1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আন্তর্জাতিক শক্তিদের টানাপড়েনে মিয়ানমার

৩০ নভেম্বর ২০১১

বেশ কয়েক মাস ধরেই বিভিন্ন সংস্কারের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল মিয়ানমার৷ তখন কিন্তু মার্কিন সরকারের হুঁশ ছিল না৷ অথচ সু চি পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নেবেন – এ ঘোষণার পরই যেন টনক নড়লো অ্যামেরিকার৷

U.S. Secretary of State Hillary Rodham Clinton gives a speech at the East West Center on the campus of the University of Hawaii, Thursday, Nov. 10, 2011 in Honolulu. Clinton is attending the APEC Summit this week on Oahu. (Foto:Marco Garcia/AP/dapd)
হিলারি ক্লিন্টনছবি: dpad

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন বুধবার তাঁর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মিয়ানমার সফর শুরু করেছেন৷ সামরিক জান্তা পরিচালিত, আন্তর্জাতিক ভাবে বিচ্ছিন্ন দেশটির সরকারের জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য স্বীকৃতি – হিলারি'র মিয়ানমার সফরের সূত্র ধরে এ কথা বলছেন অনেকেই৷ এই যেমন, ব্রিটেনের মিয়ানমার বিষয়ক অন্যতম মানবাধিকার সংস্থা ‘বার্মা ক্যামপেইন ইউকে'-এর মার্ক ফার্মানের৷

জানা গেছে, ক্লিন্টনের এই সফর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার আগে, দেশটির গণতন্ত্রের প্রতীক অং সান সু চি'র সঙ্গে সরাসরি টেলিফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ মিয়ানমারের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে অগ্রগতির ইঙ্গিত হিসেবেও অভিহিত করেন তিনি৷ স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে এর কারণ নিয়ে৷ হঠাৎ করে মিয়ানমার নিয়ে কেন এতো চিন্তিত যুক্তরাষ্ট্র?

বার্লিনের অন্যতম এশিয়া বিশেষজ্ঞ গ্যারহার্ড ভিল'এর কথায়, ‘‘আমার মনে হয়, এশিয়া প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের প্রাধান্য স্থাপন করাই এর মূল কারণ৷ বিশেষ করে চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা৷ চীনের দিকে আঙুল তুলে বলা যে, শুধু তারাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রেরও এ অঞ্চলের একটি দেশের ওপর প্রাধান্য রয়েছে৷''

অং সান সু চি’র সাথে সাক্ষাতের কথা রয়েছে হিলারিরছবি: AP

মানবাধিকারকর্মী মার্ক ফার্মানের জানান, ‘‘ওবামার সাম্প্রতিক এশিয়া সফরেও এর একটা স্পষ্ট ঈঙ্গিত আমরা দেখতে পেয়েছি৷ অস্ট্রেলিয়াতে সৈন্য সংখ্যা বাড়ানো, এ অঞ্চলের ২১টি দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্যের ব্যাপারে অ্যামেরিকার উৎসাহ – এসবই চীন এবং ভারতের পাশাপাশি নিজেদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়৷''

অথচ মিয়ানমারে সংস্কার প্রক্রিয়া কিন্তু আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল৷ অব্যাহত আন্তর্জাতিক চাপের মুখে, গত বছর তাদের বেশ কিছু ক্ষমতা বেসামরিক সরকারের হাতে তুলে দেয় জান্তা সরকার৷ নতুন সেই সরকার মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী সু চি'র ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি' বা এনএলডি-এর প্রতি খানিকটা নমনীয়তা প্রদর্শন করে৷ শুরু হয় রাজনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের কাজ৷ ৩০০'রও বেশি রাজবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়৷ এমনকি, গত অগাস্ট মাসে নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী নেত্রী অং সান সু চি'র সঙ্গে একান্তে কথা বলেন প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন৷ সংস্কার করেন মিয়ানমারের নির্বাচনী আইনের৷

এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত হয় সু চি'র দল৷ আর দেশের পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন সু চি নিজে৷ বলেন, আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে শীঘ্রই তিনি দেশের রাজনীতির সঙ্গে আবারো আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হতে যাচ্ছেন৷ এছাড়া, ২০১৮ সালে দক্ষিণ পূর্ব এশীয় দেশসমূহের জোট ‘আসিয়ান'-এর সভাপতি হতে যাচ্ছে মিয়ানমার৷ অর্থাৎ, একটি নির্দিষ্ট পথ ধরেই গণতন্ত্রের ক্রমবিকাশ ঘটছিল সেখানে৷ এর মধ্যে, হঠাৎ করে যুক্তরাষ্ট্রের এহেন মিয়ানমার প্রীতি তাই প্রশ্নবোধক চিহ্ন তুলেছে বিভিন্ন মহলে৷

ভুলে গেলে চলবে না, হিলারি ক্লিন্টন'এর এই সফর গত ৫০ বছরে মিয়ানমারে কোনো মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম আনুষ্ঠানিক সফর৷ এরপরও অবশ্য, মিয়ানমারের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং সাবেক জান্তা সরকারের সদস্যদের অ্যামেরিকা ভ্রমণের ওপর বিধিনিষেধ বহাল রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র৷

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ