1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আন্না হাজারে’র নাম এখন জার্মান গণমাধ্যমেও

২৪ এপ্রিল ২০১১

ভারতে দুর্নীতি৷ এবং সেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনের পন্থায় অনশন ধর্মঘটকে অস্ত্র করে সংগ্রামে নেমেছেন এক প্রবীণ গান্ধীবাদী৷ ঘটনাটি সাড়া তুলেছে জার্মানিতেও৷

আন্না হাজারেছবি: picture alliance/dpa

মাথায় গান্ধীটুপি পরে ৭১ বছর বয়সি বাবুরাও হাজারে'র ছবি৷ গান্ধীবাদীর পিছনে স্বয়ং মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতি৷ স্যুদদয়েচে সাইটুং'এ সুদীর্ঘ প্রতিবেদনটির সঙ্গে প্রকাশিত ছবিটির ক্যাপশন হল: ‘আশ্চর্য সাদৃশ্য'৷ প্রতিবেদকের বক্তব্য: ‘আন্দোলনকারী (আন্না হাজারে) নতুন দিল্লির রাজনীতিকদের জন্য জুজুবুড়িতে পরিণত হয়েছেন৷' অপরদিকে হাজারে যে নিজেও রাজনীতির খেলা খেলতে জানেন, প্রতিবেদক সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন৷ যেমন হাজারে ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের উন্মাদনার অন্ত ঘটার আগে তাঁর অনশন ধর্মঘট শুরু করেননি৷ চারদিন অনশনের পর সরকারকে গলবস্ত্র হয়ে আসতে হয়েছে আন্না হাজারের কাছে৷

নয়ে সুরশার সাইটুং নজর দিয়েছে ফুকুশিমায় দুর্ঘটনার পর ভারতে পরমাণু বিদ্যুতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ দানা বাঁধার দিকে৷ পত্রিকাটি প্রতিবেদনের মুখবন্ধে লিখছে: ‘দ্রত প্রবৃদ্ধিশালী, জ্বালানি শক্তির জন্য ক্ষুধিত ভারত পরমাণু শক্তির উপর জোর দিয়েছে৷ এযাবৎ এই নীতি নিয়ে কোনো বিতর্ক ছিল না৷ ফুকুশিমার বিপর্যয় জনমানসকে সচকিত করেছে৷' জয়েতপুরে বিশ্বের বৃহত্তম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র সৃষ্টি হতে চলেছে৷ ঠিক সেখানেই ৭০০ মানুষের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারালেন প্রথম পরমাণু বিরোধী আন্দোলনকারী, এক স্থানীয় ধীবর৷ খবরটা বেশ বড় করেই এসেছে নয়ে সুরশার সাইটুং এবং টাগেসসাইটুং'এ৷ অপরদিকে ভারতের পরিবেশ মন্ত্রী জয়রাম রমেশ ঘোষণা করেছেন, ভারতের বিপুল জ্বালানি ক্ষুধার পরিপ্রেক্ষিতে পরমাণু বিদ্যুৎ ছাড়া ভারতের কোনো বিকল্প নেই৷

ছবি: dapd

নয়েস ডয়েচলান্ড তাকিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দিকে, যেখানে, পত্রিকাটির শীর্ষক অনুযায়ী, ‘লাল দুর্গের উপর অভিযান', অর্থাৎ নির্বাচন শুরু হয়েছে৷ ‘৩৪ বছর ধরে কলকাতায় শাসন করছে বামফ্রন্ট৷ কিন্তু বিরোধীরা এখন যতোটা শক্তিশালী, অতীতে তারা কখনো ততোটা শক্তিশালী ছিল না৷' অপরদিকে সিপিআই-এম এখনও সব আশা পরিত্যাগ করেনি, এবং কেন করেনি, সেটা অর্ধেন্দু ভূষণ বর্ধন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং গৌতম দেবের মতো রাজনীতিকদের উদ্ধৃতি দিয়ে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন প্রতিবেদক৷

গ্রন্থনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ