আপনার মুঠো ফোনই আপনার উপর গোয়েন্দাগিরি করছে!
২২ এপ্রিল ২০১১ঐ দুই ব্রিটিশ গবেষক হলেন অ্যালাসডেয়ার অ্যালান ও পিট ওয়ারডেন৷ সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার একটি সম্মেলনে তারা বলেন, যে দিন থেকে অ্যাপল তাদের অপারেটিং সিস্টেম ‘আইওএস ৪' চালু করেছে সে দিন থেকেই ব্যবহারকারীদের যাবতীয় তথ্য পেতে শুরু করেছে তারা৷ এই হিসেবে গত জুন থেকে সব তথ্য জমা হচ্ছে৷ অর্থাৎ প্রায় এক বছর ধরে৷
এই তথ্য প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্রের এক সেনেটর আল ফ্রাঙ্কেন অ্যাপল কোম্পানির প্রধান স্টিভ জবসের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন৷ সেখানে তিনি জানতে চেয়েছেন গবেষকদের দেয়া ঐ তথ্য সঠিক কি না৷ আর তাই যদি হয় তাহলে সংগৃহীত তথ্যগুলো অ্যাপল কী কাজে লাগাচ্ছে সেটাও জানতে চেয়েছেন মার্কিন ঐ রাজনীতিবিদ৷
জার্মানিও এ ব্যাপারে অ্যাপলের সঙ্গে কথা বলবে বলে জানা গেছে৷
তবে ডয়চে ভেলের পক্ষ থেকে জার্মানিতে থাকা অ্যাপলের সদর দপ্তরে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয় নি৷ এমন কী অ্যাপলের প্রধান কার্যালয়ও এ ব্যাপারে এখনো কোনো বক্তব্য দেয় নি৷
গবেষকরা বলছেন অ্যাপল যে ধরণের তথ্য সংগ্রহ করছে সেটা যে কোনো মোবাইল অপারেটর করতেই পারে৷ কিন্তু সমস্যাটা অন্যখানে৷ কারণ এক্ষেত্রে তথ্যগুলো জমা হচ্ছে খোদ ব্যবহারকারীর মোবাইল ফোনেই৷ ফলে অন্য কেউ যদি কারও ফোন হাতে পেয়ে থাকে তাহলে সহজেই সে জেনে নিতে পারবে ব্যবহারকারী গত ক'মাসে কখন, কোথায় গিয়েছিল এবং কতদিন ছিল৷ যেটা আদতে ব্যবহারকারীর নিরাপত্তাকে শঙ্কায় ফেলতে পারে৷
কিন্তু কেন অ্যাপল এ'ধরণের তথ্য সংগ্রহ করছে সে ব্যাপারে গবেষকরা বলছেন তারা ‘লোকেশন-বেসড সার্ভিস'এর বাজার ধরতে চাইছে যেটার পরিমাণ এই মুহূর্তে প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার৷ এবং আগামী তিন বছরে তা' ৮.৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে বলে প্রযুক্তি বিষয়ক গবেষণার ক্ষেত্রে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান গার্টনার'এর ধারণা৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী