1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘আনফেয়ার অ্যান্ড লাভলি’

৪ এপ্রিল ২০১৬

একটা সময় কনের গায়ের রং ‘কালো' হলে কন্যাপক্ষ তা লুকিয়ে রাখতেন৷ বলতেন, ‘মেয়ে আমাদের উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ৷' গায়ের রং ‘চাপা' হলে, সেই মেয়ের যত যোগ্যতাই থাক, বিয়ে দেয়া হতো কঠিন৷ সুন্দর হওয়ার জন্য ফর্সা হওয়াটা যেন বাধ্যতামূলক!

#UnfairAndLovely
ছবি: Pax Jones

‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি'-র বিজ্ঞাপনে ধীরে ধীরে ফর্সা হওয়ার উপায়টা দেখানো হতো৷ ফর্সা হলে নাকি জীবন বদলে যায়৷ কালো, আত্মবিশ্বাসহীন মেয়েরা নাকি ফর্সা হলেই রাতারাতি আত্মবিশ্বাসী, আত্মনির্ভরশীল হয়ে যায়৷ এ কথা আপনি বিশ্বাস করেন?

Fighting racist beauty ideals

02:41

This browser does not support the video element.

আপনার উত্তর যা-ই হোক না কেন, ‘ফেয়ার', অর্থাৎ ফর্সা হলে তবেই ‘লাভলি' হওয়া যায়, এমন ‘মিথ' কিন্তু ভাঙতে শুরু করেছে৷ হ্যাঁ, গায়ের রং ফর্সা হলে কদর বেশি – মানুষের এমন ধারণাকে বদলে দিতে নতুন এক প্রচারণা ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে৷ ফর্সা নয়, গায়ের কালো রংকে উদযাপন করতেই নতুন এই সামাজিক প্রচারণা, যার নাম দেয়া হয়েছে ‘আনফেয়ার অ্যান্ড লাভলি'

গত ডিসেম্বরে এই প্রচারণা বা ক্যাম্পেইনটি শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস ও অস্টিনের তিন শিক্ষার্থী – প্যাক্স জোনস আর তাঁর দুই বন্ধু মিরুশা ও ইয়ানুশার৷ মিরুশা ও ইয়ানুশা দুই বোন, আদতে তামিল বংশোদ্ভূত৷ প্যাক্সের কথায়, ‘‘শুধু গায়ের রঙের কারণে আমাদের জীবনধারা কতটা ভিন্ন হয়ে যায় – সেই বিষয়টার প্রতি-ই আমরা মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছি৷''

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, যেমন টুইটার ও ফেসবুকে হ্যাশট্যাগ ‘আনফেয়ার অ্যান্ড লাভলি' লিখে গায়ের রংজনিত বৈষম্যের বিরুদ্ধে এমন ভিন্নধর্মী প্রচারণার প্রতি ইতিমধ্যেই সমর্থন জানিয়েছেন, জানাচ্ছেন অগুন্তি মানুষ৷ কেউ আবার নিজের ছবি তুলে পোস্ট করছেন ইনস্টাগ্রামেও৷ এদের মধ্যে নন্দিতা দাসের মতো বহু বিখ্যাত মানুষও রয়েছেন৷

২০১৩ সালে ‘ডার্ক ইজ বিউটিফুল' বা ‘কালোই সুন্দর' প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত ভারতীয় অভিনেত্রী নন্দিতা দাসের কথায়, ‘‘প্রাচীন কাল থেকে এভাবেই শ্রেণিভেদে কালো-সাদার বৈষম্য চলে আসছে৷ ধনীরা বাড়ির ভেতর থাকবে, সূর্যের আলো গায়ে মাখবে না, তাই তাঁদের রং হবে ফর্সা৷ আর যাঁরা গরিব, মাঠে-ঘাটে কাজ করেন, সারা দিন রোদে পোড়েন, তাঁদের রং হয় কালো – এভাবেই৷''

এরপররই অবশ্য বাজারে ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি’-র মতো পণ্যের ছড়াছড়ি৷ আর তাই ‘আনফেয়ার অ্যান্ড লাভলি'-র মতো প্রচারণার একটা সামাজিক গুরুত্ব আছে বৈকি!

ডিজি/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ