স্মার্টফোন ব্যবহার কি আজকাল আসক্তির পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে? জার্মান বিজ্ঞানীরা কিন্তু তেমনটাই ভাবতে শুরু করেছেন৷ বিষয়টি নিয়ে তাই শুরু হয়েছে গবেষণা৷ আর এই গবেষণায় সহায়তা করছে একটি অ্যাপ৷
বিজ্ঞাপন
গবেষণার সাহায্যে অ্যাপ
04:12
মানুষের অপরিহার্য সঙ্গী হয়ে উঠছে স্মার্টফোন৷ সবসময় সবার সঙ্গে যোগাযোগের পথ খোলা রাখতে চান তাঁরা৷ একইসঙ্গে ফেসবুক দেখা, ই-মেল চেক কিংবা গেম খেলার মতো ব্যাপারতো রয়েছেই৷ এজন্য অনেকে প্রতিদিন গড়ে ১৩০ বার ফোন চালু করেন৷ অনেকটা মোবাইল আসক্তির ব্যাপার৷
বন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ‘মেন্থল' নামের একটি স্মার্টফোন অ্যাপ প্রকাশ করেছেন৷ এই অ্যাপ একজন মানুষের স্মার্টফোন ব্যবহারের হিসেব রাখে৷ কতবার ফোন আনলক করা হয়েছে, কোন কোন অ্যাপস কতক্ষণ ব্যবহার হয়েছে এমন সব তথ্য৷ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা যেন আসক্ত হয়ে না পড়েন সেদিকে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা এটা৷
যে সাতটি ‘ভিডিও চ্যাট অ্যাপ’ আপনার স্মার্টফোনে থাকা উচিত
স্মার্টফোনের কারণে আজকাল শুধু অডিও নির্ভর ফোনালাপ কমে যাচ্ছে৷ বরং সেখানে জায়গা করে নিচ্ছে ভিডিও চ্যাট৷ এই ভিডিও চ্যাট করার জন্য আবার রয়েছে অনেক অ্যাপ৷ ‘সার্চ ইঞ্জিন জার্নালের’ বিবেচনায় সেরা সাতটি অ্যাপ পাবেন এখানে৷
ছবি: Yuri Cortez/AFP/Getty Images
উভু
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই ভিডিও চ্যাপ অ্যাপ উভু-তে লগ-ইন করা সম্ভব৷ তবে অ্যাপটির সবচেয়ে বড় মজা হচ্ছে, এটি আপনার ফেসবুক বন্ধুদের এবং আপনার স্মার্টফোনে থাকা কন্টাক্ট তালিকার মধ্যে সমন্বয় করে৷ একসঙ্গে ১২ জনের সঙ্গে চ্যাট করা যায় উভু ব্যবহার করে৷ আর অ্যাপটি ব্যবহারের জন্য বাড়তি কোনো খরচও নেই৷
ছবি: Fotolia/apops
স্কাইপ
স্কাইপ পৃথিবীর অন্যতম পুরনো এবং সম্ভবত সবচেয়ে পরিচিত ভিডিও অ্যাপ৷ এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৯৯ মিলিয়ন৷ শুধু ভিডিও চ্যাট নয়, স্কাইপ ব্যবহার করে ভয়েস চ্যাট, তাৎক্ষণিক ক্ষুদে বার্তাও পাঠানো সম্ভব৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ট্যাঙ্গো
মূলত দু’টি কারণে ট্যাঙ্গো জনপ্রিয়৷ এটা ব্যবহার করা খুব সোজা এবং এটার জন্য কোনো আলাদা পাসওয়ার্ড দরকার হয় না৷ অর্থাৎ এটা ব্যবহারের জন্য শুধুমাত্র আপনার নাম, মোবাইল নম্বর এবং ই-মেল ঠিকানার প্রয়োজন হয়৷ তবে ‘বিজনেস কলে’-র জন্য অ্যাপটি ব্যবহার ঠিক নয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
হ্যাংআউটস
যেহেতু সবাই আজকাল গুগল ব্যবহার করেন, তাই হ্যাংআউটস ব্যবহারকারী খুঁজে পাওয়া আজ আর তেমন কোনো কষ্টের ব্যাপার নয়৷ গুগল-এর এই সেবা ব্যবহার করে একত্রে দশজন পর্যন্ত চ্যাট করতে পারেন৷ এটিতে ছবি এবং ‘ইমোজিস’ শেয়ার করারও অপশন রয়েছে৷
ছবি: DW
পিয়ার
ব্যবসায়িক চ্যাটের জন্য একটি ভিডিও অ্যাপ খুঁজছেন? নিশ্চিন্তে বেছে নিতে পারেন পিয়ার৷ প্রফেশনালদের নেটওয়ার্ক লিঙ্কডইনের সঙ্গে সহজেই যুক্ত করা যায় অ্যাপটি৷ এই মুহূর্তে অ্যাপটি আইটিউনস-এ সহজলভ্য৷
ছবি: Tencent
ভাইবার
একসঙ্গে চল্লিশজনের সঙ্গে চ্যাট করার সুযোগ দেয় ভাইবার৷ আর চ্যাট সম্পর্কিত সব কিছুই করা যায় এটা ব্যবহার করে৷ এমনকি চাইলে ফাইল শেয়ারও করতে পারেন ভাইবার-এর মাধ্যমে৷
ছবি: viber.com
ক্যামফ্রগ
অপরিচিত, নতুন কারো সঙ্গে চ্যাট করতে চাইলে ক্যামফ্রগ আদর্শ৷ বন্ধু-বান্ধব, পরিবারের সদস্য কিংবা পরিচিতজন ছাড়াও চ্যাট রুমে নতুনদের সঙ্গে গল্পগুজবের সুযোগ দেয় ক্যামফ্রগ৷ এটা অ্যান্ড্রয়েড, উইন্ডোস এবং আইওস – সবকটি ‘অপারেটিং সিস্টেম’-এর মাধ্যমেই ব্যবহার করা যায়৷
ছবি: Yuri Cortez/AFP/Getty Images
7 ছবি1 | 7
বন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানী অধ্যাপক আলেক্সান্ডার মার্কোভেৎস এই বিষয়ে বলেন, ‘‘অ্যাপটি স্মার্টফোন ব্যবহারের নানা তথ্য সংগ্রহ করে৷ কখন ফোনটি খোলা হয়েছে, কোন অ্যাপ কখন চালু করা হয়েছে – এসব তথ্য সেটি আমাদের সার্ভারে পাঠায়৷ আমরা এগুলো পর্যালোচনা করি৷ কোন অ্যাপ কতবার ব্যবহার হয়েছে তাও জানা যায়৷ ফোন ব্যবহারকারীকেও এসব তথ্য জানানো হয়৷''
অ্যাপ জানাচ্ছে আসক্তির কথা
প্রায় এক লাখের বেশি মানুষ অ্যাপটি ডাউনলোড করেছেন৷ তারা একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণারও অংশ হয়ে গেছেন৷ স্মার্টফোন আসলে কোন কাজে লাগে, তা অ্যাপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে বোঝার চেষ্টা করেন বিজ্ঞানীরা৷
অধ্যাপক মার্কোভেৎস এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘দিনে তিন ঘণ্টা স্মার্টফোন ব্যবহার করা হয়৷ আরো লক্ষ্যণীয় হচ্ছে, ফোনের সঙ্গে ব্যবহারকারীর গড় ‘ইন্টাব়্যাকশন' হয় ১৩০ বার৷ অর্থাৎ প্রতি সাড়ে সাত মিনিটে একবার ফোনের বোতামে হাত রাখেন একজন ব্যবহারকারী৷''
স্মার্টফোনের এমন ব্যবহার কর্মক্ষেত্রের জন্যও ক্ষতিকর৷ বিশেষ করে এর ফলে মানুষের মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে৷ যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে ‘স্মার্টফোন আসক্তি' বলে এখনো কিছু নেই৷ তবুও গবেষকরা, এভাবে স্মার্টফোন ব্যবহারকে একধরনের আসক্তি হিসেবেই বিবেচনা করছেন৷
গেম শুধু খেলবেই না, বানাবেও
বাংলাদেশের অনেক কিশোর-কিশোরী কম্পিউটার গেম খেলতে পছন্দ করে৷ তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে গেম ডেভেলপার হিসেবে গড়ে তুলতে ‘উই মেক গেমস’ নামে একটি কর্মসূচি শুরু হয়েছে৷
ছবি: MassiveStar Studio
‘উই মেক গেমস’
স্কুলের শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার গেম তৈরির ওপর প্রশিক্ষণ দেয়ার কর্মসূচি ‘উই মেক গেমস’৷ এর আওতায় সারা দেশের ৪০০ স্কুলের প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেয়ার পরিকল্পনা করছে গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ম্যাসিভস্টার স্টুডিও লিমিটেড৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: MassiveStar Studio
সরকার সঙ্গে থাকবে
বিশাল এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারের আইসিটি মন্ত্রণালয় সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন ম্যাসিভস্টার স্টুডিও-র প্রধান নির্বাহী মাহবুবুল আলম৷
ছবি: MassiveStar Studio
লক্ষ্য বাজার ধরা
মাহবুবুল আলমের মতে, সারা বিশ্বে কম্পিউটার গেমের ১০০ বিলিয়ন ডলারের একটি বাজার আছে৷ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে তৈরি হওয়া গেম ডেভেলপাররা এই বাজারের একটি অংশ বাংলাদেশে নিয়ে আসবে বলে আশা তাঁর৷
ছবি: Getty Images
নভেম্বরে শুরু হয়েছে
‘উই মেক গেমস’ কর্মসূচিটি শুরু হয়েছে গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে৷ ইতিমধ্যে ঢাকার ১১টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের গেম তৈরি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বা হয়েছে৷
ছবি: MassiveStar Studio
প্রতিভাবান কিশোর-কিশোরী
মাহবুবুল আলম মনে করেন, বাংলাদেশের যেসব শিক্ষার্থী কম্পিউটারে গেম খেলে তাদের একটা বড় অংশ গেম ডেভেলপ করারও ক্ষমতা রাখে৷ সেসব শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেয়ার মাধ্যমে গেম ডেভেলপার হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব৷
ছবি: WCG
‘হাতিরঝিল ড্রিম বিগিনস’
উই মেক গেমস কর্মসূচির বাস্তবায়নকারী সংস্থা ম্যাসিভস্টার স্টুডিও লিমিটেড ‘হাতিরঝিল ড্রিম বিগিনস’ নামে একটি কম্পিউটার গেম বাজারে নিয়ে এসেছে৷ এই গেম তৈরির সঙ্গে মাশরুর মাহমুদ নামে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া এক কিশোরও রয়েছে৷
ছবি: MassiveStar Studio
পেছনের কারিগর
প্রায় ২১ জন তরুণ ছয় মাস কাজ করে গেমটি ডেভেলপ করে৷ এঁদের মধ্যে বয়সে সবচেয়ে ছোট মাশরুর মাহমুদ৷ সে সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে৷
ছবি: MassiveStar Studio
নির্মাণ কৌশল
থ্রিডি স্টুডিও ম্যাক্স, গুগল স্কেচআপ প্রো, ব্লেন্ডার ও মায়া সফটওয়্যার ব্যবহার করে গেমটি নির্মাণ করা হয়েছে৷ গেমটিতে মোট লেভেল আছে ৩১টি৷ একটি লেভেল শেষ করে পরেরটিতে যেতে হবে৷ প্রতিটি লেভেলের জন্য সময় নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে৷
ছবি: MassiveStar Studio
ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ
খেলার পাশাপাশি চাইলে বিআরটিসির বাস বা গাড়িতে করে হাতিরঝিলে ঘুরে বেড়ানো যাবে৷ স্পিডবোট আর বিমান নিয়েও গেম খেলা যাবে৷
ছবি: MassiveStar Studio
স্মার্টফোনেও
কম্পিউটারের পাশাপাশি স্মার্টফোনেও যেন গেমটি খেলা যায় সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ আগামী ঈদের আগেই অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা যেন গেমটি খেলতে পারেন সে চেষ্টা করা হচ্ছে৷
ছবি: MassiveStar Studio
কোথায় পাবেন?
বর্তমানে ঢাকা শহরের প্রায় ১৬০টি সিডির দোকানে এই গেমটি পাওয়া যাচ্ছে৷ তবে মাস খানেকের মধ্যেই সেটা সারা দেশে পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে৷
ছবি: MassiveStar Studio
11 ছবি1 | 11
বন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী ড. ক্রিস্টিন মোনটাগ বলেন, ‘‘আসলে স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রবণতায় আসক্তির একটি ব্যাপার লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ সহনশীলতার মাত্রা বাড়ছে৷ সন্তুষ্টির সঙ্গে সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে ফোন ব্যবহারের পরিমাণও বাড়ছে৷ নতুন আইফোন ভালো লাগায় আজ হয়ত এক ঘণ্টা ব্যবহার করা হলো, কিন্তু কাল সেটা বেড়ে দু'ঘণ্টা কিংবা তিন ঘণ্টা হয়ে যায়৷ এক পর্যায়ে ফোন ছাড়া থাকাটা আতঙ্কের মনে হয়৷''
তিনি বলেন, হয়ত কেউ বাড়িতে ভুল করে ফোন রেখে বাইরে গেল৷ কিন্তু ফোনের কথা মনে আসায় আবার ফিরে আসলো ফোনটি নিতে৷ কেননা ফোন ছাড়া নিজেকে গোটা দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন মনে করেন তাঁরা৷ মনে হয়, হায় খোদা, বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবো না, ফেসবুক আপডেট দেখতে পারবো না৷''
আসক্তির সঙ্গে জিনের সম্পর্ক
যে-কোনো ধরনের আসক্তির সঙ্গে জিনের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা তা পরীক্ষা করেন গবেষকরা৷ কোষ গবেষণার মাধ্যমে তাঁরা বোঝার চেষ্টা করেন ঠিক কোন ধরনের জিনের সঙ্গে আসক্তির সম্পর্ক রয়েছে৷ ড. মোনটাগ বলেন, ‘‘আমরা গবেষণায় এক ধরনের জিন পেয়েছি যেটি ধূমপানের সঙ্গে সম্পর্কিত, সেটির সঙ্গে ইন্টারনেট আসক্তিরও সম্পর্ক রয়েছে৷ এভাবে আমরা বিভিন্ন আসক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত জিন নিয়ে গবেষণা করতে পারছি৷''
বিশ্বনেতারা যে মোবাইল ব্যবহার করেন
আজকাল মোবাইল ফোন ছাড়া যেন অনেকে চলতে পারেন না৷ এক্ষেত্রে তাঁরা নিজেদের পছন্দের ফোন ব্যবহার করে থাকেন৷ বিশ্বনেতারাও এর বাইরে নন৷ ব্রিটিশ দৈনিক ‘দি টেলিগ্রাফ’ সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷
ছবি: Reuters
বারাক ওবামা
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর গোয়েন্দাদের বাধা সত্ত্বেও ‘ব্ল্যাকবেরি’ ফোন ব্যবহার করছেন বারাক ওবামা৷ অবশ্য তাঁর ব্যবহৃত ফোনটির নিরাপত্তা বাড়িয়েছে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, এনএসএ৷
ছবি: Saul Loeb/AFP/Getty Images
ভ্লাদিমির পুটিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন কোনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না৷ ২০১০ সালে তিনি তাঁর মোবাইল না থাকার কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘আমার যদি মোবাইল থাকতো তাহলে সেটা সবসময় বাজতে থাকতো৷’’
ছবি: picture-alliance/dpa
আঙ্গেলা ম্যার্কেল
সংসদে বসে মোবাইলে জার্মান বুন্ডেসলিগার ধারাবিবরণী শোনেন – জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের মোবাইল প্রীতি সম্পর্কে এমন কথাও চালু আছে৷ গত বছরের জুলাই থেকে তিনি ‘ব্ল্যাকবেরি জেড১০’ ব্যবহার করছেন৷ অবশ্যই এতে বাড়তি নিরাপত্তা যোগ করা হয়েছে৷ এর আগে অবশ্য ম্যার্কেল ব্যবহার করতেন নোকিয়া ৬২১০৷
ছবি: Reuters
মাটেও রেনসি
ফরাসি প্রেসিডেন্টের চেয়েও ‘আইফোন’-এর প্রতি বেশি আকৃষ্ট ইটালির তরুণ প্রধানমন্ত্রী মাটেও রেনসি৷ একবার তাঁকে অ্যাপল-এর প্রধান কার্যালয়ে অ্যাপল লোগোর পাশে ছবি তুলতে দেখা গেছে৷ স্টিভ জবস মারা যাওয়ার পর নিজের ফেসবুকে ‘আইগড’-কে ‘‘আমাদের সময়ের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন ইটালির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রেনসি৷
ছবি: DW/V. Over
শেখ হাসিনা
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সম্প্রতি জানিয়েছে যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণত স্যামসাং-এর ‘গ্যালাক্সি এসথ্রি’ ফোন ব্যবহার করেন৷
ছবি: Reuters
5 ছবি1 | 5
গবেষকরা ধারণা করছেন, ভবিষ্যতে সম্ভবত স্মার্টফোন আসক্তিকেও স্বীকৃতি দেয়া হবে এবং এই আসক্তি দূর করার চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে৷ মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার মস্তিষ্কের জন্যও ক্ষতিকর৷
আসক্তি দূরের উপায়
‘মোবাইল আসক্তি' থেকে দূরে থাকতে অধ্যাপক মার্কোভেৎসের এই ডিজিটাল ডায়েটটি অনুসরণ করা যেতে পারে৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রথম কথা হচ্ছে, সোফায় শুয়ে ক্লিক করার দরকার নেই৷ আমি শুধু নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় ফোন ব্যবহার করি৷ অথবা আমি আমার ব্যবহার সংযত করি৷ যেমন সন্ধ্যা সাতটার পর কোনো কিছু নয়৷ সপ্তাহে একদিন কিছু করবো না৷
তিনি বলেন, ‘‘আরেকটি পরামর্শ সবার জন্য: দয়া করে একটি হাতঘড়ি কিনুন৷ কেননা সময় দেখতে গিয়ে অনেকে স্মার্টফোন চালু করেন এবং এরপর অন্যদিকে যান৷ আমি যদি এমন অ্যাপের ব্যবহার কমাতে পারি তাহলে সেটা সহায়ক হবে৷''
‘মেন্থল' অ্যাপ ব্যবহার করে আপনিও আপনার ফোন ব্যবহারের প্রবণতা যাচাই করতে পারেন৷ উদ্বেগজনক পর্যায়ে গেলে সতর্ক হোন৷
বিশেষ ঘোষণা: এই সপ্তাহের অন্বেষণ কুইজে অংশ নিতে ক্লিক করুন এখানে৷