাতের অন্ধকারে আশ্রয় শিবিরে লেগেছে আগুন৷ তারপরও অভিবাসনপ্রত্যাশীরা জার্মানিকেই বেছে নিতে চায়৷
ছবি: Getty Images/M. Rietschel
বড় কারণ ম্যার্কেল এবং...
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ব্যাপারে শুরু থেকেই উদার জার্মানি৷ চ্যান্সেলর ম্যার্কেল সবসময়ই অভিবাসী এবং অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পাশে ছিলেন৷ পেগিডা আন্দোলনের সময়ও সরকারের অভিবাসীদের পাশে থাকার কথা স্পষ্ট করেই বলেছেন ম্যার্কেল৷ পাশে থেকেছেও৷ জার্মানির সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষও ছিল তাঁর পাশে৷ এখনও আছে৷ এই বিষয়গুলোও মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা থেকে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মনে জার্মানির প্রতি আরো আস্থাশীল করেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/NDR
তোমাদের স্বাগত
অভিবাসনপ্রত্যাশীরা জার্মানিতে পা রেখেই দেখেছে অবাক হওয়ার মতো দৃশ্য৷ এখানে তাঁরা অনাহূত নয়৷ নিজের দেশ থেকে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে এসে জার্মানিতে পাচ্ছেন সাদর সম্ভাষণ!
ছবি: Getty Images/A. Beier
জার্মানির নেতৃত্বে ম্যার্কেল, ইউরোপের নেতৃত্বে জার্মানি
বৃহস্পতিবার আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেছেন, শরণার্থীদের বিষয়ে জার্মানির ভূমিকা হতে হবে অনুসরণীয়, দৃষ্টান্তমূলক৷ জার্মানির সংসদের নিম্নকক্ষ বুন্ডেসটাগে বক্তব্য রাখার সময় তিনি আরো বলেন, অভিবাসন সংকট মোকাবেলায় ইউরোপকেও সফল হতে হবে৷
দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মানুষটিকে শরণার্থীরা নিজেদের একজন হিসেবেই বরণ করে নিয়েছিলেন৷ শরণার্থীদের সঙ্গে বন্ধুর মতোই সময় কাটিয়েছেন ম্যার্কেল৷ কয়েকজন শরণার্থী তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে চেয়েছিলেন৷ সানন্দে তাঁদের আশা পূরণ করেছেন ম্যার্কেল৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Michael Sohn
7 ছবি1 | 7
ম্যার্কেলের সিডিইউ দলের ‘ভগিনী' রাজনৈতিক দল হলো সিএসইউ, অর্থাৎ দক্ষিণের বাভারিয়া রাজ্যের খ্রিষ্টীয় সামাজিক ইউনিয়ন৷ তথাকথিত বলকান রুট ধরে যে উদ্বাস্তুরা জার্মানির দিকে আসছিলেন, তাদের প্রথম গন্তব্যই হল বাভারিয়া৷ সেই বাভারিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হর্স্ট জেহোফার বর্তমানে সিডিইউ-সিএসইউ দলে ম্যার্কেলের প্রধান পরিপন্থি: দু'জনের সদ্য সমাপ্ত বৈঠক থেকেও দেখা গেছে যে, উদ্বাস্তু সংকটে ম্যার্কেলের পছন্দ মতো সমাধান যেমন একটি ইউরোপীয় কিংবা আন্তর্জাতিক সমাধান, সেখানে জেহোফার চান জাতীয় পদক্ষেপ – যেমন জার্মানির সীমান্তে অধিকতর নিয়ন্ত্রণ৷
চাবিকাঠি তুরস্কের হাতে
ম্যার্কেলের ‘‘ইউরোপীয় সমাধানে'' তুরস্কের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে৷ আগামী সোমবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে শীর্ষবৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে – প্রধানত ম্যার্কেলের তাগিদে – সেখানে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু উপস্থিত থাকছেন৷ আজ শুক্রবারেই ইউরোপীয় পরিষদের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ক ইস্তানবুলে দাভুতোগলুর সঙ্গে মিলিত হচ্ছেন৷ আরো বড় কথা, গত মঙ্গল এবং বুধবারে তুরস্ক গ্রিস থেকে ২৬৭ জন উদ্বাস্তুকে ফেরৎ নিয়েছে: মরক্কো, আলজেরিয়া এবং টিউনিশিয়া থেকে আগত এই উদ্বাস্তুরা গ্রিসে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করতে অস্বীকার করেছিল৷ ব্রাসেলস থেকে কানাঘুষায় যা শোনা যাচ্ছে, তা হলো এই যে, জার্মানি নাকি প্রতিদিন এক হাজারের বেশি উদ্বাস্তু আসতে দিতে চায় না – এ খবর রয়টার্সের৷ ওদিকে টুস্ক নাকি দাভুতোগলুকে বলবেন যে, তুরস্ক যদি সমুদ্রপথে গ্রিস অভিমুখে উদ্বাস্তুদের যাত্রা দিনে এক হাজারের কম রাখে, তাহলে তুরস্ক থেকে সরাসরি উদ্বাস্তুদের নেওয়ার কথাও ভাবা যেতে পারে৷ ২০১৬ সাল থেকে তিন বছর উদ্বাস্তুদের দেখাশোনার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফ থেকে ৭০ কোটি ইউরো অর্থসাহায্য আগেই ঘোষণা করা হয়েছে৷
শরণার্থী সংকট নিরসনে তুরস্ককে ম্যার্কেলের আশ্বাস
তুরস্ক সফর করলেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ তাঁর সঙ্গে বৈঠকে তুরস্ককে ইইউ-র সদস্য করার দাবি তুলে ধরেন তুর্কি প্রধানমন্ত্রী৷ জার্মান চ্যান্সেলর তাতে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, শরণার্থী সংকট নিরসনে পারস্পরিক সহযোগিতা খুব প্রয়োজন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/O. Berg
আঙ্কারায় ম্যার্কেল
ইউরোপে অভিবাসন প্রত্যাশীদের স্রোত নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলুর সঙ্গে বৈঠক করতে রবিবার আঙ্কারায় যান ম্যার্কেল৷ বৈঠকে শরণার্থী ইস্যু নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে৷ নিজের বক্তব্যে ম্যার্কেল তুরস্কের ইইউ সদস্য হওয়ার দাবিকে সমর্থন করার আশ্বাস দেন৷ তুরস্কের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবিও বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি৷
জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, প্রায় ২০ লক্ষ সিরীয়কে আশ্রয় দিয়েছে তুরস্ক৷ জার্মান চ্যান্সেলরের বক্তব্যে এই বিষয়টি গুরুত্ব পাওয়ায় এবং জার্মানি এই সংকটে তুরস্কের পাশে থাকবে জানানোয় আহমেদ দাভুতোগলু জানান, ‘‘(শরণার্থীর) চাপ ভাগাভাগির বেলায় আন্তর্জাতিক মহল দুঃখজনকভাবে তুরস্ককে একা ফেলে রেখেছিল৷ আগের চেয়ে ভালো দৃষ্টিভঙ্গি দেখে আমরা খুশি৷’’
ছবি: Getty Images/AFP/B. Kilic
তুরস্ক প্রসঙ্গে ইইউ-র সাম্প্রতিক অবস্থান
ম্যার্কেলের সঙ্গে বৈঠকে দাভিতোগ্লু যে দু’টি বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, সেগুলো ইতিমধ্যে ইইউ বৈঠকেও আলোচিত হয়েছে৷ তুরস্কে অবস্থানরত সিরীয়দের জন্য তুর্কি সরকারকে ৩ বিলিয়ন ইউরোর অর্থ সহায়তা দেয়া এবং ইইউ অঞ্চলে তুর্কিদের ভিসা প্রাপ্তি সহজ করার সিদ্ধান্ত ইউরোপের ২৮টি দেশের জোট মোটামুটি চূড়ান্ত করেছে বলেই জানা গেছে৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/K. Ntantamis
জার্মানিতে অভিবাসীবিরোধীতা
ইতিমধ্যে ব্যাপক শরণার্থীর ঢল নামায় জার্মানির ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ কয়েকজন সরকার এবং বিরোধী দলীয় রাজনীতিবিদ৷ শরনার্থীবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ নতুন করে শুরু করছে পেগিডা৷ এদিকে শনিবার কোলনের মেয়র প্রার্থী হেনরিয়েটে রেকার-এর ওপর হামলা হয়৷ ছুরির আঘাতে আহত হলেও তিনি এখন সুস্থ হওয়ার পথে৷ প্রথম নারী হিসেবে কোলনের মেয়রও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি৷ অভিবাসীবিরাধী সংগঠন পেগিডা এই হামলায় জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/O. Berg
5 ছবি1 | 5
মনে রাখা দরকার, এখনও প্রতিদিন দু'হাজারের বেশি উদ্বাস্তু তুরস্ক থেকে ইজিয়ান সাগর পার হয়ে গ্রিসে পৌঁছাচ্ছে৷ অপরদিকে জার্মানিতে গত জানুয়ারি মাসে উদ্বাস্তুদের নতুন আগমনের (রেজিস্ট্রিকৃত) সংখ্যা ছিল ৯১,৭০০ – যা ফেব্রুয়ারিতে কমে ৬১,৪০০ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ অর্থাৎ ম্যার্কেলের ইউরোপীয় বা আন্তর্জাতিক সমাধান যে একেবারে অলীক বা অসম্ভব, এমন ভাবার কোনো কারণ নেই৷
ইউরোপে শরণার্থী সংকট চরমে
অস্ট্রিয়ার মোটরওয়েতে পরিত্যক্ত হিমায়ন যুক্ত ট্রাকটি থেকে এ যাবৎ ৭০টির বেশি লাশ পাওয়া গিয়েছে; লিবিয়ার উপকূলে আবার নৌকাডুবি হয়ে উদ্বাস্তুদের মৃত্যু৷ কিন্তু ইউরোপ এখনও বিভক্ত, দ্বিধাগ্রস্ত৷
ছবি: DW/E. Numanovic
অভিবাসীর মৃত্যু
হাঙ্গেরি থেকে ভিয়েনাগামী মোটরওয়েতে বৃহস্পতিবার ফেলে রাখা অবস্থায় যে রেফ্রিজারেটেড ট্রাকটি পাওয়া যায়, তা থেকে ৭০টির বেশি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, বলে ভিয়েনার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে৷
ছবি: Reuters/H.P. Bader
সলিলসমাধি
লিবিয়ার উপকূল থেকে ইটালি পৌঁছনোর প্রচেষ্টায় আরো একটি উদ্বাস্তু বোট ডুবে যায় বৃহস্পতিবার৷ বোটটি পশ্চিম লিবিয়ার জুওয়ারা বন্দর থেকে যাত্রা করছিল৷ লিবিয়ার উপকূলরক্ষীরা দু’শোর বেশি যাত্রীকে উদ্ধার করতে সমর্থ হন, কিন্তু আরো দু’শতাধিক যাত্রী জাহাজের খোলে আটকা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ বোটটিতে প্রধানত সাব-সাহারান আফ্রিকা, পাকিস্তান, সিরিয়া, মরক্কো ও বাংলাদেশ থেকে আগত শরণার্থীরা ছিলেন৷
ছবি: Reuters/H. Amara
যাত্রী বোঝাই
লিবিয়ার উপকূলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্ধারকার্যের দায়িত্বে রয়েছে ইটালির উপকূলরক্ষী বাহিনী৷ তাদের বিবৃতি অনুযায়ী শুধুমাত্র বৃহস্পতিবারেই প্রায় ১,৪৩০ জন মানুষকে বিভিন্ন নৌ-অভিযানে উদ্ধার করা হয়৷ লিবিয়ার উপকূলরক্ষী বাহিনীর সামর্থ্য সীমিত, কেননা তাদের কাছে ছোট ছোট রবারের বোট, টাগবোট কিংবা মাছ ধরার নৌকা ছাড়া অন্য কোনো জলযান নেই৷
ছবি: Reuters/Swedish Coast Guard
কাঁটাতারের বেড়া
পাকানো কাঁটাতার ফেলে রেখে আর বিপুল সংখ্যায় পুলিশ পাঠিয়ে বুদাপেস্ট সরকার উদ্বাস্তুর স্রোত সামাল দেবার চেষ্টা করছেন৷ সার্বিয়ার সঙ্গে ১৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত জুড়ে একটি চার মিটার উঁচু তারের বেড়া তৈরির কাজ আগামী সোমবার শেষ হবার কথা৷ তার আগে উদ্বাস্তুরা কাঁটাতার পেরিয়ে অভীপ্স পশ্চিম ইউরোপ অভিমুখে আরো এক ধাপ অগ্রসর হবার চেষ্টা করছেন৷
ছবি: Reuters/L. Balogh
সীমান্তের পর সীমান্ত
বিশেষ করে সিরীয় উদ্বাস্তুরা গ্রিস থেকে ম্যাসিডোনিয়া হয়ে পশ্চিম ইউরোপ যাবার চেষ্টা করছেন৷ শুধুমাত্র বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার অবধি ১,২৮৮ জন উদ্বাস্তু এ ভাবে ম্যাসিডোনিয়ায় আসেন বলে স্কোপিয়ে সরকার জানিয়েছেন৷ উদ্বাস্তুদের নথিভুক্ত করে তিন দিন সময় দেওয়া হচ্ছে, রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন পেশ করার কিংবা দেশ ছাড়ার জন্য৷
ছবি: Annette Groth
হাঁটাপথে
সার্বিয়া থেকে হাঙ্গেরি-তে ঢোকার আর কোনো পথ খোলা না থাকুক, রেলপথ তো রয়েছে! সেই পথেই পায়ে হেঁটে স্বপ্নের ইউরোপের দিকে চলেছেন উদ্বাস্তুরা৷
ছবি: Reuters/L. Balogh
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘‘ব্যর্থতা’’
বৃহস্পতিবার ভিয়েনায় পশ্চিম বলকান সংক্রান্ত সম্মেলনে নেতারা ট্রাকে উদ্বাস্তুদের লাশ পাবার ঘটনা শুনে স্তম্ভিত ও বিমূঢ় হয়ে যান৷ ‘‘আমাদের ইউরোপীয় মনোবৃত্তি, অর্থাৎ সংহতির মনোভাব নিয়ে শীঘ্র এই অভিবাসন প্রশ্নের সমাধান করতে হবে’’, বলেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল (বাম থেকে দ্বিতীয়)৷
ছবি: DW/E. Numanovic
7 ছবি1 | 7
এসি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি)
আপনিও কি চ্যানসেলর ম্যার্কেলের তো বিশ্ব রাজনীতিতে জার্ানির আরো বড় ভূমিকা দেখতে চান?