1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আপেলের সমান মানবশিশু!

৩১ মে ২০১৯

একটি আপেলের সমান ওজন নিয়ে জন্মেছিল শিশু সেইবি, এ কারণে তাকে বাঁচানোর আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন ডাক্তাররাও৷ তবে, পাঁচ মাস হাসপাতালে থাকার পর বাড়ি ফিরেছে পৃথিবীর সবচেয়ে কম ওজনের এই শিশু৷

ছবি: AFP/Sharp HealthCare

গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়েগোর হাসপাতালে জন্মের সময় সেইবির ওজন ছিল মাত্র ২৪৫ গ্রাম৷ উচ্চতা ছিল ২৩ সেন্টিমিটার৷ মায়ের গর্ভে ২৩ সপ্তাহ ৩ দিন থাকার পর জরুরি সিজারিয়ানে জন্মগ্রহণ করেছিল সে৷

‘‘ওটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে ভীতিকর দিন,’’ হাসপাতাল থেকে প্রকাশ করা একটি ভিডিওতে বলেছেন শিশুটির মা৷ জন্মের পর শিশুকে সেইবি নাম দিয়েছেন নার্সরা৷

এর আগে ২৫২ গ্রাম ওজন নিয়ে ২০১৫ সালে জার্মানিতে জন্ম নেয় পৃথিবীর সবচেয়ে কম ওজনের শিশু৷ সে-ও ছিল মেয়েশিশু৷

এরপর গতবছরের অক্টোবরে জাপানে সবচেয়ে ছোট ছেলেশিশু জন্মগ্রহণ করে মাত্র ২৫৮ গ্রাম ওজন নিয়ে৷ সাত মাস পর গত এপ্রিলে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে রিইউসকে সেকিয়া নামের ওই শিশু৷

আশ্চর্য শিশু

সান দিয়েগোর হাসপাতালে জন্মের পর শিশু সেইবি মাত্র এক ঘণ্টা সময় বাঁচতে পারে বলে তার বাবাকে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা৷ ‘‘তবে সেই এক ঘণ্টা রূপান্তরিত হয়েছে দুই ঘন্টায়, এরপর এক দিনে এবং তারপর এক সপ্তাহে,’’ বলেছেন শিশুটির মা৷

পরে সবচেয়ে কম ওজনের শিশুদের তালিকার শুরুতে স্থান করে নেয় সেইবি৷ যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব আইওয়া সংরক্ষণ করে থাকে এমন তালিকা৷

চিকিৎসকরা বলছেন, মায়ের গর্ভে ২৮ সপ্তাহের কম সময় নিয়ে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ থাকে৷ প্রায়শই স্বাস্থ্য জটিলতার মুখোমুখি হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে তারা৷

ডাক্তার আর পরিবারের সদস্যদের আশ্চর্য করে দিয়ে ওজন বাড়তে থাকে শিশু সেইবির৷ পাঁচ মাস নবজাতকদের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে থাকার পর এখন তার ওজন দাঁড়িয়েছে ২ কেজি ২৬ গ্রামে৷

‘‘আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি৷ সে পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট শিশু এবং সে আমারই!’’ বলেছেন শিশুটির মা৷

এমবি/এসিবি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ