1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিএনপি-র আন্দোলন প্রসঙ্গ

২৫ আগস্ট ২০১৪

ঈদের পর সরকার বিরোধী কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার কথা জানিয়েছিলেন বিএনপি নেতারা৷ অথচ ঈদের পর প্রায় একমাস হতে চললেও এখনো সেটা না হওয়ার কারণ খুঁজছেন কেউ কেউ৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে তারই কিছু নমুনা৷

ছবি: DW

আমারব্লগে মাহবুবুল আলম ‘বিএনপির পরনির্ভশীল আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি ও বাস্তবতা' শীর্ষক একটি বিশ্লেষণমূলক ব্লগ লিখেছেন৷ তিনি বলছেন, ‘‘বিএনপির আন্দোলনের হুমকি যে তর্জন-গর্জন ছাড়া আর কিছুই নয় তা ইতিমধ্যেই দেশের মানুষের কাছে পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে৷'' তিনি মনে করেন, ‘‘সরকারের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার বিষয়ে বিএনপির মধ্যে দুইটি পরস্পরবিরোধী অংশ কাজ করছে৷ দলের একটি অংশ এখনই সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু করে সরকার পতনের আন্দোলনের দিকে এগিয়ে নিতে চাইলেও বিএনপির অন্য একটি অংশ ও বিএনপি হাইকমান্ড সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনা থেকে আন্দোলনের পরিবর্তে সরকারি দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে পরবর্তী নির্বাচনের ব্যাপারে সমঝোতায় যেতে চাচ্ছে৷ কেননা তারা মনে করেন বিএনপিকে পরমুখাপেক্ষী আন্দোলন থেকে বেরিয়ে এসে নিজেদের শক্তিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে৷ জামায়াত ও অন্যান্য উগ্র ইসলামিক দলগুলোর সাহায্যে পরমুখাপেক্ষী আন্দোলনের পরিণতি কী হয় তা তারা ইতিমধ্যেই টের পেয়েছে৷ তাছাড়া জামায়াত, হেফাজত ও অন্যান্য সরকারবিরোধী ইসলামি দলগুলোও বর্তমান বাস্তবতায় সরকারের বিরুদ্ধে অলআউট আন্দোলনে যেতে রাজি নয়৷ তাদের কথা হলো, আমাদের কাঁধে বন্ধুক রেখে বিএনপিকে আর শিকার করতে দেয়া উচিত নয়৷''

এদিকে, একই ব্লগে অন্তহীন নামে আরেক ব্লগার ‘বিএনপি কি আসলেই বিলীন হয়ে যাচ্ছে ??!!' নামে পোস্টে লিখেছেন, ‘‘জামায়াত-শিবির-রাজাকারদের হাতে প্রায় বিলীন হওয়া বিএনপি হয়ে আছে স্থবির৷ অনাদিকাল ধরে সেই নাম সর্বস্ব দলে হয় না গণতন্ত্র চর্চা, হয় না দলীয় কাউন্সিল৷''

বিএনপির জন্য তাঁর পরামর্শ এরকম, ‘‘...এমতাবস্থায় দলীয় সংস্কার এবং দেশের প্রত্যেকটি অর্জনে উল্লাস এবং সরকারের গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে হয়ত বিএনপি নামের নামসর্বস্ব দলটি ফিরে পেতে পারে জনগণের আস্থা৷ পরিহার করতে হবে ৭১-এর খুনি নারী ধর্ষণকারী জামায়াত শিবির রাজাকারদের৷ সহায়তা করতে হবে খুনি রাজাকারদের বিচারিক প্রক্রিয়া সুসম্পন্ন করতে এবং বন্ধ করতে হবে হরতাল, বোমাবাজি, খুন এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি৷''

সংকলন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ